Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
August 17, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, AUGUST 17, 2025
পাখিবুড়ো সালিম আলীর কথা মনে পড়ে!

ফিচার

তারেক অণু
20 June, 2022, 03:40 pm
Last modified: 20 June, 2022, 05:00 pm

Related News

  • আকারে গলফ বলের সমান, দুর্গম দ্বীপে বসবাস বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডানাহীন পাখির
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • যেসব প্রাণী একে অন্যকে উপহার দেয়
  • সবচেয়ে প্রাচীন বুনোপাখি হিসেবে পরিচিতি তার, ৭৪ বছরে এসে ডিম দিল
  • ব্যালকনিতে ফুলের টবে ঘুঘুর বাসা, ডিম ফুটে বাচ্চা ওঠার অপেক্ষায়

পাখিবুড়ো সালিম আলীর কথা মনে পড়ে!

খামোখা এয়ার গান দিয়ে মনের সুখে গুলি করে বেড়ানো ব্যাদড়া বালক ঝুঁকে পড়লেন পাখি এবং প্রকৃতি নিয়ে বিশদ ভাবে জানতে, পরিণত হলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা পাখি বিশেষজ্ঞে। আজ তার প্রয়াণ দিবসে এই স্মৃতিচারণ...
তারেক অণু
20 June, 2022, 03:40 pm
Last modified: 20 June, 2022, 05:00 pm

তিব্বত-নেপালের সীমান্তে এককালের নিষিদ্ধ রাজ্যখ্যাত মুসটাং-এ ট্রেকিং করে কালীগণ্ডকী নদীর দিকে নামছি, পথের পাশে দেখা মিলল এক নির্ভীক চঞ্চল চড়ুইয়ের, উড়ে বেড়াচ্ছে পথের ধারের ঝোপগুলোতে, কিন্তু কী যেন একটা আলাদা ব্যাপার আছে তার চকচকে মসৃণ পালকগুলোতে। 

কেমন হলদে রঙের, সাধারণ চড়ুইয়ের চেয়ে আলাদা। হাইকিংরত পাখিবিশেষজ্ঞ ইনাম আল হককে পাখিটি দেখাতেই এক গাল হাসি দিয়ে বললেন- এই পাখিটিই তো সালিম আলীকে সালিম আলী করে তুলেছিল!

ছোট্ট সালিম আলী মনের সুখে পাখি শিকার করতেন এয়ারগান দিয়ে, তার গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল এক আজব ধরনের চড়ুই, সেটার মাংস হালাল কিনা তা জানার জন্য পকেটে নিয়ে সোজা চলে গেলেন চাচা আমিরুদ্দিনের কাছে, তখন ১৯০৮ সাল, আমিরুদ্দিন ছিলেন বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির আদি সদস্যদের একজন, তারই সুপারিশপত্র দুরুদুরু বুকে নিয়ে বালক সালিম দেখা করলেন সোসাইটির সেক্রেটারি জনাব মিলার্ডের সাথে। 

মিলার্ডের অমায়িক ব্যবহারে সালিম বুঝলেন জগতের সব শ্বেতাঙ্গ এক ধরনের হয় না, যেমনটা তিনি শুনে এসেছেন, সেই সাথে প্রথম দর্শনেই পাখিটির ঠিকুজি জানা গেল ইয়েলো থ্রোটেড স্প্যারো (Yellowthroated Sparrow, বৈজ্ঞানিক নাম- Petronia xanthocollis)। শুধু তাই না তিনি তার বিশাল সংগ্রহশালা উম্মুক্ত করে কৌতূহলী বালককে দেখালেন নানা ধরনের চড়ুই পাখি স্টাফ করা মৃতদেহ।

খুলে গেল তার মনের দরজা, শুরু হল এক নতুন যুগের – খামোখা এয়ার গান দিয়ে মনের সুখে গুলি করে বেড়ানো ব্যাদড়া বালক ঝুঁকে পড়লেন পাখি এবং প্রকৃতি নিয়ে বিশদ ভাবে জানতে, পরিণত হলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা পাখিবিশেষজ্ঞে। তারই কিচিরমিচিরে রচিত হয়েছে দ্য ফল অব আ স্প্যারো (The Fall of A Sparrow), প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরশ বুলানো সুখপাঠ্য আত্মজীবনী। ঢাকাতেই পেয়েছিলাম অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের ছাপা ইলাস্ট্রেটেড সংস্করণ, ভাষার সাথে সাথে আলাদা মজা জুগিয়েছিল অসাধারণ সব পাখির স্কেচ এবং অলঙ্করণ। 

