Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
June 24, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, JUNE 24, 2025
স্কুবা ডাইভিংয়ে দেশে দেশে, সাগর তলে…

ফিচার

প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক
12 November, 2022, 01:10 pm
Last modified: 21 November, 2022, 04:58 pm

Related News

  • কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু 
  • ইনানী সৈকতে ভেসে আসা ইরাবতী ডলফিন দুই ঘণ্টা পর সাগরে ফিরেছে
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • বাংলাদেশকে ৬.২৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
  • বিকল ট্রলারে ৫ দিন সাগরে ভাসছিলেন ১২ জেলে, ৯৯৯-এ ফোন কলে উদ্ধার 

স্কুবা ডাইভিংয়ে দেশে দেশে, সাগর তলে…

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করা সাবেক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম রিপন চাকরি আর নিজের শখ পূরণে ঘুরেছেন বিশ্বের ৮৬ দেশ। কেবল স্কুবা ডাইভিংয়ের স্বাদ নিতেই এ পর্যন্ত ঘুরেছেন বিশ্বের ১২টি দেশে! শুরুটা গালফ অব মেক্সিকোতে হলেও এ পর্যন্ত তিনি ডাইভিং করেছেন ভারত, প্রশান্ত, আটলান্টিক মহাসাগরে 
প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক
12 November, 2022, 01:10 pm
Last modified: 21 November, 2022, 04:58 pm
স্নোরকেলিংয়ে সাইফুল ইসলাম রিপন/ ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

সমুদ্রের তলদেশে পানির রাজ্যে সাঁতার কাটছেন, প্রচুর নাম না জানা মাছের দলের সঙ্গে হলো সাক্ষাৎ। চোখের পলক না ফেলতেই সাঁই সাঁই করে কই যে পালালো মাছগুলো! আরেকটু সামনে এগুতেই দেখা পেলেন মস্ত বড় এক পাহাড়ের। সেই পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে আবার ছোট একদল মাছ হাজির। কিছুক্ষণ পর আবার জীবিত শৈবাল… ফুসরত না মিলতেই রীতিমতো ৪০ ফুট লম্বা আরও একটি মাছের সঙ্গে সাক্ষাৎ! 

ঝেড়ে দৌড়াবেন যে তারও তো সুযোগ নেই, কী করবেন ভেবে যখন কোনো কূল পাচ্ছেন না, হঠাৎ খেয়াল করলেন কীসের মাছ, কীসের কী! যতদূর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি, দৃষ্টিভ্রম কিনা বুঝে ওঠার আগেই সামনে এল বাইনের মতো দেখতে, কিন্তু সাইজে বেশ বড়সড় এক মাছ। বিকট দাঁত বের করে এগিয়ে আসছে আপনার দিকেই। বিষয়গুলো শুনতে উদ্ভট বা বিদঘুটে মনেহলেও সমুদ্রের তলদেশে এসব ঘটনা কিন্তু নেহায়েত ডালভাত সাইফুলের কাছে।  

কানাডাপ্রবাসী স্কুবা ডাইভার সাইফুল ইসলাম রিপনের কাছে স্কুবা ডাইভিং যেন নেশার মতো। বিশ্বের নানা দেশের সমুদ্রে বিচরণ করা এই ডাইভারের কাছেই শুনলাম স্কুবা ডাইভিংয়ের আদ্যোপান্ত।

প্রথম ডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা

ছবি- পিক্সেল

"প্রথমবারের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ঘড়ি ধরে ৩০ মিনিট ডাইভিং শেষে এর নেশা যেন পেয়ে বসে। মনে হচ্ছিল, পুরো অন্যরকম এক জগৎ থেকে ঘুরে এলাম।"

এভাবেই প্রথম অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিলেন প্রায় ৯০ বারের মতো সমুদ্রের তলদেশে অ্যাডভেঞ্চার করতে বেরিয়ে পড়া এ স্কুবা ডাইভার। তার জীবনের প্রথম সেই ডাইভিংটি ছিল কানাডা থেকে মেক্সিকো বেড়াতে গিয়ে, 'গালফ অব মেক্সিকো'তে।

