১ লাখ গাড়ি বানাতে টেসলার লেগেছে ১ যুগ, চীনা কোম্পানির লেগেছে ৬ বছর

ঝড়ের বেগে উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানিগুলো। গতির দিক দিয়ে শুরুর দিককার টেসলাকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত এক্সপেং সোমবার জানায়, এখন পর্যন্ত এক লাখ গাড়ি তৈরি করেছে তারা। ছয় বছর আগে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি।
তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গাড়ি তৈরির স্টার্ট-আপ নিও অবশ্য গত এপ্রিলেই এক লাখ গাড়ি নির্মাণের মাইলফলক ছোঁয়ার কথা জানিয়েছিল।
তারাও যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কোম্পানি। তবে ২০১৪ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে তাদের শুরুটা হয়েছিল অন্য নামে। প্রায় চার বছর বাদে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তারা নতুন নাম নিও গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যাত্রা শুরুর পর ইলন মাস্কের টেসলা ১২ বছরে এক লাখ গাড়ি তৈরির মাইলফলক ছোঁয়। সেই শুরুর দিনগুলোতে টেসলাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। বারবার বিঘ্ন ঘটে তাদের গাড়ি উৎপাদনে।
তবে সাংহাই ও বার্লিনে নতুন কারখানা স্থাপনের পর থেকে টেসলার উৎপাদন সক্ষমতায় ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। সামগ্রিকভাবে অন্য সকল বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানির চেয়ে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তারা।
২০২০ সালের মার্চে এক টুইটের মাধ্যমে মাস্ক তার প্রতিষ্ঠানের দশ লাখ গাড়ি নির্মাণের কথা জানান।
চলতি বছরের কেবল তৃতীয় কোয়ার্টারেই উৎপাদন ছুঁয়েছে ২,৩৮,০০০। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
এক্সপেংয়ের যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত শেয়ার এ বছর এখন পর্যন্ত ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে নিওর স্টক বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কমেছে ২৫ শতাংশ।
চীনা বৈদ্যুতিক ব্যাটারি ও যানবাহন নির্মাতা বিওয়াইডি জানিয়েছে, মে মাসে তারা নতুন শক্তি যান ক্যাটাগরিতে ১০ লক্ষ যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাণ করেছে। এ তালিকায় রয়েছে শুধু-ব্যাটারি এবং হাইব্রিড-চালিত গাড়ি।
বিওয়াইডির হংকংয়ের শেয়ার এ বছর ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এই কোম্পানিটির অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান বিলিয়ন ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে।
সূত্র : সিএনবিসি