Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
July 30, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JULY 30, 2025
একদিন তারাও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতেন, এখন সময় ফুরাতেই চায় না

ফিচার

সালেহ শফিক
06 January, 2023, 02:55 pm
Last modified: 06 January, 2023, 03:28 pm

Related News

  • ‘আমাদের মা দিন দিন ছোট হতে থাকে’
  • এ বছর জাপানে নিজ বাড়িতে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা গেছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ
  • জাপানে প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি ডায়পারসহ অন্যান্য ব্যবসায় যে পরিবর্তন আনছে
  • নিম্ন জন্মহার ও বয়স্ক জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবিলায় জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় চালু করছে দ. কোরিয়া
  • দেশে পুরুষের চাইতে নারীরা বেশি দিন বাঁচেন!

একদিন তারাও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতেন, এখন সময় ফুরাতেই চায় না

মনের মাঝে কে কোন পাষাণভার চেপে রেখেছেন তা জানা সম্ভব হয় না সবসময়। ভাবলাম, একটু কান পাতলে কি প্রবীণ নিবাসের বাতাসে ঘুরে বেড়ানো দীর্ঘশ্বাস টের পাওয়া যাবে? হয়তো যাবে কিন্তু তার জন্য সময় দিতে হবে। এখনকার এই ডিজেল-পেট্রোল পোড়া বাতাস থেকে দীর্ঘশ্বাস আলাদা করা তো সহজ নয়। গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কে আজ একটু ফুরসত খুঁজে নিয়ে নিবাসীদের দুটি ভালোবাসার কথা শুনিয়ে যাবে? অথচ আজকের আমার আগামী তো এখানেই।  
সালেহ শফিক
06 January, 2023, 02:55 pm
Last modified: 06 January, 2023, 03:28 pm
ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

সময়ও নাম রাখে আর তা পিতা-মাতার দেওয়া নামের চেয়ে অধিক অর্থ বহন করে। পথচলতি কত মানুষই না আমরা দেখি, নাম না জানাই বেশিরভাগ, অথচ বুঝতে কষ্ট হয় না মানুষটি যুবা বা বৃদ্ধ। সময়ের রাখা প্রতিটি নামই কিছু কার্যকারিতা প্রকাশ করে- যেমন যে শিশু তাকে দেখে রাখতে হবে, যে যুবা সে কাজের সন্ধান করবে, আর যে বৃদ্ধ?

বৃদ্ধদের নিয়ে ভাবনা অনেক রকম। আদিম গোত্রভিত্তিক সমাজে বৃদ্ধকে সমাজ তুলে রাখত মাথায়। কারণ তার দুর্যোগ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা বেশি। শিকারে যাওয়ার আগে দলনেতা তার থেকে গুপ্তি মন্ত্র নিয়ে যেত। দেবদেবীকে বশে আনার ক্ষমতাও বৃদ্ধের অধিক। সামন্তীয় কৃষিভিত্তিক সমাজেও বৃদ্ধের গুরুত্ব ছিল। কাজের স্তরায়ন তখনো কড়াকড়ি ছিল না। গরুকে ঘাস খাওয়ানো, উঠান থেকে শুকাতে দেওয়া ধান তুলে ঘরে আনা কিংবা মাছ ধরার কাজের শর্ত তো একটাই- শক্তসামর্থ্য থাকা।

ব্রিটিশরা আসার পর আমাদের অথর্ব করে ফেলল। ত্রিশ বছর ধরে একজন কেবল যোগ-বিয়োগ মিলাচ্ছেন, কেউ হচ্ছেন নকলনবিশ, কেউ পাহারাদারি করছে, কেউ করছে খবরদারি। এতে তাদের সামাজিক অবস্থান এমনভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে যে অবসর নেওয়ার পর অন্য কিছু করার কথা তিনি ভাবতেও পারছেন না।

