Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

পোশাকের আবেগ, আবেগের পোশাক: বাংলাদেশের ফুটবল জার্সি সংগ্রাহকদের জগতে

আব্দুল্লাহ আল আকিবের লক্ষ্য কেবল জার্সি দিয়েই পুরো একটি জাদুঘর গড়ে তোলা, যেখানে ঢুকলেই জানা যাবে জার্সির ইতিহাস থেকে অন্যান্য সবকিছু।
পোশাকের আবেগ, আবেগের পোশাক: বাংলাদেশের ফুটবল জার্সি সংগ্রাহকদের জগতে

ফিচার

উসামা রাফিদ
29 May, 2023, 12:10 pm
Last modified: 29 May, 2023, 01:24 pm

Related News

  • ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে
  • ম্যারাডোনার মৃত্যু মামলার বিচারপ্রক্রিয়া 'বাতিল'
  • লামিনে ইয়ামাল: খেলা শিখেছেন লোকাফোন্দার সড়কে, এখন জন্মভূমির তরুণদের অনুপ্রেরণা বার্সার ফুটবল তারকা
  • জয়ের লক্ষ্যে প্রতিকূলতার দেয়াল পেরোচ্ছে বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী

পোশাকের আবেগ, আবেগের পোশাক: বাংলাদেশের ফুটবল জার্সি সংগ্রাহকদের জগতে

আব্দুল্লাহ আল আকিবের লক্ষ্য কেবল জার্সি দিয়েই পুরো একটি জাদুঘর গড়ে তোলা, যেখানে ঢুকলেই জানা যাবে জার্সির ইতিহাস থেকে অন্যান্য সবকিছু।
উসামা রাফিদ
29 May, 2023, 12:10 pm
Last modified: 29 May, 2023, 01:24 pm
ছবি: আব্দুল্লাহ আল আকিব

সপ্তাহের এক-দুটো দিন গভীর রাত পর্যন্ত বাংলাদেশের বহু তরুণের ঘরের জানালা থেকে টিমটিমে আলো চোখে পড়বে। কারণ আর কিছুই নয়: টিভির পর্দায় জমে ওঠা ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর ফুটবল ম্যাচ। নিজের বাবা-মা হোক কিংবা প্রতিবেশী, তাদেরকে না জাগিয়ে তুলতে অতি যত্নে চেপে রাখতে হয় মুখ থেকে বেরিয়ে আসা উল্লাস, অনেকে আবার নিঃশব্দে দৌড়ে বেড়ান পুরো ঘরজুড়ে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আনন্দের মাত্রা এতটাই বেশি হয় যে, চেপে রাখা আনন্দোল্লাস মুখ থেকে বের না হয়ে পারে না।

তবে কেবল আনন্দোল্লাস করেই কোনো ক্লাবের প্রতি সমর্থন-ভালোলাগা-ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়, এমন নয়। একে নীরবে প্রকাশ করতে অনেকেই পরে থাকেন তাদের প্রিয় ক্লাব বা দলের জার্সি। কেবল সমর্থনই নয়, অনেকে নিজের দলের জার্সিকেই মনে করেন নিজের পরিচয়ের অংশ, অফিস থেকে ক্যাম্পাস সর্বত্র তাদেরকে জার্সি পরে থাকতেই দেখা যাবে। আর একে আরও কয়েক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি: গড়ে তুলেছেন জার্সির এক বিশাল সংগ্রহ। কেবল নিজের প্রিয় দলই নয়, অনেকে প্রায় সব ধরনের ক্লাবেরই জার্সি সংগ্রহ করেন। ভালোলাগা কেবল নিজ দলের প্রতি নয়, বরং পুরো ফুটবলের প্রতিই। ঘুরে আসা যাক তাদের জার্সি সংগ্রহশালা থেকে।

প্রথম প্রেম ফুটবল, দ্বিতীয় প্রেম জার্সি

২০১০ সালের জুন মাস। আফ্রিকা মহাদেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। বরাবরের মতো সেবারও ল্যাটিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলকে নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত গোটা বাংলাদেশ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি, আয়োজক জার্মানিসহ আরও বেশ কিছু দেশের পতাকাও চোখে পড়ছে। মহল্লার মোড়ে মোড়ে শোনা যাচ্ছে কেনানের গাওয়া ওয়েভিন ফ্ল্যাগ। সাথে যোগ হয়েছে ভুভুজেলার পোঁ-পোঁ শব্দ।