একদম শুরুতেই গালফ অব মেক্সিকো, ভয় করেনি? কিছুটা হেসে উত্তর দিলেন, গালফ উপসাগরে নামার আগে সুইমিংপুলে ডাইভের ট্রায়াল দিয়েছিলেন। নতুনদের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সব প্রান্তেই নাকি এই নিয়ম একদম বাধ্যতামূলক। জানালেন, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্কুবা ডাইভারের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সমুদ্র তলদেশে ডুব দেন তিনি। প্রথমবারের সেই অভিজ্ঞতার পর মেক্সিকোতেই ঝটপট করে সেরে ফেলেন 'ওপেন ওয়াটার ডাইভার' নামে স্কুবা সংক্রান্ত একটি কোর্স। রীতিমতো লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সবগুলো ধাপ পাস করার পর মেলে 'ওপেন ওয়াটার ডাইভিং' এর সার্টিফিকেট।

এর ভেতরেই কানাডা থেকে আরামকোতে চাকরি নিয়ে চলে যান সৌদি আরব। সেসময় সৌদি আরব যাওয়াটা যেন একদম শাপেবর ছিল এ স্কুবা ডাইভারের জন্য। পূর্বে পারস্য উপসাগর আর পশ্চিমে লোহিত সাগর হওয়ায় স্কুবা ডাইভিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান তিনি। একটি ডাইভিং ক্লাবের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হন সেইসময়।

ছবি- পিক্সেল

জানালেন, চাকরির সুবাদে ৭ বছর দেশটিতে থাকায়  প্রতি মাসেই কম করে হলেও অন্তত একবারের জন্য স্কুবা ডাইভিংয়ের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। সেখানে একে একে স্কুবার ওপর আরও দুটি কোর্স করেন। এরমধ্যে অ্যাডভান্স ও রেস্কিউ লেভেলের কোর্স করেন তিনি। তবে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে নয়, কেবল উপভোগের জন্য এই রোমাঞ্চের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চান তিনি।

কেবল ডাইভিংয়ের জন্যই ১২ দেশ ভ্রমণ!

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করা সাবেক এ প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম রিপন চাকরি আর নিজের শখ পূরণে ঘুরেছেন বিশ্বের ৮৬ দেশ। কেবল স্কুবা ডাইভিংয়ের স্বাদ নিতেই এ পর্যন্ত ঘুরেছেন বিশ্বের ১২টি দেশে! মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, দুবাই, মিশর, জ্যামাইকা, মালয়েশিয়া, তানজিনিয়ার মতো দেশগুলো এরইমধ্যে ঘুরে ফেলেছেন। 

"সবসময়ই ডাইভ করার সুযোগ খুঁজতে থাকি, সময়-সুযোগ পেলেই ছুটে যাই ডাইভিং করতে," বলছিলেন তিনি। 

বেশ কিছুদিন আগে ফ্লোরিডা থেকে ডাইভিং করে ফিরেছেন বলেও জানালেন সাইফুল। এ পর্যন্ত ভারত, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। আবার খুব শিগগিরই বেরিয়ে পড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে। ইচ্ছা, সামনে যেই সাগর পড়বে, সবগুলোতেই নেমে যাবেন তিনি।

রেড সি/ ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

২০১১ সাল থেকে শুরু করে এরইমধ্যে প্রায় এতবার ডাইভিং-কীভাবে সম্ভব, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল জানালেন, একেকজন ডাইভারের হাজারবার ডাইভের অভিজ্ঞতাও থাকে।

স্কুবার জন্য বাধ্যতামূলক যেসব যন্ত্র

সৌদি আরব/ ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

স্কুবাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই, এমনকি সাঁতারে খুব ভালো হওয়ার প্রয়োজনও নেই! 

হাই প্রেসার এয়ার কম্প্রেসার, স্কুবা সিলিন্ডার ব্রিদিং রেগুলেটর প্রেসার মিটার, বয়েন্সি কন্ট্রোল ডিভাইস, মাস্ক, ফিন্স ওয়েটবেল্ট, নাইফ, ওয়েটসুট, ডাইভ কম্পিউটর, টর্চলাইটের মতো যন্ত্রপাতি স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য প্রয়োজন। জানা গেল, এসব যন্ত্রপাতিগুলো লাগানোর পর এমনিতেই ভেসে থাকতে পারবে যে কেউ, এরজন্য আলাদা করে যে খুব ভালো সাঁতারু হতে হবে তা নয়। তবে হঠাৎ  বিপদে পড়ে গেলে সেসময় সাঁতার নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করবে বলে জানালেন সাইফুল।

মানুষকে আক্রমণ করার মতো প্রাণী খুব একটা নেই সমুদ্রে

ছবি- পিক্সেল

মাটির ওপরের চেয়ে মাটির নিচের জগৎটা অনেক বড়। ডলফিন, স্কুইডের মতো মাছের যেমন কোনো শেষ নেই, তেমন এদের আবার রঙ, চেহারা সবই পানির নিচে খুবই বৈচিত্র্যময়।  বিভিন্ন ধরনের হাঙ্গর, কচ্ছপ, ক্লাউন ফিস, মরেইল ফিস থেকে শুরু করে সমুদ্রের নিচে রয়েছে লাখ লাখ মাছ। তবে এসব মাছ বা প্রাণীদের ভেতর বেশিরভাগই খুবই নিরীহ। সাধারণত মানুষ বা বড় কোনো প্রাণী দেখলে সরে পড়াটাই এদের ধর্ম।

মাঝেমধ্যে মাছ আবার ভয়ও দেখায়!

