Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
September 21, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, SEPTEMBER 21, 2025
এক ফুলের বাড়ি, গাছের বাড়ির গল্প!

ফিচার

সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু
23 September, 2023, 12:55 pm
Last modified: 23 September, 2023, 05:01 pm

Related News

  • গণপূর্তের জমির ৭০ বছরের পুরনো সেগুন গাছ নিলামে বিক্রি করে দিল পুলিশ!
  • ভেঙে পড়ছে কুয়াকাটার সবুজ বেষ্টনী: প্রতিবছর মারা যাচ্ছে হাজারো গাছ
  • ৪০০ টাকার ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক
  • ধানমন্ডিতে সড়কে গাছ পড়ে দুমড়েমুচড়ে গেল গাড়ি, গুরুতর আহত চালক
  • প্রকৃতির জন্য উৎসর্গ করেছেন জীবন, মাহমুদুল পেলেন জাতীয় পরিবেশ পদক

এক ফুলের বাড়ি, গাছের বাড়ির গল্প!

ফুল, পাতা, শুকনো ডালপালা দিয়ে নান্দনিকভাবে সাজানোর পদ্ধতিটি ইকেবানা হিসেবে পরিচিত। এটি একটি জাপানি শৈল্পিক কলা, যা মানসিক স্থিরতা ও মনোযোগ আনয়নে বেশ কার্যকরী। ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার মূলত একটি ল্যান্ডস্কেপিং, ফ্লোরাল ও প্ল্যান্ট ডেকোরেটিভ সেন্টার। নান্দনিকতা মোড়া বাড়িটির সামনে টবে টবে সুসজ্জিত আছে নানান রকমের দেশী বিদেশি বিরুৎ, গুল্ম এবং ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ। শহুরে যান্ত্রিকতায় বৃক্ষরাজির সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে এক দণ্ড শান্তিরও দেখা মিলবে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে।
সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু
23 September, 2023, 12:55 pm
Last modified: 23 September, 2023, 05:01 pm
ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

গুলশান ২ এর ১০১ নম্বর সড়ক, ১২ নম্বর বাড়ি। বাড়িটির বাইরে থেকে সুনসান, সেভাবে কোনো নামফলকও নেই। কেবল ফটকের উপর ১২ নম্বর বাড়ির হোল্ডিং নম্বর লাগানো। মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে, একতলা বাড়ির উঠোন জুড়ে সাজানো ছোট বড় গাছের মেলা। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে, ছোট-বড় গাছগুলোকে বোধহয় স্বাগত জানানোর জন্যই কেউ দাঁড় করিয়ে রেখেছে। বাইরে কোনো নামফলক না থাকলেও, বিভিন্ন গাছপালা পরিবেষ্টিত এই বাড়িটি 'ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার' নামে পরিচিত।

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার মূলত একটি ল্যান্ডস্কেপিং, ফ্লোরাল ও প্ল্যান্ট ডেকোরেটিভ সেন্টার। নান্দনিকতা মোড়া বাড়িটির সামনে টবে টবে সুসজ্জিত আছে নানান রকমের দেশী বিদেশী বিরুৎ, গুল্ম এবং ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ। শহুরে যান্ত্রিকতায় বৃক্ষরাজির সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে এক দণ্ড শান্তিরও দেখা মিলবে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে। শুধু গাছ দেখা বা সময় কাটানোই নয়, এখানে রয়েছে গাছ কেনারও সুযোগ।

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে খোলা আকাশের নিচে গাছকে সাজানো হয়েছে ধরন অনুযায়ী। যেসব গাছ ছায়ায় বাঁচে সেগুলোকে রাখা হয়েছে ছায়ার অধীনে। আবার যেসব গাছের জন্য অল্প ছায়া প্রয়োজন সেগুলোর জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা। তাছাড়া রোদ-বৃষ্টি উভয় পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা গাছেরও সন্ধান পাওয়া যাবে এখানে। অর্কিড, ওয়াল ক্রিপার, ক্যাকটাস, বনসাই, পাতাবাহার গাছের সম্মিলনে পুরো প্রতিষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে আকাশমণি গাছের কাঠ ও গুঁড়ি দিয়ে। 

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে গাছের পাশাপাশি পাওয়া যাবে ফুল দিয়ে সাজানো রঙিন তোড়া। 'ইকেবানা' শব্দের সার্থকতা এখানেই। ফুল, পাতা, শুকনো ডালপালা দিয়ে নান্দনিকভাবে সাজানোর পদ্ধতিটি ইকেবানা হিসেবে পরিচিত। এটি একটি জাপানি শৈল্পিক কলা, যা মানসিক স্থিরতা ও মনোযোগ আনয়নে বেশ কার্যকরী।