বিশ্বকাপের এই উন্মাদনায় সমর্থন বাড়াতে নিজের প্রিয় দল ব্রাজিলের জার্সি কেনার আবদার করলেন আব্দুল্লাহ আল আকিব। তার সেই আবদার মেটাতে তার বড় মামা তাকে কিনে দিলেন রিকার্ডো কাকার গায়ে জড়ানো ব্রাজিলের হলুদ জার্সি। সেই থেকেই শুরু। এরপর তিনি ইউরোপীয় ফুটবলে মনোযোগ দিয়েছেন, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে জড়িয়ে লিসবনে তার প্রিয় দলকে 'লা ডেসিমা' জিততে দেখেছেন। একইসাথে তার ওয়্যারড্রোবের ড্রয়ার আর শেলফগুলো ভরে উঠেছে রোনালদো, ওজিল, মার্সেলো, মদ্রিচদের জার্সিতে। বর্তমানে আকিবের সংগ্রহে আছে ৪৫০-রও বেশি জার্সি, আর এই সংখ্যা যে সামনের বছরগুলোতে আরও বাড়বে সে ব্যাপারেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। 

'ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার ভক্ত ছিলাম। আর সেখান থেকেই জার্সির প্রতি এই ভালোবাসার শুরু। প্রথম জার্সি হাতে পাওয়ার পর থেকেই জার্সি সংগ্রহের নেশা শুরু হয়। প্রিয় দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ আর ব্রাজিলের জার্সি তো বটেই, অন্য বহু দলের জার্সি আমার সংগ্রহে আছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে আমার প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এমনকি তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেসিরও রয়েছে। বলা যায় আমি পুরো ফুটবল খেলাটাকেই ভালোবাসি। তাই ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে কাকা, বেকহাম, রামোস, নেইমার, রুনি কিংবা ফন পার্সি, বহু কিংবদন্তীর নাম লেখা জার্সিও সংগ্রহ করেছি।'

আব্দুল্লাহ আল আকিবের মতো ২০১০ বিশ্বকাপ থেকেই জার্সি সংগ্রহ শুরু করেছিলেন খন্দকার ফাহিম। বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার সমর্থক ফাহিমেরও প্রথম জার্সিটি ছিল নিজের প্রিয় দল আর্জেন্টিনার। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে সংখ্যাটা ৩০০ ছাড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তালিকার সবচেয়ে ওপরে রয়েছে বার্সেলোনা (৫০+) এবং আর্জেন্টিনা (৪০+)। খেলোয়াড়ের তালিকাতেও সবার ওপর থেকে যথাক্রমে আছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার। এছাড়াও কিংবদন্তী রোনালদো নাজারিও আর রবার্ট লেভানডস্কির নাম লেখা জার্সিও আছে তার সংগ্রহে।

ফাহিম খন্দকারের জার্সি কেবিনেট, যেখানে রয়েছে ৩০০-রও বেশি জার্সি ; ছবি: খন্দকার ফাহিম

সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে কখনো জার্সি কেনা শুরু করেননি বলেই জানান খন্দকার ফাহিম। 'হঠাৎ করেই একদিন খেয়াল হলো আমার সংগ্রহে বেশ কিছু জার্সি রয়েছে। তারপর থেকে জার্সি কেনা থামাইনি। একসময় এটাই নেশার মতো হয়ে ওঠে। তারপর নিজেই জার্সির ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছি। নিজের প্যাশনই হয়ে উঠেছে কাজ। এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?'

বায়ার্ন মিউনিখ আর জার্মানির পাড় ভক্ত সৈয়দ সামিউল আলম রাইন তার প্রিয় দলের জার্সি পরে কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি জাপানের কাছে জার্মানিকে হারতে দেখলেও কখনো বুকের সাথে লেগে থাক ব্যাজকে ওয়্যারড্রোবে আটকে রাখেননি। নেপালের পাহাড় কিংবা সৌদি আরবের মরুভূমি, বায়ার্ন মিউনিখ আর জার্মানির জার্সি গায়েই পা ফেলেছেন সবজায়গায়। সংগ্রহে আছে ৭০টিরও বেশি জার্মানি আর বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি। তাই 'নিজের প্রিয় দলের জার্সি কতটুকু প্রশান্তি দেয়?', এ প্রশ্নের উত্তরে জানান, 'এটাকেই তো অনেকটা নিজের আইডেন্টিটি বলা যায়। জার্সি যতটুকু না দামি, তার চেয়েও বেশি দামি এর সাথে জড়িয়ে থাকা আবেগ। '