পরে  কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদে সালীম আলীর বহুল পঠিত আত্মজীবনীটি পড়ে যেন অন্য রকমের স্বাদ পেয়েছিলাম, উনি যেহেতু ইংরেজিতে লিখেছিলেন এবং সেই ভাষাতেই পড়েছিলাম একাধিকবার উদ্দেশ্যে অনেক আগে কিন্তু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদ যেন অসাধারণ ভাবানুবাদের এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে রইল, এত সুন্দর কাব্যিক ভাষা ও উপমা তিনি বাঙালি পাঠকের জন্য প্রয়োগ করেছেন যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো একটানা বইটি পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সেই অপূর্ব অনুবাদের মুন্সিয়ানার শুরু কিন্তু বইটির নাম থেকেই, দ্য ফল অব আ স্প্যারো'র বাংলা করলেন 'চড়াই-উতরাই', যেটা মনে হয় না স্বয়ং সালিম আলীও চিন্তা করতেন না। 

৮৭ বছর বয়সে বইটি লেখা শুরু করেন, ততদিনে চিরতরুণ পাখিবুড়ো উপাধি পেয়ে যান সালিম আলী। প্রথমেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে শৈশবের কথা বলেছেন। সেই ধূসর সময়ে প্রকৃতিসংরক্ষণ জিনিসটাই ছিল মাঝে মাঝে শোনা বিরল একটি বিষয়। বাজারে কোয়েল, তিতির ইত্যাদি ধরনের পাখি বিক্রি হতো প্রচুর, শিকারের অভাব ছিল না কোথাও। পাখি নিয়ে উপমহাদেশে কাজ শুরু করেছিলেন যে ব্রিটিশ সাহেবেরা তাদের বালকজীবনে শখের বসে পাখি ডিম সংগ্রহ করা ছাড়া এমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু উপমহাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, অঢেল সময় এবং একাকীত্বের সদ্ব্যবহারের জন্য অনেকেই এই বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন, এবং গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করেন। 

বাসায় খাবার জন্য কিনে আনা সেই পাখির গাদা থেকে উনি কয়েকটা চুপচাপ সরিয়ে ফেলতেন এবং তারের জাল ও পুরাতন প্যাকিং বাক্স দিয়ে বাসা বানিয়ে সেখানে জবেহ করার হাত থেকে উদ্ধার করা পাখিগুলো পুষতেন। হয়তো এই ভাবেই শিশুমনে পাখি প্রেম জেগে উঠেছিল।

যখন তার হাত খরচের জন্য মাসিক বরাদ্দ ছিল দুই টাকা, সেটা থেকেও সালিম আলী নিয়মিত এলাকার পাখির বাজারে গিয়ে নতুন নতুন পাখি সংগ্রহের চেষ্টা করতেন। আবার মাত্র ৯/১০ বছর বয়সে তিনি পাখি সংক্রান্ত প্রথম নোটটি লিখেছিলেন খাতায়, সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে তার ৬০ বছর পরে এটি নতুন করে আবিষ্কার করে লেখাটির একটু খোল নলচে বদল করে নিউজ লেটার ফর বার্ড ওয়াচার্স-এ দিলে সসম্মানে ছাপা হয়। 

সালিম আলীর মনের পর্দায় ভেসে ওঠে স্কুলজীবনের নানা রঙের দিনগুলি- তিনি মাঝারি মানের ছাত্রই ছিলেন, গৎবাঁধা লেখাপড়া তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি কখনোই, তাই ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত ভারতীয় লেখকদের বাছাইকৃত রচনা নিয়ে প্রকাশিত বইয়ে নিজের লেখা দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন, বিশেষ করে যেখানে ঠাই পেয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সরোজিনী নাইডুর রচনাও! নানা অসুখে ভুগে লেখাপড়ায় কিছুটা ছেদ ঘটে তার, অবশেষে ১৯১৩ সালে বম্বে বিশ্ব –বিদ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন তিনি। 