প্রাচীন জাপানে ইকেবানা

ইকেবানা শব্দটি এসেছে জাপানি শব্দ ইকারু ও হানা থেকে। জাপানের পরিভাষায় ইকারু অর্থ সাজানো বা উদ্ভাসিত বা বাঁচিয়ে রাখা এবং হানা অর্থ ফুল। আক্ষরিকভাবে ইকেবানার অর্থ দাঁড়ায় ফুলকে বাঁচিয়ে রাখা। ইকেবানায় ফুল সাজানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায় শিল্পীর শৈল্পিক মনন ও দার্শনিক চিন্তাধারা।

গতানুগতিক ধারার বাইরে সৃজনশীলভাবে ফুল সাজানোর পদ্ধতিটির উদ্ভব ঘটে প্রাচীন জাপানে। ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে চীনা বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারকদের দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিলো শিল্পটি। মূলত গৌতম বুদ্ধকে অর্ঘ্য নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে সূচনা হয়েছিলো এর। জাপানে বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি শিন্তো মতাবলম্বীরাও ফুল সাজানোর মাঝে খুঁজে পেত আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। মন্দিরে ফুল সাজানোর মাধ্যমে ঘটে এর প্রসার। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে পরিপূর্ণভাবে ইকেবানা শিল্পে পরিণত হয় এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এর নিয়মকানুন ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। ধারণা করা হয়, জাপানের কিয়াটোর রোক্কাকুডো মন্দিরের পূজারি প্রচলন করেন ইকেবানার।

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

সময়ের সাথে সাথে জাপানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠে এবং এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে ইকেবানা চর্চা চলছে অনেক বছর ধরে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে উঠে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। রাজধানীর গুলশান ২ এ একতলা বাড়িকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্টারটি। বাংলাদেশে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের মূল কারিগর নীলুফার ফারুক। বছর চারেক আগেই বয়সের কোঠায় ৭০ পেরিয়েছেন তিনি। প্রকৃতির প্রতি প্রেম এবং ইকেবানার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠানটি।

নীলুফার ফারুকের ইকেবানা চর্চা

নীলুফার ফারুকের প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ ছিল সেই ছোটবেলা থেকে। মা, খালা এবং নানা কবি গোলাম মোস্তফার সান্নিধ্যে থেকে গাছের প্রতি তীব্র ভালোবাসা জন্মায় শৈশবেই।

নীলুফার বলেন, 'ছোটবেলায় নানার বাসায় গিয়ে প্রথম ক্যামেলিয়া গাছ দেখি। তখন আমার চার-পাঁচ বছর বয়স হবে। তখনই আসলে চোখ খুলে যায়। একটু বড় হওয়ার পর বাড়িতে মা বেলী ফুল, হাসনাহেনা, জুঁই গাছ লাগিয়েছিলেন। চাঁদনী রাতে আমরা ফুলের গন্ধ পেতাম এবং বারান্দায় বসে গান গাইতাম।'

কর্ণধার নীলুফার ফারুক; ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

শিল্পী পরিবারে জন্ম হওয়ায় শৈল্পিক আবহে বড় হয়েছেন নীলুফার ফারুক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন জাপান দূতাবাস থেকে একটি ক্যালেন্ডার তার বাসায় আসে। সেখানেই প্রথম ইকেবানা চোখে পড়ে। তখন অবশ্য ইকেবানার নাম জানতেন না নীলুফার। কিন্তু ক্যালেন্ডারের ছবিতে থোকা থোকা ফুল, গাছের ডাল দিয়ে সাজানো প্লেট নজর কেড়েছিলো বেশ। তাই ইকেবানার ছবি দেখে নিজে নিজেই বাসায় চেষ্টা করেছিলেন তৈরি করার। ফুল সাজানোর পর তা গাঁথার জন্য কোনো অবলম্বন না থাকায় পিন হোল্ডার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন মোম। মোম গলিয়ে সেখানে বসিয়ে দিতেন ফুল। এরপর মোম জমানোর জন্য ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দিতেন। আর এভাবেই শুরু হয়েছিলো সবটা।

'যেকোনো উৎসবে বাসায় আমাদের কাজ করতে হতো। আলপনা আঁকা, কাগজ কেটে কিছু বানানো, দেবদারু গাছের পাতা দিয়ে গেট সাজানো- ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে আমরা কাজ করতাম। ইকেবানাও তখন বানাতাম', বলেন নীলুফার।

ইকেবানার মূল ভিত্তি 'মিনিমালিজম'