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

শাহিদা সুলতানাই (আসল নাম নয়) মনে করিয়ে দিলেন প্রসঙ্গটি। তিনি আগারগাঁওয়ের প্রবীণ নিবাসে চারতলার বাসিন্দা। শীতের সকালে রোদ পোহাতে বারান্দায় এসেছেন। দীর্ঘাঙ্গী এক শক্ত মানুষ। বললেন, 'রিটায়ারমেন্টের বয়স নির্ধারণ করল কে, কেন করল? এই যে আমার বয়স এখন ৮৬। এখনো চলে ফিরে দিব্যি চলছি। অথচ ত্রিশ বছর আগে আমাকে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পেনশন নাও, শুয়ে বসে খাও। একটা সামর্থ্যবান মানুষ শুয়ে বসে কতদিন দিন পার করতে পারে? সরকারকে তাই ভাবতে হবে প্রবীণদের কাজে লাগানোর উপায়।'

শাহিদা সুলতানা ১১ বছর ধরে প্রবীণ নিবাসে আছেন। সেই ১৯৩৬ সালে তার জন্ম। দেশভাগের সময়কার কথাও মনে আছে। বাবার চাকুরিসূত্রে কলকাতায় ছিলেন। আগুন জ্বলতে দেখেছেন পাড়ায় পাড়ায়। বলছিলেন, 'সেই প্রথমবার পালালাম। পালিয়ে সপরিবারে চলে এলাম বাংলাদেশে। বাবার চাকরির সুবাদে দৌড়াতে হয়েছে সারাদেশেই। 'আউটবই' পড়ার খুব অভ্যাস ছিল। একবার কুমিল্লা থেকে যখন বাবা চললেন চট্টগ্রাম, আমরাও গাট্টি বোচকাসহ পিছু পিছু। এরমধ্যে ভারী গাট্টিটি ছিল বইয়ের, কুলি সেটা নিয়েই পালাল। বাবা-মা খুশি হলেও আমাদের ভাইবোনদের মন বেজার। তারপর স্কুল, কলেজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য পড়তে শুরু করলাম। মানুষটির সঙ্গে হঠাৎই সম্পর্ক গভীর হয়ে গেল। অথচ বিয়ে করব বলে ভাবিনি কখনো। কিন্তু বিয়েটা হয়েই গেল আর তা ষাট দশকের গোড়ায়।'

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

উত্তাল উনসত্তরের স্মৃতিগুলো তার কাছে জীবন্ত। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবার পালাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সীমান্তের খুব কাছে গিয়ে পৌঁছান কিন্তু সীমান্ত পার হতে পারেননি। দেশ স্বাধীন হলে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। নতুন দেশ, নিজের দেশ, গড়ে তুলতে হবে দেশটাকে।

বড় এক মগ গ্রিন টি দিয়ে দিন শুরু করেন শাহিদা। চোখের কাছে মেলে ধরেন পত্রিকা। না পড়ে থাকতে পারেন না একদিনও। জীবনীগ্রন্থ বেশি ভালো লাগে। তার মতে, জীবনেরই কেবল মানে হয় তা সেটা যেমনই হোক। আবহাওয়া দপ্তরে কাজ করতেন এমন একজনের জীবনী পড়েছিলেন, সেটা থেকেও জানতে পেরেছিলেন অনেক। এখন পড়ছেন রেহমান সোবহানের 'উতল রোমন্থন'। তিনি বিশ্বাস করেন, জীবন আবেগের সমষ্টি। স্মৃতির খাতায় পরপর সাজানো থাকে শৈশব, কৈশোর, যৌবনের ছবি। ছবিগুলো বিভিন্ন আবেগের যোগান দেয় আর তা নিয়েই বসবাস বিশেষ করে পড়ন্তবেলায়।

জানতে চাইলাম, কোনো কিছুর অভাব বোধ করেন?