একই ধরনের বক্তব্য খন্দকার ফাহিমেরও। তিনিও জানান, বার্সেলোনার জার্সি সংগ্রহ তাকে এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। 'তবে জার্সি সংগ্রাহক হিসেবে আমার যেকোনো জার্সি কিনতেই ভালো লাগে। সংগ্রহ করাটাই আনন্দের। আমি ফুটবলকে ভালোবাসি, প্রায় সব বড় ক্লাবের খেলা দেখা হয়। প্রতিটি ক্লাবের ইতিহাস, আবেগ ঐ জার্সির গায়ে লেগে থাকে। তাই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাটাই আমাকে জার্সি সংগ্রাহকে পরিণত করেছে।'

'এই সংগ্রহের শেষ কোথায়?' প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার ফাহিম জানান, 'এর কোনো শেষ নেই। যতদিন সামর্থ্য আছে, ততদিন জার্সি সংগ্রহ করে যেতে থাকবো।' তবে আব্দুল্লাহ আল আকিবের লক্ষ্য আরও বড়। তিনি চান, কেবল জার্সি দিয়েই পুরো একটি জাদুঘর গড়ে তুলতে, যেখানে ঢুকলেই জানা যাবে জার্সির ইতিহাস থেকে অন্যান্য সবকিছু। 'পৃথিবীর সব জার্সি সংগ্রহ করার স্বপ্ন আছে, কিন্তু তা করার সাধ্য নেই। যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।'

আরেক বায়ার্ন মিউনিখ আর জার্মানি সমর্থক জাকিয়া সুলতানা তার জার্সি সংগ্রহের প্রাথমিক লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। প্রায় ৬৫টি জার্সি সংগ্রহ করা জাকিয়া জানান, আপাতত তার লক্ষ্য ১০০টি জার্সির মাইলফলকে পৌঁছানো। তাই চলতি মৌসুমের জার্সিগুলো সংগ্রহ করাই তার লক্ষ্য। তবে জার্সি সংগ্রহের সময় সাধারণত তিনি খেলোয়াড়ের নামসহ জার্সি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের 'সবচেয়ে বড় টমাস ম্যুলার সমর্থক' হিসেবে দাবি করা জাকিয়া জানান, বাংলাদেশে সম্ভবত তার কাছেই সবচেয়ে বেশি ম্যুলারের নাম লেখা জার্সি রয়েছে। এছাড়াও গ্যোরেৎস্কা, কিম্মিখ, রোবেন থেকে শুরু করে হালের মুসিয়ালা কিংবা ডি লিট, এদেরও জার্সি রয়েছে তার সংগ্রহে।

জার্সি কেনার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই সেটি কোন দলের জার্সি সেটাই মাথায় রাখেন সংগ্রাহকেরা। প্রিয় ক্লাবের ক্ষেত্রে ডিজাইন বা অন্যান্য বিষয় তেমন ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, কারণ তখন ক্লাবটিই মুখ্য। এছাড়াও ক্লাবের পক্ষ থেকে যদি বিশেষ কোনো এডিশনের জার্সি বের করা হয়, সেটিও সংগ্রহে রাখতে চান সংগ্রাহকেরা। বায়ার্ন ভক্ত রাইন জানান, 'বায়ার্নের ১২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বের করা বিশেষ জার্সি কিংবা প্রথম বুন্দেসলিগা জয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বের করা বিশেষ এডিশনের জার্সি তিনি সংগ্রহে রাখার জন্যেই কিনেছেন।' এদিকে খন্দকার ফাহিম জানান, 'ভিন্ন ক্লাবের জার্সির ক্ষেত্রে সাধারণত জার্সিটির ডিজাইন কেমন, দেখতে কতটা ভালো লাগছে, সেটি বড় একটা প্রভাব রাখে।'

অন্যদিকে জাকিয়ার মতে জার্সির সৌন্দর্য খুব একটা বড় বিষয় নয়। 'যে ক্লাবের সাথে কোনো স্মৃতি জড়িয়ে আছে বা একসময় তাদের খেয়াল দেখা হতো, তাদের জার্সিই আমি সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করি। যেমন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইউভেন্টাসের বেশ কিছু জার্সি আমার কাছে রয়েছে। তাছাড়া ঐতিহাসিক কোনো মুহূর্তের জার্সিও আমি সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করি। যেমন: ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পরা জার্সিটি আমার সংগ্রহে রয়েছে।'