ছবি- পিক্সেল

দু-একটা যে ব্যতিক্রম প্রাণী নেই, তাও নয়।  এরকমই এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এ স্কুবা ডাইভার।  মরেল ফিসের সঙ্গে দেখা হওয়ার এক অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বললেন, "বাইন মাছের মতো দেখতে, বেশ বড় আকৃতির মাছটি শুধু একটু পাগলাটে ধরনের। অন্যান্য মাছ যেমন মানুষ দেখলেই পালিয়ে যায়, মরেল ফিস আবার তেমন নয়। এই মাছটি মানুষকে দেখে সরে যায় না, বরং ওকে হাত দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, মুখ বাড়িয়ে তেড়ে আসে। অনেকটা যেন গুঁতো দেওয়ার চেষ্টা করে মাছটি।"

৪০ ফিট লম্বা হাঙ্গরের মুখোমুখি

পানির নিচে বনায়নই সবচেয়ে বেশি টানে রিপনকে। বিশেষ করে পানির স্রোতের সাথে গাছগুলোর নড়েচড়ে ওঠা, এর ফাঁক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের বেরিয়ে পড়াও খুব টানে তাকে। এভাবে করে বেশ কয়েকবার হাঙ্গরের দেখা পেয়েছেন। তবে একবার ৪০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি হাঙ্গরের মুখোমুখি হন তিনি। এ মাছটিই এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলে তার দেখা সবচেয়ে লম্বা মাছ। তবে মানুষকে আক্রমণ করে এমন হাঙ্গরের সংখ্যা খুব কম বলে জানালেন সাইফুল।

স্কুবায় ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই 

স্কুবা (SCUBA) হচ্ছে মূলত সেল্ফ কনটেইনড আন্ডারওয়াটার ব্রেথিং অ্যাপারাটাস। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশের সাঁতারের এমন এক যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে মানুষ সহজেই মাছের মতো করে ভাসতে ও সাঁতার কাটতে পারে। অক্সিজেন বহনকারী সিলিন্ডার থাকায় পানির নিচেও ডাঙ্গার মতো স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। মাছের মতো ভেসে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, প্রয়োজনমতো ডুবে যাওয়া এবং পানির ওপর সম্পূর্ণ ভেসে থাকার জন্য কারিগরি সুবিধা এবং তাপমাত্রা অনুকূল পোশাক থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

কেননা, অক্সিজেন বহন করা ট্যাঙ্কে অক্সিজেনের মাত্রা এখন দেখা যায় সহজেই। এছাড়া স্কুবা ডাইভিংয়ে যেহেতু দলছুট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই একজন বিপদে পড়লে বাকিরা এগিয়ে আসে বলে জানালেন তিনি।

তবে সামুদ্রিক স্রোত বেশি হলে সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। যদি ঘণ্টায় ২৫ নটের বেশি বাতাসের গতি থাকে, সেক্ষেত্রে সাধারণত স্কুবা ডাইভিং করা হয় না।

'দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া'

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'একটি শিশির বিন্দু' কবিতাটি বোধহয় সাবেক এ প্রকৌশলীর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রযোজ্য।

শ্রীলঙ্কা/ ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

২০১৭ সালে অবসরের পর থেকে অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধানে চষে বেড়িয়েছেন দেশের পর দেশ। ছবি তোলা, ট্রেকিং করে পাহাড় চষে বেড়ানো- সবই করে চলেছেন সমানতালে। তবে এখনও বঙ্গোপসাগরে স্কুবার ফুসরত মেলেনি সাইফুলের। তবে সুযোগ এলেই এর সদ্ব্যবহার যে করবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