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

উত্তর দিলেন, 'অভাবকে আমি বলি ক্ষুধা। ক্ষুধা না থাকলে জীবন চলে? পড়ার ক্ষুধাতেই জীবনের কতটা চলে গেছে হিসেব মেলাতে পারব না। তারপর আছে ভালোবাসার ক্ষুধা। সবাইকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম কিন্তু সবাই যে আমার ভালোবাসা চায় না...তবু যাদেরকে পেরেছি তাদের নিয়ে স্মৃতি বড় মধুর। বলা চলে স্বচ্ছল পরিবারেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। খাবারের ক্ষুধা সেভাবে টের পাইনি কোনোদিন। এই নিবাসে এসে কিন্তু সেটাও বুঝছি। এখানে নিয়ম মেনে, সময় মেনে খাবার দেওয়া হয়। অথচ মানার অভ্যাসটাই গড়ে ওঠেনি। এখন এখানে পাওয়ার জন্য বসে থাকতে হয়, অপেক্ষা করতে হয়। এতে একটা বেশ ভালো ব্যাপার হয়েছে, খাওয়ার আনন্দটা আগের চেয়ে বেশি অনুভব করতে পারছি। এখনকার শহুরে বাচ্চাগুলো না চাইতেই পায়, তাই পাওয়ার আনন্দটা উপভোগ করতে পারছে না। নিজের শ্রমে ফসল ফলানোর আনন্দ একেবারেই অন্যরকম। অথচ আজকের দুনিয়ায় মানুষ চাইছে, অন্যের ফলানো ফসল দখল করতে। এতে হানাহানি বাড়ছে। মানুষের সঙ্গে এখন কথা বলেও আনন্দ পাই না। কিছু একটা চায় সবাই, প্রথমে লুকিয়ে রাখে, কিন্তু মুখোশ কি সারাক্ষণ ধরে রাখা যায়?'

এই যে আপনার এতো দীর্ঘজীবন, বর্ণাঢ্যও বলা যায়। হিসাব মেলাতে পেরেছেন?

শাহিদা: আরে নাহ, হিসাবের খাতাই তো খুলিনি। সমাজ-সংসার নামক যন্ত্রের জোয়াল টেনে গেছি শুধু। শেষে গত ১১ বছর ধরে যখন রিওয়াইন্ড করে যাচ্ছি, দেখছি জীবন খাতার পাতাগুলো বেদনায় নীল।

সূর্য মাথায় চড়তে বসলেও শীতের দুপুর মলিন। শাহিদা সুলতানা দূরে চোখ মেলে দিয়েছেন। আমি আর কিছু জানতে চাওয়ার সাহস করতে পারছি না। তিনি বললেন, 'ভালো থেকো'। তারপর নিজের ঘরে যাবেন বলে পা বাড়ালেন। বারান্দার শেষ মাথায় গিয়ে আরেকবার মুখ ঘুরিয়ে বললেন, 'আবার এসো, গল্প করে ভালো লাগলো'।

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের দেওয়াল ঘেঁষে 'প্রবীণ নিবাস'। ৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা। এখন আছেন ৩০ জন। নারী ও পুরুষ প্রায় সমানসংখ্যক।  নিবাস ফটকে লেখা আছে- 'সম্মানের সঙ্গে প্রবীণদের সেবা দিন, নিজের সফল বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন'।

২৮ বছর ধরে নিবাসে আছেন নূরুল ইসলাম। তার বয়স ৮৪। বারান্দায় রোদ পোহাচ্ছিলেন হাতে একটি খাবারের বাটি নিয়ে। এখানে দুপুরের খাবার বেলা একটার মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়। মাথার চুল এলোমেলো, ছাপা শার্ট গায়ে, গুনগুন করছিলেন কিছু একটা। তীক্ষ্ণ চোখে আশেপাশে তাকাচ্ছেন। কাছে গিয়ে বসতেই জিজ্ঞেস করলেন, 'পোলাও কেমন লাগে?' উত্তর দিলাম, ভালো। 'আপনার স্ত্রী পোলাও রান্না করতে পারে?' মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বললাম। তারপর নিজে থেকেই বলতে লাগলেন, 'প্রথম যখন এখানে এলাম, কিসসু পাওয়া যেত না। ওই ন্যাশনাল আর্কাইভসের কাছে একটা হোটেল ছিল, রুটি আর ডাল পাওয়া যেত। এখন তো অনেক হোটেল। পোলাও খুব ভালো করে।'

তবে নূরুল ইসলাম মাছ পছন্দ করেন না। মাংস পছন্দ করেন, গরুর মাংস। কাবাব তো তার অনেক প্রিয়, আর দুধ খেতে ভালোবাসেন। সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়েছেন, রোজ নয়াপল্টনের বাসা থেকে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতেন। একবার রচনা প্রতিযোগিতায় সেরাদের সেরা হয়ে হেডস্যারকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। স্কুল পার হয়ে ঢাকা কলেজে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে। কর্মজীবনে এক কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি কলেজের অধ্যক্ষও হয়েছিলেন। অফিস থেকে গাড়ি পেয়েছিলেন। আশির দশকে ২০ হাজার টাকা পেতেন। 'তখন ২০ হাজার টাকা মানে এখনকার কত টাকা ভাবতে পারেন?' প্রশ্ন করে আর উত্তরের অপেক্ষা করলেন না, নিজে থেকেই বললেন, 'অনেক টাকা। খেয়ে-বেড়িয়েও হাতে থেকে যেত অনেকটা। আমার তিন মেয়ে এক ছেলে। সবাইকে বড় করেছি। পরের দিকে একানব্বই লাখ টাকা দিয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছি। সেখানে আমার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকে।'