নানা রোমাঞ্চকর সত্য কাহিনী পড়ে তখন পর্যন্ত জীবনের লক্ষ্য ছিল বিখ্যাত একজন শিকারি হওয়া (বিগ গেম হান্টার) কিন্তু বাড়ীতে নানা ধরনের পাখি পোষা এবং প্রকৃতিতে পাখি দেখার নেশা থেকেই সিদ্ধান্ত নেন সম্ভব হলে জীববিজ্ঞানকেই পেশা হিসেবে নিবেন জীবনে। ১৯১৪ সালে তিনি বার্মা যান, মূলত এক আত্মীয়ের সাথে জীবিকা অর্জনের তাগিদে ব্যবসা করার জন্য।

সেই ৩ বছরের স্মৃতির কথা বলেছেন উচ্ছ্বসিত বর্ণনায়, বিশেষ করে নানা ধরনের রঙচঙে বার্মিজ পাখি দেখার অভিজ্ঞতা (যদিও তার দূরবীন ছিল না তখনও)। মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই বিদেশবাসের দীর্ঘ ৬০ বছর পরেও সালিম আলী পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পাখিগুলো কোন স্থানের, কোন গাছের কোন ডালে কিভাবে বসেছিল তা মনে করতে পারেন! স্মৃতি বড় রহস্যময়। 

বার্মার সেই চমৎকার বাড়ীতে স্ত্রী তাহমিনার সাথে নতুন জীবন শুরু হয় তার, সাথে যোগ দেয় বার্মিজ রূপালি ফেজ্যান্ট পাখির সংগ্রহ করা ডিম ফুটিয়ে বাহির হওয়া ছানা, বনবেড়াল, গাছছুঁচো, উড়ন্ত লিমার, পাকরা ধনেশ। তাহমিনা এবং সালিম একসাথে কিন্ডারগার্টেনে পড়তেন শিশুকালে, পরবর্তীতে তাহমিনা বাবার সাথে অনেক বছর বিলেতে কাটিয়ে ভারতবর্ষে ফেরেন। অনেকটা পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয় ১৯১৮র ডিসেম্বরে, সালিমের বয়স তখন মাত্র ২২! 

স্ত্রী সম্পর্কে উজ্জল স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি- তাহমিনা ভালবাসতেন বই, কবিতা ( উর্দু এবং ইংরেজি), প্রকৃতিতে হাঁটতে, ফুল, বাগানের পরিচর্যা, এবং স্বামীর কাজের সময় পাখি নিয়ে আসলেই উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন। 

এর মাঝে সালিম বুঝতে পারেন যে প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করতে হলে সেই বিষয়ে তার প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকা খুব জরুরী, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান রেভারেন্ড ব্ল্যাটার এবং শিক্ষক প্রফেসর মুল্লানের উৎসাহে ১৯১৭ সালে প্রাণীবিদ্যার উপরে বি এস সি পাশ করেন। 

এরপরে তার যাযাবর জীবন এবং পাখিদের পরিযায়ী যাত্রা নিয়ে নানা স্থানের, নানা মানুষের বর্ণনা, পাখির পালকের মতই রং ঝলমলে তার জীবন- আসে বোম্বে জীবনের প্রতিবেশী কবি সরোজিনী নাইডুর কথা, নাইডু মহাত্মা গান্ধীকে মাঝে মাঝেই মিকি মাউস বলতেন মজা করে, (গান্ধীও দাঁতহীন মুখে বিশ্বের উজ্জলতম হাসি দিয়ে বন্ধুর সম্বোধনকে সাদরে বরণ করতেন)।

নাইডু ছাড়াও স্মৃতিচারণ আছে বিখ্যাত প্রাণী বিজ্ঞানী ডিলন রিপ্লে, হিউ হুইসলার, মেইনারহাগেনসহ অনেকের। এবং সালিম আলীর গুরু বার্লিন বিশ্ব-বিদ্যালয়ের প্রফেসর আরউইন স্ট্রেসমান, যার সার্বিক তত্ত্বাবধানেই সালিম আলী সত্যিকারের পক্ষীবিজ্ঞানী হয়ে ওঠা শুরু করেন। বার্লিনের জীবনকেই পরবর্তীতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

