চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ২১১ লট পণ্য নিলামে তুলছে বুধবার
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না হওয়া ২১১ লট পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বুধবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা এবং ঢাকা ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে একযোগে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নিলামে বন্দরের পি শেডে রক্ষিত ২৬ লট-সহ ৬০ লট কেমিক্যাল, টেক্সটাইল পণ্য, গেঞ্জির কাপড়, গাড়ি, পেঁয়াজ, রসুন, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও অন্যান্য পণ্য রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ফয়সাল বিন রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'প্রতি মাসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নিলামের আয়োজন করে। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এবারের বেশি পণ্য উঠছে নিলামে।'
গত ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে ৪৩টি নিলামের যেসব কেমিক্যাল পণ্যে কোনো দরপত্র পড়েনি, সেগুলো এই নিলামে ক্যাটালগভুক্ত (লট) করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পক্ষে নিলাম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেএম করপোরেশনের ম্যানেজার মোরশেদুল আলম বলেন, 'নিলামে অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর এবং যুগ্ম কমিশনার (সদর), শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) কার্যালয়ে নির্ধারিত টেন্ডার বক্স রয়েছে।'
তিনি আরও জানান, 'বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্যাটালগ অনুযায়ী বিডাররা নিলামে অংশ নিতে পারবেন। দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা এবং ঢাকা ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে একযোগে টেন্ডার বক্স খোলা হবে।'
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য বিভিন্ন কারণে খালাস নেন না সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক। আবার অনিয়মের দায়ে পণ্যচালান আটক করা হয়। আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ না নিলে আমদানিকারকদের নোটিশ দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস। এ ছাড়া, মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়।
খালাস না নেওয়া পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেগুলো ধ্বংস করে কাস্টম হাউস।
