Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
June 24, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, JUNE 24, 2025
পেশেন্ট এম: যুদ্ধে মাথায় আঘাতের পর পৃথিবীকে উল্টো দেখতে শুরু করেছিলেন যিনি

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
17 May, 2023, 06:05 pm
Last modified: 17 May, 2023, 06:05 pm

Related News

  • শিগগিরই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় ইসরায়েল: সূত্রের দাবি
  • উদ্বাস্তু: প্রিয়জন ও ভিটেমাটিকে নীরবে বিদায় জানিয়ে যাওয়া 
  • ডাক্তার কতদিন নিধিরাম সর্দার থাকবে?
  • ডেঙ্গুতে ২৩৪ জন আক্রান্ত, বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ১১৯
  • ইরানের বিষয়ে ট্রাম্পের সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাব মার্কিন সিনেটরের

পেশেন্ট এম: যুদ্ধে মাথায় আঘাতের পর পৃথিবীকে উল্টো দেখতে শুরু করেছিলেন যিনি

স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় তার মাথায় কোনো বস্তু এসে মারাত্মক আঘাত হানে। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। হাসপাতালে তার চিকিৎসা করেছিলেন তরুণ ডাক্তার হুস্তো গঞ্জালো। ডাক্তারের কাছে তার পরিচয় ছিল পেশেন্ট এম হিসেবে। আঘাতের পর মাঝেমধ্যেই নিজের চারপাশের বিভিন্ন ঘটনা উল্টোভাবে ঘটতে দেখতেন এম। বিস্তারিত স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল পাইস-এর প্রতিবেদনে।
টিবিএস ডেস্ক
17 May, 2023, 06:05 pm
Last modified: 17 May, 2023, 06:05 pm
১৯৫৪ সালে মাদ্রিদে একটি নিউরোসাইকিয়াট্রি কংগ্রেসে হুস্তো গঞ্জালো। ছবি: পারিবারিক সংগ্রহ ভিয়া এল পাইস

স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ চলছে। সময়টা ১৯৩৮ সাল। যুদ্ধে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক মাথায় মারাত্মক আঘাত পেলেন। দুই সপ্তাহ পর তার জ্ঞান ফিরে এল। কিন্তু জেগে উঠে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন তিনি। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে তিনি পৃথিবীকে উল্টোভাবে দেখা শুরু করলেন।

যুবকের চিকিৎসা করেছিলেন ২৮ বছর বয়সী তরুণ ডাক্তার হুস্তো গঞ্জালো। রোগীকে তিনি পেশেন্ট এম হিসেবে ডাকতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বস্তু উড়ে এসে এম-এর মাথায় লেগেছিল। এর ফলে তার মস্তিষ্কের বাম প্যারাইটো-অক্সিপিটাল অঞ্চলের সেরেব্রাল কর্টেক্স আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে যান, তার জন্য কোনো সার্জারি বা বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন হয়নি। ডাক্তার গঞ্জালো বুঝতে পারলেন, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এ কেস মানব মস্তিষ্কের কর্মপদ্ধতি জানতে দারুণভাবে সাহায্য করবে।

গৃহযুদ্ধ শেষ হলো। ডাক্তার গঞ্জালো ও তার রোগী তারপরও একে অপরের সঙ্গে প্রায় পাঁচ দশক যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। গঞ্জালো মারা যান ১৯৮৬ সালে। তার মেয়ে ইসাবেল গঞ্জালো বাবার পুরোনো কাগজপত্র বের করে নতুন করে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিউরোসাইকোলজিস্ট আলবার্টো গার্সিয়া মোলিনা।

গঞ্জালো যখন প্র্যাক্টিস করছিলেন তখন বিজ্ঞানীমহল দুইভাগে বিভক্ত ছিল। একপক্ষ মস্তিষ্ককে সামগ্রিকভাবে একক অঙ্গ হিসেবে দেখত। অন্যপক্ষ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলকে আলাদা-আলাদা হিসেবে বিবেচনা করত। হুস্তো গঞ্জালো পেশেন্ট এম-এর ওপর ভিত্তি করে থিওরি অভ ব্রেইন ডায়নামিক্স নামক নতুন একটি মধ্যবর্তী অনুমান প্রস্তাব করেন।

১৯৫১ সালে হুস্তো গঞ্জালোর আঁকা পেশেন্ট এম-এর মাথার স্কেচ। ছবি: হুস্তো গঞ্জালো ভিয়া এল পাইস

পেশেন্ট এম তাদের বাড়িতে আসতেন, সেই সুবাদেই তার সঙ্গে ইসাবেল গঞ্জালোর পরিচয়। একবার বিশ্রাম করার সময় বড় কোনো উদ্দীপক ছাড়াই তিনি হঠাৎ করে পৃথিবীকে উল্টোভাবে দেখা শুরু করলেন। তার চোখের সামনে বস্তুগুলো তিনটি করে ও সবুজ রংয়ে আবির্ভূত হতে শুরু করল। তার শ্রবণ ও স্পর্শের অনুভূতিও বিপরীতমুখী হয়ে গেল। পেশেন্ট এম কেসটির বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে নিউরোলজিয়া জার্নালে।

২০ শতকের শুরুর দিকে স্পেনে মানবমস্তিষ্ক নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছিল। ১৮৮৮ সালে গবেষক সান্তিয়াগো রামোন ই কাহাল প্রমাণ করেন আমাদের মস্তিষ্ক নিউরন দিয়ে তৈরি। এ আবিষ্কারের জন্য ১৯০৬ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন তিনি।