কেবল জার্সিই নয়, ফুটবল ক্লাবের ট্রেনিং কিট, হুডি, সোয়েটশার্ট, ক্যাপ, ফ্ল্যাগ কিংবা স্কার্ফসহ আরও বহু ধরনের মার্চ্যান্ডাইজ রয়েছে। ফুটবল ক্লাবগুলোর ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যাবে এর বিস্তারিত তালিকা। জার্সি সংগ্রহ করতে গিয়ে কি কখনো এই মার্চ্যান্ডাইজগুলোও সংগ্রহ করার ইচ্ছা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করায় রাইন জানান, 'হ্যাঁ, আমার কাছে স্কার্ফ এবং ক্যাপ রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে এগুলোর বাজার খুবই ছোট। এর প্রধান কারণ আমরা স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচ দেখার সুযোগ পাই না, যা দেখা হয় সবই টিভি বা মোবাইলের পর্দায়। যদি স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখার সুযোগ পাওয়া যেত, তাহলে দেখা যেত আমরা স্কার্ফ মেলে ধরছি বা ক্যাপ পরে আছি। বাংলাদেশে যেহেতু সে সুযোগ নেই, তাই আলাদা করে এগুলো তেমন গুরুত্ব পায় না।' ফাহিমও জানান, তার কাছেও ফুটবল সম্পর্কিত মার্চ্যান্ডাইজের প্রায় সবগুলোই কম-বেশি রয়েছে।   

সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশে ফুটবল দলগুলোর বেশ কিছু মানের জার্সি পাওয়া যায়। জার্সি ফ্রিক বিডির স্টাফ মো. মুসা জানান, 'আমরা সাধারণত ৩ ধরনের জার্সি বিক্রি করি, থাই প্রিমিয়াম, প্লেয়ার ভার্শন এবং এক্সক্লুসিভ প্লেয়ার ভার্শন। মানভেদে জার্সিগুলোর দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করে।'

বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা জার্সি পাওয়া গেলেও এগুলোর মান একেবারেই ভালো নয়, এবং খুব সহজেই আলাদা করা যায় বলে জানান রাইন। তিনি জানান, 'বাংলাদেশে কোনো অফিশিয়াল স্টোর না থাকার কারণে ইউরোপের অফিশিয়াল স্টোর কিংবা ভারতে অ্যাডিডাসের অফিশিয়াল স্টোর থেকে জার্সি আনাতে হয়। তখন সেখানে অবস্থান করছে এমন কোনো পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমেই সেগুলো আনাতে হয়। ২০১৮-১৯ মৌসুমের বায়ার্ন মিউনিখের ৩টি অফিশিয়াল জার্সি আনাতে আমার প্রতিটা জার্সির পেছনে খরচ করতে হয়েছিল ৮৫ ইউরো বা প্রায় ৯ হাজার টাকা।'

বাংলাদেশের মতো দেশে অফিশিয়াল জার্সির উচ্চ দামের কারণে সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে টিকবে না বলেই মতামত দেন রাইন। এর অন্যতম প্রধান কারণ বাংলাদেশের ফুটবল পাগল ব্যক্তিদের অধিকাংশই তরুণ, যাদের আয় একেবারেই নেই অথবা থাকলেও সেটি খুব বেশি নয়। তাই থাই প্রিমিয়াম থেকে এক্সক্লুসিভ প্লেয়ার ভার্শনের মধ্যেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্রেতাদেরকে। তবে রাইন জানান, 'সবচেয়ে ভালো মানের প্লেয়ার ভার্শন থেকে অফিশিয়াল স্টোরের জার্সির খুব একটা পার্থক্য নেই। হয়তো উনিশ-বিশ হবে, তারচেয়ে বেশি নয়।'

বায়ার্ন মিউনিখের জার্সির সংগ্রহ; ছবি: সামিউল আলম রাইন

ফাহিমও এ ব্যাপারে একমত হন। তার মতে, 'চীন থেকে আমদানি করা রেপ্লিকা জার্সির সাথে আসল অফিশিয়াল স্টোরের জার্সির পার্থক্য একবারেই কম। আমার কাছে যেহেতু দুই ধরনের জার্সিই রয়েছে, তাই আমি এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি। একটা আসল জার্সির মূল্য প্রায় ১০ হাজার থেকে শুরু করে কখনো কখনো ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যায়। সেখানে প্রায় একই কোয়ালিটির রেপ্লিকা জার্সির মূল্য ১ হাজারের আশেপাশে।'

