অল্পতে অলআউট হওয়ার পর বলের আঘাতে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন মিরাজ

সময় খারাপ গেলে যেন এমনই হয়। ব্যাট হাতে দুঃসময়ের সময় কাটানো বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে নামতেই খেল বড় ধাক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই বলের আঘাতে মাঠ ছাড়তে হলো মেহেদী হাসান মিরাজ।
ডানহাতি এই স্পিনারের বুকে বল এতোটাই জোরে আঘাত হানে যে, উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। বলের আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম মাঠে ঠুকে অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩৯ রান। মুশফিকুর রহিম ৩০ ও ইয়াসির আলী রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তৃতীয় তারা আরও কিছু রান করলেও দলকে স্বস্তি দিতে পারেননি।
রাব্বি ৪৬ রান করে ফেরার পরপরই আউট হন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি করা মুশফিক। ৫১ রান করেন তিনি। এরপর চোখের পলকেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২১৭ রানেই থামে সফরকারীরা। এই ইনিংসেই ২৩৬ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

ফলো-অনে পড়লেও বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে তারাই। আর প্রথম ওভারেই ঘটে বিপত্তি। এবাদত হোসেনের মাঝারি লেংন্থের একটি ডেলিভারিতে শট খেলেন প্রোটিয়া ওপেনার সারেল আরিভিয়া।
পয়েন্টে দাঁড়ানো মিরাজ বুঝতে পারেন বল তাদের দিকেই যাচ্ছে। বাম দিকে ঝোঁকেনও তিনি। কিন্তু এরপরই থেমে যান, তাকে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় বল গিয়ে আঘাত হানে তার পাঁজরে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে পড়েন মিরাজ, ব্যথায় কাঁতরাতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঠিক কী কারণে মিরাজ বল দেখলেন না, তাৎক্ষণিকভাবে সেটা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মাঠের মধ্যে থাকা বিজ্ঞপনী ইলেক্ট্রিক বোর্ড, সাইডস্ক্রিন বা অন্য কোনো আলোর কারণে চোখ ঝলসে যায় তার, যে কারণে বল দেখেননি তিনি। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেও শঙ্কা কাটিয়ে মিরাজ অবশ্য পঞ্চম ওভারেই ফিল্ডিং করতে নামেন।