নিজে স্কুবা না করলে কি হবে, দেশের খবরাখবর কিন্তু রাখেন ঠিকই। তার মুখ থেকেই জানলাম, ওশেনিক স্কুবা ডাইভিং সার্ভিস, কোরালভিউ রিসোর্ট, ঢাকা ডাইভার্স ক্লাবের মতো বেশ কয়েকটি সংগঠন বর্তমানে স্কুবা ডাইভিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রায় হাজারখানেক স্কুবা ডাইবার বর্তমানে বাংলাদেশে আছে। মুজিবর রহমান নামে একজনের কথা জানালেন, যিনি  আন্তর্জাতিক ডাইভিং সংগঠন 'ডাইভিং ইন্সট্রাকশন এসোসিয়েশনের' (ডিআইডব্লিউএ) হয়ে বাংলাদেশে ডাইভিং শেখান।

জানালেন স্কুবার পাশাপাশি স্নোরকেলিংও করেন তিনি। স্নোরকেলিংয়ের মজাটা হলো, এখানে সমুদ্রের নীলে হারানোর সুযোগ রয়েছে, তবে স্কুবার মতো এতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঘুরতে হয় না। নলের মতো মাস্কটি মুখে রাখতে হয়।

লাল কোরালের জগৎ

ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

শখের ফটোগ্রাফি আর হাইকিং  চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের দুই সন্তানের জনক সাইফুলের শখ অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে স্কুবা করার। জানালেন স্ত্রী বা দুই ছেলের কারোরই স্কুবার প্রতি আগ্রহ না থাকলেও সমর্থন পান সবসময়ই। 

আর বারবার কোথায় হারিয়ে যেতে চান, এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, এ পর্যন্ত রেড সি বা লোহিত সাগরে স্কুবা করে সবচেয়ে মজা পেয়েছেন তিনি। বলতে বলতেই খানিকটা স্বপ্নাতুর হয়ে যেন ডুবে গেলেন স্বচ্ছ রেড সি-তে ভাসতে থাকা লাল কোরালের ভিন্ন এক জগতে!

জলের নিচে ভ্রমণের খরচ কেমন?

মালদ্বীপ/ ছবি- সৌজন্যে প্রাপ্ত

প্রথমবারের মতো ডাইভিং বা ডিসকভারি ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সব জায়গাতেই খরচ প্রায় একইরকম। ১০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৭ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে যায় সেন্টমার্টিনে। স্নোরকেলিংসহ করতে চাইলে- এতে আরও হাজার দুয়েকের মতো খরচ পড়বে। এরপর স্কুবা ডাইভিংয়ের বাকি ধাপগুলোতে অবশ্য খরচ অনেকটা প্রতিষ্ঠানের হিসেব অনুযায়ী।

বাংলাদেশে সাধারণত ডিসকভারি স্কুবা ডাইভিং বা প্রাথমিক পর্যায়ের করানো হয়। ওশেনিক স্কুবা ডাইভিং সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা এসএম আতিকুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনে ডাইভিং চালু আছে। তবে টেকনাফ, জাফলংসহ বিভিন্ন নদীতেও এ ধরনের ডাইভিংয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রফেশনাল ট্রেনিংয়ের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুবা ডাইভিংয়ের 'ওপেন  ওয়াটার ডাইভার' হিসেবে ট্রেনিং চালুর কথা জানালেন- স্কুবা ডাইভিং বিডি'র প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান তালুকদার। কুয়েত সামরিক বাহিনীর বাংলাদেশি সদস্য মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানালেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর (পিএডিআই)-এর পক্ষ থেকে ৫ দিনের ট্রেনিং দেওয়া হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। বিশ্বজুড়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা স্কুবা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। পাডি, নাওয়ি আর এসএসআই নামে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয় বলেও জানান তিনি।

Related Topics

টপ নিউজ

স্কুবা / স্নোরকেলিং / সমুদ্র / সমুদ্র জয় / ডাইভিং / সাগর / সামুদ্রিক প্রাণী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত
  • ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে
  • প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল
  • ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা
  • আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?
  • কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

Related News

  • কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু 
  • ইনানী সৈকতে ভেসে আসা ইরাবতী ডলফিন দুই ঘণ্টা পর সাগরে ফিরেছে
  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • বাংলাদেশকে ৬.২৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
  • বিকল ট্রলারে ৫ দিন সাগরে ভাসছিলেন ১২ জেলে, ৯৯৯-এ ফোন কলে উদ্ধার 

Most Read

1
অর্থনীতি

প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত

2
আন্তর্জাতিক

ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে

3
বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল

4
আন্তর্জাতিক

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা

5
আন্তর্জাতিক

আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?

6
আন্তর্জাতিক

কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net