আর আছে ভ্রমণের গল্প, শুনেছিলাম অশীতিপর অবস্থাতেও চিরতরুণ মনের অধিকারী মানুষটি হিমালয়ের নানা দুর্গম স্থানে বিলুপ্ত গোলাপি মাথা হাঁসের খোঁজে অভিযান চালাতেন। তার উল্লেখ না পেলেও মোটরসাইকেল করে তার ভারত থেকে সুইডেন গমন, হিমালয়ের নানা কোণে কোণে অগুনতি অভিযান, আফগানিস্তানে পাখির খোঁজে, ফ্ল্যামিঙ্গোর সন্ধানে রান এলাকায়, ভরতপুর, ভাওয়ালপুর, লাদাখ ইত্যাদি স্থানের বর্ণনায় প্রকৃতি সম্ভোগে অক্লান্ত মানুষটির ভ্রমণপিপাসু সত্ত্বার পরিচয় বেরিয়ে আসে। 

১৯৩৭ আফগানিস্তানের পাখির নমুনা সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের জন্য ভ্রমণের সময় সালিম আলী লিখছেন-

"আফগানরা যেরকম কট্টর ‌গোড়া মুসলমান আর সেটা এমনই এক অরাজক দুর্বৃত্তের দেশ যে, সেখান থেকে জানমাল নিয়ে ফেরা সম্ভবই নয় ইত্যাদি ইত্যাদি- এমনটাই বলেছিল সবাই। প্রকৃত ঘটনা হল, আমাদের গোটা সফরে একজনও জিজ্ঞেস করেনি আমাদের কার কী ধর্ম। আমরা দেখলাম আফগান দেশের মানুষজনেরা অসম্ভব দিলদরাজ আর অতিথিবৎসল। আমরা পাখি সংগ্রহের কাজে গিয়ে দেখেছি, আমাদের দেখে প্রায়ই মাঠের কাজ ফেলে গ্রামের মানুষেরা ছুটে এসে বলেছে 'তোমরা আমাদের খাতিরের মেহমান। আমাদের বাড়িতে এসে একটু চা খেয়ে যাও।' যেখানেই আমরা তাঁবু ফেলেছি, রাস্তার ধারে ট্রাকের ওপর খোলা পড়ে থেকেছে আমাদের যার যা মালপত্র, খাবার-দাবার,এমনকি গুলিগোলা পর্যন্ত। কখনো একটা কোন জিনিসও খোয়া যায়নি। কখনও কোনো লোক আমাদের কোনোভাবে একটুও জ্বালাতন করেনি। একমাত্র মাছি ছাড়া।"

সালিম আলীই ভারতবর্ষের প্রথমদিকের একজন নেতৃত্বস্থানীয় প্রকৃতিসংরক্ষণবীদ, যথেচ্ছ শিকারের বিরোধিতা করেছেন সবসময়ই, সারগুজার মহারাজার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যখন রাজাকে প্রশ্ন করেছিলেন জীবনে কতগুলো বাঘ মেরেছেন? উত্তরে বেশ দুঃখ নিয়ে মহারাজা বলেছিল মাত্র ১১৪০টি! আরও বাঘ কেন হত্যা করতে পারেননি সেটা নিয়ে তাকে যথেষ্ট দুঃখিত দেখাচ্ছিল। বলেছেন সেই মহারাজারই এক জ্ঞাতি ভাইয়ের কথা যার গুলিতে উপমহাদেশের শেষ বুনো চিতাটি ইতিহাস হয়ে মুছে যায় প্রকৃতি থেকে। 

কারাবদ্ধ থাকা অবস্থায় তরুণী ইন্দিরা গান্ধীকে সালিম আলীর পাখির বই কতটা অভিভূত ও উৎসুক করে তুলেছিল পাখিদের জগত নিয়ে এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধীর নিসর্গ রক্ষায় প্রবল সমর্থন ও কার্যক্রমের পিছনে সালিম আলীর ভূমিকা  নিয়ে সামান্য আলোচনা আছে। 

সালিম আলী চেষ্টা করেছেন স্বাধীন ভারতের যত বেশি সম্ভব প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে। সেই সাথে নানা সময়ে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ থেকে চেষ্টা করছেন বুনো পশুপাখির জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করে রক্ষা করার।