কাহালের সময় তার কয়েকজন ভালো শিষ্যও চিকিৎসাবিদ্যায় বেশ ভালো কাজ করেন। এরকম একজন ছিলেন স্নায়ুবিদ গঞ্জালো রদ্রিগেজ লাফোরা। গৃহযুদ্ধ শুরু হলে এই লাফোরাই হস্তো গঞ্জালোকে তার স্কিল ট্রমা সেন্টারে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

সেখানে কাহালের শিষ্য গঞ্জালো পেশেন্ট এমসহ আরও অনেক আহত রোগীর চিকিৎসা করেন। ১৯৪৫ ও ১৯৫০ সালের মধ্যে দুই খণ্ডে তার বই সেরেব্রাল ডায়নামিক্স প্রকাশিত হয়। তিনি লিখেছিলেন, এম 'যখন মানুষকে উল্টো হয়ে হাঁটতে দেখলেন, তখন তিনি অবাক হয়েছিলেন বটে। তবে সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতি আহত ব্যক্তির দৃষ্টি সম্পূর্ণভাবে বা প্রায় পুরোপুরি এড়িয়ে যায়।

'পরে তারা যখন এরকম পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা টের পান, তখন তারা এ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হন না। বরং তারা এটিকে অস্থায়ী কিছু হিসেবে বিবেচনা করেন, এবং বিশ্বাস করেন এসব পরিবর্তিত পরিস্থিতি তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।'

মাদ্রিদের কাহাল ইনস্টিটিউটে হুস্তো গঞ্জালোর গবেষণাগার। ১৯৫২ সালের পরে তোলা ছবি। ছবি: পারিবারিক সংগ্রহ ভিয়া এল পাইস

নিউরোসাইকোলজিস্ট আলবার্টো গার্সিয়া মোলিনা মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গুটম্যান হাসপাতালে কাজ করেন। তিনি বলেন, নিউরোলজির ইতিহাসে অনেকগুলো দুঃখজনক প্রাকৃতিক পরীক্ষার নজির রয়েছে। যেমন ফিনিস গেজের উদাহরণের কথা বিবেচনা করা যাক।

গেজ কাজ করতেন আমেরিকান রেলরোডে। ১৮৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এক দুর্ঘটনায় একটি লোহার রড তার মাথার ভেতরে ঢুকে যায়। সৌভাগ্যক্রমে গেজ বেঁচে যান। কিন্তু তার চরিত্রে একটি অদ্ভুত পরিবর্তন তৈরি হয়। গেজ আগে একজন শান্তপ্রকৃতির লোক ছিলেন, কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি আক্রমণাত্মক ও অশ্লীল হয়ে ওঠেন।

মোলিনা ব্যাখা করেন, ১৯৩০-এর দশকে মস্তিষ্ককে ছোট ছোট বাক্স হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু তখনকার প্রচলিত ধারণা দিয়ে পেশেন্ট এম-এর এ ঘটনা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি ডাক্তার গঞ্জালোর জন্য। সেজন্য তিনি নিজের ব্রেইন ডায়নামিক্স থিওরি প্রদান করেন।

১৯৩৪ সালে ইউনিভার্সিটি অভ ভিয়েনা এবং ১৯৩৫ সালে গ্যোটে ইউনিভার্সিটি অভ ফ্রাঙ্কফুর্টে পড়ালেখা করেন হুস্তো গঞ্জালো। তখন জার্মানিতে নাৎসিদের রাজত্ব। ১৯৩৬ সালের জুলাইয়ে স্পেনে বিদ্রোহের পর তিনি গৃহযুদ্ধে রিপাবলিকের প্রতি অনুগত থাকেন এবং একটি ব্যাটালিয়নে ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করেন। যুদ্ধের আগে তিনি সারাদিন লাইব্রেরিতেই কাটাতেন।

পেশেন্ট এম আর হুস্তো গঞ্জালোর মধ্যকার বিভিন্ন চিঠির সুবাদে জানা গেছে, পেশেন্ট এম যুদ্ধে আহত হলেও নিয়মমাফিক পেনশন পাননি। 'আমার বাবা তাকে (পেশেন্ট এম) প্রশংসার চোখে দেখতেন, কারণ তিনি খুবই মেধাবি মানুষ ছিলেন। তিনি নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারেতন, খেতখামারে কাজ করতে পারতেন,' স্মৃতিচারণ করেন ইসাবেল গঞ্জালো।

ইসাবেলার হিসাব অনুযায়ী পেশেন্ট এম মারা গিয়েছেন ১৯৯০-এর দশকে। তার প্রকৃত পরিচয় কখনো প্রকাশ করা হয়নি।

Related Topics

টপ নিউজ

পেশেন্ট এম / স্পেন / মানব মস্তিষ্ক / মানুষের মস্তিষ্ক / মস্তিষ্ক / চিকিৎসা / যুদ্ধ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত
  • ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে
  • প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল
  • ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা
  • আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?
  • কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

Related News

  • শিগগিরই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় ইসরায়েল: সূত্রের দাবি
  • উদ্বাস্তু: প্রিয়জন ও ভিটেমাটিকে নীরবে বিদায় জানিয়ে যাওয়া 
  • ডাক্তার কতদিন নিধিরাম সর্দার থাকবে?
  • ডেঙ্গুতে ২৩৪ জন আক্রান্ত, বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ১১৯
  • ইরানের বিষয়ে ট্রাম্পের সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাব মার্কিন সিনেটরের

Most Read

1
অর্থনীতি

প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত

2
আন্তর্জাতিক

ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে

3
বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল

4
আন্তর্জাতিক

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা

5
আন্তর্জাতিক

আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?

6
আন্তর্জাতিক

কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net