ইকেবানার প্রতি নীলুফারের এমন আগ্রহ চোখ এড়ায়নি মামা মুস্তফা মনোয়ারের। বাংলাদেশে পাপেট ছড়িয়ে দেয়ার কারিগর এবং চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার ছিলেন নীলুফার ফারুকের ছোট মামা। নীলুফার বলেন, 'আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি, তখন মন্টু মামা (মুস্তফা মনোয়ার) ট্রেনিং এর কাজে জাপানে গিয়েছিলেন। তখনও বিটিভি হয়নি, পাকিস্তান টিভিতে কাজ করতেন তিনি। জাপান থেকে ফেরার সময় মামা ইকেবানা নিয়ে বই, পিনহোল্ডার এবং ফুল কাটার বিশেষ কাঁচি নিয়ে এসেছিলেন। তখন বই পড়ে ইকেবানা তৈরির চেষ্টা করতাম।'

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

বৌদ্ধ ধর্মে ইকেবানা চর্চার মূল আধার ছিলো 'মিনিমালিজম'। যেটিকে মনেপ্রাণে ধারণ করেছেন নীলুফার ফারুকও। তার ভাষ্যে, ইকেবানার তিনটি ফুল তিনটি বিষয়কে প্রতিনিধিত্ব করে। এগুলো হলো স্বর্গ, মানুষ ও পৃথিবী। জাপানের ভাষায় যেটি শিন, শো এবং হিকে নামে পরিচিত। মানুষের পৃথিবীতে জন্ম এবং মৃত্যুর পরের বিষয়টি তিনটি ফুল দ্বারা নির্দেশ করা হয়। ফুলের সাথে ব্যবহৃত ডালপালা মানবজীবনের অন্যান্য দিককে নির্দেশ করে।

ইকি, মোরিবানা, রিক্কা প্রভৃতি পদ্ধতিতে ইকেবানা প্রস্তুত করা হয়। অল্প কিছু দিয়ে ফুল সাজানোর প্রক্রিয়াকে অনেকটা ধ্যানের সাথে তুলনা করেন নীলুফার ফারুক। এর মাধ্যমে সুক্ষ্ম জীবনবোধ এবং অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য প্রকাশ পায় বলে যুক্ত করেন তিনি।

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সূত্রপাত

১৯৭৩ সালে জাপান দূতাবাসে প্রথম ইকেবানা নিয়ে কোর্স করেন নীলুফার ফারুক। আগেই ইকেবানা নিয়ে বই পড়ে বিভিন্ন বিষয় জানা থাকায় কোর্স শুরু করতে বেগ পেতে হয়নি তাকে। বরং শেখার পাশাপাশি অন্যদের শেখাতে শিক্ষককে সহায়তা করতে শুরু করেন সেসময়। তিন মাসের কোর্স শেষে নীলুফার প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

পরবর্তী সময়ে সেই জাপানী শিক্ষকের সহায়তায় ইকেবানা নিয়ে আরো গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন নীলুফার ফারুক। পাশাপাশি ১০ বছর শিক্ষকের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেন তিনি। নান্দনিকভাবে ফুল সাজানোর শিক্ষায় এরপর নীলুফার এগিয়ে যান জাপানের ওহারা স্কুল অফ ইকেবানার দিকে। তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের পর তার ইকেবানার পাঠ শেষ হয়।

দশ বছরের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নীলুফার ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ ধানমণ্ডিতে ইকেবানা নিয়ে একটি দোকান খোলেন। সেখানে ফুলের পাশাপাশি বনসাই সহ বিভিন্ন গাছ পাওয়া যেত। বলা যায়, ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সূত্রপাতও সেদিনই হয়েছিলো।

করোনা মহামারির আগ পর্যন্ত বাহারি রকমের গাছ, শুকনো ফুল এবং ইকেবানা নিয়ে নীলুফার ফারুকের গুলশানে বড় পরিধির আরেকটি ব্যবসায় ছিল। মহামারির সময় দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে খানিকটা শ্লথ গতিতেই ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের দ্বার উন্মোচিত হয়।  

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

প্রকৃতির সাথে সন্ধি

জীবনের প্রতিটি ধাপে প্রকৃতি জড়িয়ে আছে, তাই প্রকৃতিকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই নীলুফার ফারুক প্রতিষ্ঠা করেছেন ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। তার মতে, একাকীত্ব, বিষণ্ণতা এবং হতাশা দূর করতে গাছপালা ভীষণ কার্যকরী। তাই গাছ দেখা ও কেনার পাশাপাশি সময় কাটাতে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার উন্মুক্ত রেখেছেন সবার জন্য।

'আমি চাই সবাই প্রকৃতিতে ফিরে আসুক। বাড়িতে থেকে বা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সবাই যদি গাছপালা দেখে, তাহলে মন ভালো হয়ে যাবে', বলেন নীলুফার ফারুক। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের দরজা।  