১৯৮৭ সালের ২০ জুন ৯১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে উড়ে যান সালিম আলী। আজকের দিন, তার নামে নামকরণ করা হয়েছে রক বুশ কোয়েল (Rock Bush Quail, বৈ.নাম- Perdicula argoondah salimalii), ফিন'স ওয়েভার (Finn's Weaver, বৈ.নাম- Ploceus megarhynchus salimalii) এই ২ পাখির। এবং বিশ্বের বিরলতম বাদুড়দের একটির, নাম ল্যাটিডেনস সালিমালি (Latidens salimalii)। সেই সাথে তার স্ত্রী তাহমিনার নামে নাম রাখা হয়েছে একটি কাঠঠোকরার ব্ল্যাল-রাম্পড ফ্লেইমব্যাক উডপেকার নাম (Black-rumped Flameback Woodpecker, বৈ.নাম- Dinopium benghalense tehminae)। 

জম্মু কাশ্মীরে ওনার নামে ন্যাশনাল পার্কের নামকরণও করা হয়েছে, আছে উনার নামে হ্রদসহ অনেক কিছুই। মৃত্যুর বছর দুই আগে ১৯৮৫ সালে তার চিত্তাকর্ষক আত্মজীবনীটি প্রকাশিত হয়।  আর অপূর্ব বাংলা অনুবাদটি ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত হয়। 
 
বইয়ের শেষ অধ্যায়ে নিজের হিমালয়প্রেম বর্ণনা করেছেন প্রিয় পাখিবুড়ো এভাবেই-

From my boyhood days, and long before I had ever set eyes upon them, I had a romantic craving for the Himalaya and often day-dreamed that in later life, if I ever got the option of choosing a place to settle in, it would most certainly be somewhere among the foothills of the Himalaya where I would have at my doorstep, as it were, all the things that mattered most to me- beautiful forests, magnificent scenery, good birding, trekking in the mountains and plenty of opportunities for game shooting and naturalizing. What could be more idyllic? 

 

Related Topics

টপ নিউজ

পাখি / সালিম আলী / দ্য ফল অব আ স্প্যারো

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বাংলাদেশে চাল রপ্তানির হিড়িক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের; ভারতে দাম বাড়ল ১৪ শতাংশ পর্যন্ত
  • ৪০০ বছরের পুরনো এই চীনা কাশির সিরাপ যেভাবে এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়; প্রশংসায় পশ্চিমা তারকারা
  • চাকরির সংকট: বেকারত্ব লুকাতে নিজ পকেটের টাকা ঢেলেই অফিসে কাজের ভান করছেন চীনা তরুণরা
  • রাশিয়া কেন আলাস্কাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করেছিল?
  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭,৪০৯ শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
  • ৫ আগস্টের স্থবিরতার পর রাজশাহী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে নতুন গতি

Related News

  • আকারে গলফ বলের সমান, দুর্গম দ্বীপে বসবাস বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডানাহীন পাখির
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • যেসব প্রাণী একে অন্যকে উপহার দেয়
  • সবচেয়ে প্রাচীন বুনোপাখি হিসেবে পরিচিতি তার, ৭৪ বছরে এসে ডিম দিল
  • ব্যালকনিতে ফুলের টবে ঘুঘুর বাসা, ডিম ফুটে বাচ্চা ওঠার অপেক্ষায়

Most Read

1
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে চাল রপ্তানির হিড়িক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের; ভারতে দাম বাড়ল ১৪ শতাংশ পর্যন্ত

2
আন্তর্জাতিক

৪০০ বছরের পুরনো এই চীনা কাশির সিরাপ যেভাবে এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়; প্রশংসায় পশ্চিমা তারকারা

3
আন্তর্জাতিক

চাকরির সংকট: বেকারত্ব লুকাতে নিজ পকেটের টাকা ঢেলেই অফিসে কাজের ভান করছেন চীনা তরুণরা

4
আন্তর্জাতিক

রাশিয়া কেন আলাস্কাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করেছিল?

5
বাংলাদেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭,৪০৯ শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার

6
বাংলাদেশ

৫ আগস্টের স্থবিরতার পর রাজশাহী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে নতুন গতি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net