জার্সির দামের কারণে কেনাবেচার ওপরে কোনো প্রভাব পড়ে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে মুসা জানান, 'যারা নিয়মিত জার্সি কেনেন তারা সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির জার্সিই খোঁজেন। যেহেতু তিন কোয়ালিটির জার্সির খুব বেশি পার্থক্য নেই, ক্রেতারা তাদের বাজেট অনুযায়ী জার্সিগুলো কেনেন।'

জাকিয়াও জানিয়েছেন যে অফিশিয়াল জার্সির অত্যধিক দামের কারণে ইচ্ছা থাকলেও কখনো সেগুলো কেনার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবেই সাধারণত জার্সির সাথে থাকা প্যাচসহ (টুর্নামেন্ট বা অন্যান্য ব্যাজ) কিনে থাকেন তিনি। ভবিষ্যতে কখনো অফিশিয়াল জার্সি কেনার ইচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।

জার্সি সংগ্রাহকরা সাধারণত স্থানীয় জার্সির দোকান থেকেই জার্সিগুলো কিনে থাকেন। তবে কেউ কেউ বাইরে থেকেও জার্সি নিয়ে আসেন। ফাহিম জানান, 'জার্সির ব্যবসা থাকার কারণে আমার নিজেরই পরিচিত ইম্পোর্টার রয়েছে। তবে প্রায়ই দেখা যায়, অন্য দোকানে এমন কিছু জার্সি রয়েছে, যেগুলো আমার কাছে নেই, তখন আমি ওগুলো সাথে সাথে কিনে ফেলি। যদিও আমি চাইলেই সেটা কিছুদিনের মধ্যেই যোগাযোগ করে আনাতে পারি, তবে একজন জার্সি সংগ্রাহক হিসেবে তাৎক্ষণিক লোভ সামলানো মুশকিল।'

জার্সি সংগ্রহের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থকেই বলা যায়। এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে জানতে চাইলে ৩০০-রও বেশি জার্সির মালিক খন্দকার ফাহিম জানান কমপক্ষে ৬ লক্ষ টাকা তিনি জার্সি কেনার পেছনে খরচ করেছেন। রাইনেরও অনুমান তিনি আড়াই লক্ষের কাছাকাছি অর্থ খরচ করেছেন।

এদিকে আকিব জানান, তিনি কখনো তার সংগ্রহের অর্থমূল্য হিসাব করার চেষ্টা করেননি। যখনই নতুন কোনো জার্সি দেখেছেন, টাকার কথা না ভেবেই সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণেই তার সংগ্রহে বড় বড় ইউরোপীয় ক্লাব বা ফুটবলের পাওয়ারহাউজ দেশগুলোর জার্সি তো রয়েছেই, এর বাইরেও রাশিয়া, নরওয়ে, ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মালি, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, হন্ডুরাসের মতো দেশ এবং নাপোলি, লাৎসিও, মার্শেই, ভেনেজিয়া, ওয়েস্ট হ্যাম, লেস্টার সিটি, এলএ গ্যালাক্সি, ডিসি ইউনাইটেড, পাল্মেইরাস, অ্যাটলেটিকো মিনেইরো, সাও পাওলো, করিন্থিয়ান্স, রিভার প্লেট এবং বোকা জুনিয়র্সের মতো তুলনামূলক কম প্রচলিত ক্লাবের জার্সিও রয়েছে।

সংগ্রহ করার আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো পরিবারের বাধা। আকিব জানান, তার এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলার পেছনে তিনি পরিবারের সহায়তা তেমন পাননি, কারণ একে অনেকটাই অর্থ অপচয় মনে করতেন তারা। একই কথা জানান জাকিয়াও, যিনি নিজের হাতখরচের টাকা জমিয়ে এতগুলো জার্সি সংগ্রহ করেছেন। তবে রাইন জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই জার্সি পরেই সময় কাটাতেন। বায়ার্ন আর জার্মানির বিশাল সংগ্রহ থাকায় এবং সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার পর ফেসবুকের ফুটবল কমিউনিটির অনেকের উৎসাহ পেয়েছেন তিনি।

এদিকে নতুন সংগ্রহ শুরু করা জার্সি সংগ্রাহকদের উদ্দেশ্যে ফাহিম পরামর্শ দেন, 'কিছু কিছু সময় দেখা যায়, বেশ কিছু জার্সির দোকান যে কোয়ালিটির জার্সি বলে বেশি দামে বিক্রি করছে, তার চেয়ে কম কোয়ালিটির জার্সি ক্রেতাদের কাছে গছিয়ে দিচ্ছে। তাই নতুন সংগ্রাহকদের উচিৎ জার্সির কোয়ালিটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া।' 

