ধরার পর পালক উপড়ে ফেলে শিকারিরা

রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে শিকারিদের কাছ থেকে ২৯টি চখাচখি পাখি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা। তবে পাখিগুলো ধরার পর তাদের বড় পালকগুলো উপড়ে ফেলে শিকারিরা। এতে করে তারা এখন আর উড়তে পারছে না। তবে কিছুদিন পর আবারও পালক গজালে তাদেরকে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বুধবার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের জুনিয়র ওয়াল্ডলাইফ স্কাউট মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে রাজশাহীর পবা উপজেলার গহমাবোনা ও হরিপুর গ্রাম সংলগ্ন পদ্মার চর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এসব পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শিকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।
পাখিগুলো উদ্ধার করে রাজশাহী বিভাগীয় বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পূণর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে জানা গেছে, চখাচখি পাখি হচ্ছে পদ্মার প্রাণ। হাজার হাজার চখাচখি পাখি পদ্মার চরে সারাবছরই আবাস গড়ে থাকে। পদ্মার পাড়জুড়ে এসব পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে এসব এলাকা। এ সুযোগে সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি নিধন করে। পাখি শিকার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও শিকারিরা তা মানছেন না।
বুধবার পবা উপজেলার হরিপুর এলাকায় অভিযান চলাকালে এক ব্যক্তিকে দু’টি বস্তা নিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা। এসময় সন্দেহের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে থামার জন্য সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যান। পরে বস্তা দু’টি থেকে আহতাবস্থায় ২৯টি চখাচখি পাখি উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলো উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। কারণ শিকারিরা পাখিগুলো ধরার পর তাদের বড় পালকগুলো উপড়ে ফেলে। ফলে পাখিগুলো আর উড়তে পারে না। তাই পাখিগুলো পুর্নবাসন কেন্দ্রে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উড়তে শিখলে পাখিগুলো নিরাপদ পরিবেশ অবমুক্ত করে দেওয়া হবে।