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

আপনি তাহলে এখানে কেন থাকেন? এ প্রশ্ন জিহ্বার ডগায় এসে বসে আছে। কিন্তু মুখ চেপে রেখেছি শক্ত করে। হয় প্রশ্নটি শুনলে আর কথাই বলবেন না, নয়তো উত্তর এমন আসবে যা পরিবেশটাকে ভারী করে দিবে।

নূরুল ইসলাম গান পছন্দ করেন। গান বাংলা আর মাস্তি চ্যানেল দেখেন। তালাত মাহমুদ, মুহাম্মদ রফি তার প্রিয় শিল্পী। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যান না নূরুল ইসলাম। মেয়েদের মধ্যে একজন মাঝেমধ্যে দেখা করতে আসেন, পোলাও খাইয়ে যান। বেশি কেউ আসে না কেন? প্রশ্নের সহজ মীমাংসা করে দিলেন তিনি, 'আসলে সকলেই ব্যস্ত, সবারই কাজ আছে। নিজের খবরই তো রাখার সময় পায় না লোকে, অন্যের খবর নেবে কিভাবে?'

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

প্রবীণ নিবাসে থাকার জন্য দিতে হয় ৪০০০ টাকা আর খাওয়ার জন্য ৩০০০ টাকা। তিনটি রুম মিলিয়ে একটি করে ব্লক, প্রতিটি ব্লকে দুটি টয়লেট আর একটি গোসলখানা থাকে। যারা অশীতিপর মানে চলাফেরায়ও সমস্যা তাদের জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে; তবে এর জন্য পে করতে হয় প্রবীণের অভিভাবককে।

সাজিয়া খানমের বয়স সত্তরের কাছাকাছি। তার বাবা পুলিশের কর্মকর্তা ছিলেন। মা ছিলেন স্কুলের শিক্ষক। মা নানাবিধ সমাজকর্মে যুক্ত ছিলেন, ছেলেমেয়েদের জন্য সময় বের করতে পারতেন না। সাজিয়ার দুই মেয়ে। একজন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষে দু'জনেই বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। একজন থাকেন কানাডায়, অন্যজন আমেরিকায়। দু'মেয়ের কাছেই পালা করে থেকে এসেছেন কিন্তু মন তার টেকেনি। মায়ের সম্পত্তির ভাগ পেয়েছেন তারা বোনেরা। ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি তুলিয়েছেন, সেখানে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট আছে। মাসে ১৫ দিন নিজের বাসায় গিয়ে থাকেন। কিন্তু বড়ই নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত হয়ে যান। তাই চলে আসেন প্রবীণ নিবাসে। এখানে কথা বলার মানুষ পাওয়া যায়। সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগে চাকরি করেছেন সাজিয়া খানম।

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

কেমন ছিল সেসব দিন? উত্তরে সাজিয়া খানম বলেছেন, 'ব্যস্ত সব দিন পার করেছি। আমার স্বামী আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার হয়ে কাজ করতেন আফগানিস্তানে। ৫০ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেয়েদের দেখাশোনা, খরচ যোগানো সব আমিই করেছি। তখন দিন কোন দিক দিয়ে শেষ হয়েছে টেরও পাইনি।'

কয়েকমাস আগে দুই মেয়েই এসেছিল দেশে। দু'জনের দুটি সন্তান। নাতিরা ড্রাগন, শার্ক এঁকে তার ঘরে সেঁটে দিয়ে গেছে। সেগুলো দেখলেই তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। এমনই কাতর হয়ে পড়েছিলেন একদিন যে ডাক্তার ডাকতে হয়েছিল। ডাক্তার ঘুমের ওষুধ দিয়ে গেছেন।