সংরক্ষণ

জার্সি সংগ্রাহকদের একটি বড় মাথাব্যথার কারণ জার্সির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং যত্ন, কারণ জার্সিটিকে যত বেশি ধোঁয়া হয়, ততই এর রঙ বা কাপড়ের উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে থাকে, হারিয়ে যায় এর মসৃণতা। একইসাথে এর ওপরে থাকা রাবারের আস্তরণও উঠে আসতে থাকে, লোগোর রঙ হয়ে আসে অস্পষ্ট।

এ প্রসঙ্গে আকিব জানান, পুরনো কিছু জার্সি রয়েছে যেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়েই কখনো তিনি পরেন না। তিনি বলেন, 'যেসব জার্সিতে রাবারের আস্তরণ থাকে, সেগুলোর আঠা সময়ের সাথে সাথে টেম্পার হারানোটাই স্বাভাবিক। তাই ওগুলোতে সাধারণত আমি হাতও দেই না। এছাড়াও প্লেয়ার ভার্শনে এম্ব্রয়ডারি করা লোগোর রঙও ধোঁয়ার সাথে সাথে উঠে যেতে থাকে, তখন খুব সাবধানে এগুলো পরিষ্কার করতে হয়।'

প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার জার্সিগুলোর সাথে ফাহিম; ছবি: খন্দকার ফাহিম

রাইনও জানান, 'অপরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কারণেই তিনি সাদা রঙয়ের জার্সিগুলো কিছুটা কম পরেন। তারপরেও যেহেতু তিনি প্রায় সময়েই জার্সি পরে থাকেন, তাই ধোঁয়ার সময় এগুলোকে অন্যান্য কাপড় থেকে আলাদা করেই যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করা হয়।'

এদিকে আকিব জানান, খেলোয়াড়দের নাম লেখা জার্সিগুলোকে ভাঁজ করে রাখলে, ভাঁজের কারণে খেলোয়াড়দের নামটি উঠে আসতে পারে। এজন্য এ ধরনের জার্সিগুলো তিনি কেবিনেটে ঝুলিয়ে রাখেন। ফাহিমও জানান, তিনি কেবল জার্সি ঝুলিয়ে রাখার জন্যই একটি কেবিনেট বানিয়েছেন, এবং জায়গা শেষ হয়ে আসায় আরও একটি বানানোর পরিকল্পনা করছেন। 

ফ্যাশন হিসেবে জার্সির বিবর্তন

ফুটবল জার্সির জন্ম এর খেলার সাথেই। ইংল্যান্ডে যখন প্রথম ফুটবল খেলা শুরু হয়, তখন এর খেলোয়াড়েরা ক্রিকেটের জন্য তৈরি ফুলহাতা শার্ট পরেই মাঠে নামতো। দুই দলকে আলাদা করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের ক্যাপ, হ্যাট বা স্কার্ফ পরা হতো। জার্সিগুলো তৈরি হতো ভারি তুলা দিয়ে।

১৮৮৮ সালে যখন ইংল্যান্ডে ফুটবল লীগ শুরু হয়, তখন দলগুলো নিজেদের জন্য প্লেইন, স্ট্রাইপস, ডায়াগনাল হাফ, ভার্টিক্যাল হাফ, পোলকা ডটের মতো বিভিন্ন ডিজাইনের জার্সি নির্দিষ্ট করে। তখনো গোলকিপারদের জন্য আলাদা জার্সি তৈরি শুরু হয়নি, মাঠের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আলাদা করার জন্য তাদেরকে ক্যাপ পরতে হতো। কিন্তু মাথায় ক্যাপ পরা বা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলা যেত সহজেই, ফলে মূল মাঠের খেলোয়াড়দেরকে আলাদা করার জন্য ১৯০৯ সালে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গোলকিপারদের জন্য লাল, নীল বা সাদা রঙের প্লেইন ডিজাইনের জার্সি নির্দিষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে, রেফারিদের জন্য নির্ধারিত ছিল কেবল কালো রঙের জার্সি, যা অন্য ক্লাব ব্যবহার করতে পারতো না।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে নাম্বার ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়। ১৯৩৩ সালের এফএ কাপ ফাইনালে এভারটনের খেলোয়াড়দের জন্য ১ থেকে ১১ এবং ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের জন্য ১২ থেকে ২২ নম্বর জার্সি নির্ধারণ করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ থেকে ফিফা সব দলের জন্য নির্ধারিত ১ থেকে ১১ নম্বর নির্দিষ্ট করে দেয়, যে নিয়ম আজও চলমান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে তুলার বদলে সিনথেটিকের জার্সির প্রচলন শুরু হলেও তা পরিমাণে বেশ কম ছিল। বেশিরভাগ দলই হালকা তুলা দিয়ে তৈরি জার্সি পরা শুরু করে। এরপর সত্তরের দশকে শুরু হয় জার্সিতে স্পন্সরের ব্যবহার। ১৯৭৩ সালে জার্মান ক্লাব আইনট্র্যাক্ট ব্রনশভাইগ প্রথম 'ইয়্যাগেরমাইস্টার' কোম্পানির লোগো স্পন্সর হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। স্পন্সর নিয়ে লীগ এবং ক্লাবগুলোর বাগবিতণ্ডা শুরু হলেও দশকের শেষদিকে এসে স্পন্সরের ব্যবহারই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তি বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারের জার্সি সংগ্রহ; ছবি: সামিউল আলম রাইন