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে গাছ কেনার পাশাপাশি বাগান করা, ল্যান্ডস্কেপিং নিয়েও ধারণা প্রদান করা হয়। শহুরে দালানগুলোতে সবুজের ছোঁয়া ছড়িয়ে দিতেও কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। নীলুফার বলেন, 'শহরে এখন দেখা যায় সবারই ফ্ল্যাট আছে। তাই বারান্দা, ছাদবাগানের দিকে আমি এখন ঝুঁকেছি। যার যেভাবে লাগবে, সেভাবে ডিজাইন, গাছপালা দিয়ে সবটা সাজিয়ে দেব। কেউ যদি ঘরের জন্য গাছ নিতে চায় তা নেয়ারও ব্যবস্থা আছে আছে।'

কোন গাছ কীভাবে বাঁচে, পানি কতটুকু লাগে কিংবা রোদ-ছায়া কতটুকু লাগে এই সংক্রান্ত পরামর্শও দেওয়া হয় এখানে। তাছাড়া কোন ধরণের গাছ বাসার জন্য প্রয়োজন, তা কেউ বুঝতে না পারলে ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থেকে লোকজন গিয়ে দেখে এসে প্রয়োজনমাফিক গাছ পৌঁছে দেয়। বর্তমানে মালিসহ ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে ১৫ জন কাজ করে।

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

প্রযুক্তিকে দূরে রেখে প্রকৃতির সাথে নীলুফার

ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার এর ভেতরের দিকে এক পাশে রয়েছে অজ ক্যাফে এবং আরেকদিকে রয়েছে একটি আর্ট গ্যালারি। কেউ চাইলে কফি খেতে খেতেও প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে পারবে এখানে।  

প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে নীলুফার ফারুকের। কম্পিউটারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকেও নিজেকে দূরে রাখেন। নীলুফার বলেন, 'প্রযুক্তি অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এবং ইনসিকিউরিটি তৈরি হয়েছে। মানুষের নিজের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়েছে। শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে আজকাল, বয়স্ক কেউ থাকলে উঠে দাঁড়ায় না।'

শখের বশেই ইকেবানা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন নীলুফার ফারুক। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ইকেবানা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্ক সামিটে অতিথিদের ঘরে ফুল সাজানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন নীলুফার ফারুক। অল্প খরচে সফলতার সাথে অনুষ্ঠানটি পার করার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। পরবর্তী সময়ে গণভবন, বঙ্গভবন, সাফ গেমসের স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান সাজানোর কাজ করেছেন নীলুফার ফারুক।  

বিত্তশালী পরিবারে জন্ম হলেও বিত্ত কখনোই ছুঁতে পারেনি নীলুফার ফারুককে। প্রকৃতির সাথে থেকে বরাবরই সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন। বয়স বর্তমানে ৭৪ হলেও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। তার মতে, প্রকৃতি সাথে থাকলে এবং ইকেবানার চর্চা করলে মানুষের ধৈর্য এবং সহনশীলতা বাড়ে। যেটি কেবল ফুলের প্রতিই নয়, অন্যান্য শিল্পের প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।  

Related Topics

টপ নিউজ

ইকেবানা / ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার / ফুল / গাছ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: রয়টার্স
    দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প
  • অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বামে), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
    ৩২ বছরে প্রথমবার শীর্ষ তিনের বাইরে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ, টানা দ্বিতীয়বার সেরা এলএসই
  • হতাশার ডিগ্রি: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা কেন চাকরি পাচ্ছেন না?
    হতাশার ডিগ্রি: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা কেন চাকরি পাচ্ছেন না?
  • চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি: টিবিএস
    চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    সমুদ্রপথে আম-কাঁঠালের বিদেশযাত্রা: কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত

Related News

  • গণপূর্তের জমির ৭০ বছরের পুরনো সেগুন গাছ নিলামে বিক্রি করে দিল পুলিশ!
  • ভেঙে পড়ছে কুয়াকাটার সবুজ বেষ্টনী: প্রতিবছর মারা যাচ্ছে হাজারো গাছ
  • ৪০০ টাকার ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক
  • ধানমন্ডিতে সড়কে গাছ পড়ে দুমড়েমুচড়ে গেল গাড়ি, গুরুতর আহত চালক
  • প্রকৃতির জন্য উৎসর্গ করেছেন জীবন, মাহমুদুল পেলেন জাতীয় পরিবেশ পদক

Most Read

1
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প

2
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বামে), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

৩২ বছরে প্রথমবার শীর্ষ তিনের বাইরে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ, টানা দ্বিতীয়বার সেরা এলএসই

3
হতাশার ডিগ্রি: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা কেন চাকরি পাচ্ছেন না?
বাংলাদেশ

হতাশার ডিগ্রি: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা কেন চাকরি পাচ্ছেন না?

4
চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি: টিবিএস
অর্থনীতি

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

5
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সমুদ্রপথে আম-কাঁঠালের বিদেশযাত্রা: কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net