সিলেটকে খাদের কিনারে পাঠিয়ে প্লে-অফে তামিমের বরিশাল

হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে ওঠা দলটির লক্ষ্য আরেকবার জয়ের স্বাদ নেওয়া। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য পুরোপুরি ভিন্ন, জয়ের মালা বড় করে যাওয়া। অসম দুই দলের লড়াইয়ে জয় হলো জয়ের ধারায় থাকা ফরচুন বরিশালের। সিলেট পর্বে একটি ম্যাচ হারার পর আজ টানা পঞ্চম জয় তুলে নিলো তামিম ইকবালের দল। হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স হারলো টানা পঞ্চম ম্যাচ।
রোববার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাকিার্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফরচুন বরিশাল। এই জয়ে প্লে-অফে উঠে গেল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নয় ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে বরিশাল। আজকের হারে সিলেটের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। ১০ ম্যাচে দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট তলানির দল তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা সিলেট পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছে। বরিশালের পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে রাজশাহীর কেউ-ই ব্যাট হাতে লড়াই চালাতে পারেননি। দলটির কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। জবাবে অধিনায়ক তামিমের হাফ সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বরিশাল।
লক্ষ্য তাড়ায় বরিশালের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। দলীয় ২২ রানে আউট হন শেষ দুই ম্যাচ ধরে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা তাওহিদ হৃদয়। ৭ বলে ৬ রান করে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় জুটিও জমেনি, ৯ রান করে ফিরে যান ডেভিড মালান। তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জেতান তামিম ও মুশফিক। ৫১ বলে ৬টি চারে অপরাজিত ৫২ রান করেন তামিম। ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় হার নামা ৪১ রান করেন মুশফিক। সিলেটের নাহিদুল ইসলাম ও সুমন খান একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলন আহসান ভাটি, ২৯ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি। জাকের আলী ানিক ২৪, অধিনায়ক আরিফুল হক ১২ ও তানজিম হাসান সাকিব ১৩ রান করেন। সিলেটের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। অসাধারণ বোলিংয়ে তাদের ব্যাটিংয়ে ধস নামানো বরিশালের পেসার ফাহিম আশরাফ ৩.১ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ নবি ও জেমস ফুলার ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।