সাজিয়া টিপটপ থাকতে ভালোবাসেন। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে ভালোবাসেন। কিন্তু তিনি চাইলেই তো হবে না, অন্যদেরও চাইতে হবে। তাই মাঝেমধ্যেই খুব একলা লাগে।

নিবাসীদের জন্য কমন রুম আছে, যেখানে সবাই মিলে টিভি দেখতে পারেন। আছে লাইব্রেরি। প্রবন্ধ, উপন্যাস, ধর্ম বিষয়ক, জীবনী মিলিয়ে হাজারের বেশি বই আছে এখানে। রবীন্দ্র, নজরুল রচনাবলির পুরো সেট আছে, শরৎচন্দ্রের উপন্যাসসমগ্র আছে, বিমল মিত্রের বেগম মেরী বিশ্বাস আছে, আছে নেয়ামুল কোরআন। গ্রন্থাগারিক জানালেন, আশাপূর্ণা দেবীর 'সুবর্ণলতা' নিবাসীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কয়েকজন আছেন যারা সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা পড়তে পছন্দ করেন। প্রতিদিন লাইব্রেরিতে চারটি পত্রিকা রাখা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে অনেকেই আসেন লাইব্রেরিতে। সময় কাটিয়ে যান।

ছবি: সৈকত ভদ্র/টিবিএস

নিবাসীরা সাধারণত নিবাসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে সময় কাটান। কেউ কেউ আছেন নিজের কক্ষ থেকে দু'তিনদিনেও বের হন না। কয়েকজন তো বাইরের লোকদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হন না। মনের মাঝে কে কোন পাষাণভার চেপে রেখেছেন তা জানা সম্ভব হয় না সবসময়। ভাবলাম, একটু কান পাতলে কি প্রবীণ নিবাসের বাতাসে ঘুরে বেড়ানো দীর্ঘশ্বাস টের পাওয়া যাবে? হয়তো যাবে কিন্তু তার জন্য সময় দিতে হবে। এখনকার এই ডিজেল-পেট্রোল পোড়া বাতাস থেকে দীর্ঘশ্বাস আলাদা করা তো সহজ নয়। গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কে আজ একটু ফুরসত খুঁজে নিয়ে নিবাসীদের দুটি ভালোবাসার কথা শুনিয়ে যাবে? অথচ আজকের আমার আগামী তো এখানেই।  

Related Topics

টপ নিউজ

প্রবীণ জনগোষ্ঠী / প্রবীণ নিবাস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন: যেভাবে টেলিগ্রামে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ দিতে চাঁদাবাজি করছে আ.লীগ
  • আলিয়া মাদ্রাসার গ্রন্থাগার, বকশিবাজারে লুকিয়ে থাকা এক রত্নভান্ডার!
  • অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় বরখাস্ত
  • বাংলাদেশের শুল্ক কমার সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে: বাণিজ্য সচিব  
  • বরিশালে কুকুরকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল: একজনের জরিমানা, তিনজনের মুচলেকা
  • ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিকাশের ৩০৭ কোটি টাকা মুনাফা

Related News

  • ‘আমাদের মা দিন দিন ছোট হতে থাকে’
  • এ বছর জাপানে নিজ বাড়িতে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা গেছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ
  • জাপানে প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি ডায়পারসহ অন্যান্য ব্যবসায় যে পরিবর্তন আনছে
  • নিম্ন জন্মহার ও বয়স্ক জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবিলায় জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় চালু করছে দ. কোরিয়া
  • দেশে পুরুষের চাইতে নারীরা বেশি দিন বাঁচেন!

Most Read

1
বাংলাদেশ

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন: যেভাবে টেলিগ্রামে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ দিতে চাঁদাবাজি করছে আ.লীগ

2
ফিচার

আলিয়া মাদ্রাসার গ্রন্থাগার, বকশিবাজারে লুকিয়ে থাকা এক রত্নভান্ডার!

3
বাংলাদেশ

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় বরখাস্ত

4
অর্থনীতি

বাংলাদেশের শুল্ক কমার সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে: বাণিজ্য সচিব  

5
বাংলাদেশ

বরিশালে কুকুরকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল: একজনের জরিমানা, তিনজনের মুচলেকা

6
অর্থনীতি

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিকাশের ৩০৭ কোটি টাকা মুনাফা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net