আশির দশকের শুরু থেকেই তুলার জায়গা দখল করে নিতে থাকে পলিয়েস্টার। পলিয়েস্টারের ফলে বিভিন্ন রঙবেরঙের জার্সি তৈরি সম্ভব হয়, যার প্রমাণ ১৯৮০ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ডের জার্সি, ১৯৮৮ ইউরোর নেদারল্যান্ডসের জার্সি এবং ১৯৯০ সালের পশ্চিম জার্মানির জার্সি। ঐ সময় থেকেই জার্সি তৈরিকারক কোম্পানিগুলোর প্রচারণায় রেপ্লিকা জার্সি তৈরি হতে শুরু করে। ফুটবল দলের সমর্থকরা নিজেদের দলের জার্সি পরা শুরু করে। ক্লাবগুলোও নিজেদের লাভের পরিমাণ বাড়াতে হাত মেলায় জার্সি তৈরিকারক কোম্পানিগুলোর সাথে, মার্চ্যান্ডাইজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক বিশাল ব্যবসা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মালিকানাধীন দ্য অ্যাথলেটিকের তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি করা ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, যারা ২০২১ সালে বিক্রি করেছে ৩ মিলিয়ন জার্সি।

তবে পলিয়েস্টারের জার্সির একটি বেশ বড় সমস্যা রয়েছে, আর তা হলো এগুলো তৈরিতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক আর তেল ব্যবহার হয়, যা টেকসই পরিবেশের পথে অন্যতম বাধা। টেকসই ফ্যাশন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন রেভোল্যুশনের বাংলাদেশ শাখার গবেষণা ও প্রকাশনা সহযোগী মাশকুরা বিনতে আরিফ রাত্তিলা এ বিষয়ে বলেন, 'ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পে ব্যবহৃত ফ্যাব্রিকগুলোর বেশিরভাগই প্লাস্টিকের তৈরি। তাই জার্সি ফ্যাব্রিক প্রস্তুতকারকদেরকে নতুন ফ্যাব্রিক তৈরি না করে সমুদ্রের বর্জ্যকে রিসাইকেল করার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। পরিবেশের কথা চিন্তা করে তাদের টেকসই উদ্ভাবনের গুরুত্ব বুঝতে হবে এবং কীভাবে এটি কার্যকরভাবে গ্রাহকদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও কাজ করতে হবে। জার্সির ভোক্তাদেরকেও তাদের কেনাকাটার পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। ভোক্তাদের পোশাক সম্পর্কিত ধারণা পরিবর্তন করতে ইকো-লেবেলিং একটি দারুণ উপায় হতে পারে।' ইতিমধ্যেই অ্যাডিডাস পার্লে নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে সমুদ্র বর্জ্য থেকে রিসাইকেল করা প্লাস্টিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের জন্য পরিবেশবান্ধব জার্সি তৈরি শুরু করেছে। এর আগে ইংল্যান্ডের ফরেস্ট গ্রিন রোভার্স ক্লাবের জার্সিও তৈরি করা হয়েছিল বাঁশ থেকে।

জার্সি সংগ্রহের ফলে নিজের ক্লাবের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন বলে জানান সংগ্রাহকরা। এ প্রসঙ্গে রাইন বলেন, 'বায়ার্নের ১২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যখন বিশেষ জার্সিটি বের করা হয়, তখন এর ডিজাইন বেশ আলাদাই লাগে। তখনকার সময়ের জার্সি সম্পর্কেও আইডিয়া পাই। লালরঙা হাতা আর একেবারে সাদা ডিজাইনের এই জার্সি দেখেই মনে হচ্ছিলো এটা অনেক আলাদা। কারণ ঐ সময়ে জার্সিতে দলের ক্রেস্ট কিংবা স্পন্সরের লোগো ব্যবহার করা হতো না। ঐ সময়ের জার্সির সাথে মিলিয়েই এই জার্সির ক্রেস্ট একেবারে সাদা করা হয়েছে, যা খুব ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে বোঝা যায় না। তাছাড়া বায়ার্নের প্রথম বুন্দেসলিগা জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যে বিশেষ সংস্করণের জার্সি বের হয়েছে, তা থেকেও বায়ার্ন মিউনিখের তখনকার সময়ের ইতিহাস জানা যায়। বুন্দেসলিগা যখন শুরু হয়, তখন বায়ার্ন মিউনিখ তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় টেবিলে এগিয়ে থাকলেও শেষ ১২ বছরে কোনো শিরোপা না জেতায় তাদেরকে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। পরে এর দুই বছর পরই প্রমোশনের মাধ্যমে বুন্দেসলিগায় সুযোগ পায় তারা, এবং অবশেষে ১৯৬৯ সালে প্রথম লীগ শিরোপা জেতে।'

প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জার্সি সংগ্রহ; ছবি: আব্দুল্লাহ আল আকিব

এদিকে 'ফ্যাশন হিসেবে জার্সির সম্ভাবনা কতটুকু' প্রশ্নের জবাবে রাত্তিলা জানান, 'বাংলাদেশি তরুণরা ফ্যাশন আর ট্রেন্ড নিয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। ইতিমধ্যেই তরুণদের কাছে ফ্যাশন হিসেবে জার্সির একটি শক্তিশালী অবস্থান দাঁড়িয়ে গেছে। আগামী সময়ে এই ধারা আরও বেশ শক্তিশালী হবে, কারণ বাংলাদেশিরা স্পোর্টস নিয়ে সবসময়েই কম-বেশি উৎসাহী ছিল।'

বাংলাদেশে টেলিভিশনে ইউরোপীয় ফুটবল লীগগুলোর ব্রডকাস্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্লাবগুলোকে অনুসরণ করা সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই পালে হাওয়া লাগিয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলো, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভক্ত-সমর্থকরা ফুটবল নিয়ে আলোচনা করেন। দর্শক বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্লাব আর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির মার্কেটিং আরও জোরদার হয়েছে, যার ফলাফল প্রতি বছর রেকর্ড পরিমাণ জার্সি বিক্রি। এ অবস্থায় জার্সি সংগ্রাহকদের সংখ্যাও যে ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।


  • তথ্যসূত্র: দ্য কমপ্লিট হিস্টোরি অব দ্য ফুটবল জার্সিস- টিফো ফুটবল (দ্য অ্যাথলেটিক)
     

Related Topics

টপ নিউজ

ফুটবল / ফুটবল জার্সি / জার্সি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • চাটগাঁইয়াদের চোখে ‘ভইঙ্গা’ কারা? কেনই-বা এই নাম?
  • শেখ পরিবারের একচ্ছত্র শাসন থেকে দুই ভাইয়ের মনোনয়ন লড়াই: বাগেরহাটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া
  • ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও
  • ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প
  • পরিচ্ছন্নতার রোল মডেল জাপান, তবে ট্র্যাশ ক্যানগুলো কোথায়?
  • গাজায় ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব কে?

Related News

  • ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে
  • ম্যারাডোনার মৃত্যু মামলার বিচারপ্রক্রিয়া 'বাতিল'
  • লামিনে ইয়ামাল: খেলা শিখেছেন লোকাফোন্দার সড়কে, এখন জন্মভূমির তরুণদের অনুপ্রেরণা বার্সার ফুটবল তারকা
  • জয়ের লক্ষ্যে প্রতিকূলতার দেয়াল পেরোচ্ছে বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী

Most Read

1
ফিচার

চাটগাঁইয়াদের চোখে ‘ভইঙ্গা’ কারা? কেনই-বা এই নাম?

2
বাংলাদেশ

শেখ পরিবারের একচ্ছত্র শাসন থেকে দুই ভাইয়ের মনোনয়ন লড়াই: বাগেরহাটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া

3
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও

4
আন্তর্জাতিক

ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

5
আন্তর্জাতিক

পরিচ্ছন্নতার রোল মডেল জাপান, তবে ট্র্যাশ ক্যানগুলো কোথায়?

6
আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব কে?

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab