আজ প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, অনলাইন সংস্করণও বন্ধ
হামলার কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ শুক্রবার প্রকাশ হচ্ছে না দেশের শীর্ষ দুই দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার। একইসঙ্গে গণমাধ্যম দুটির অনলাইন কার্যক্রমও প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, রাতে আকস্মিকভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় পত্রিকা অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম দুটির অনলাইন কার্যক্রমও আপাতত স্থবির হয়ে পড়েছে। হামলার আগে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে খবর প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
প্রথম আলো তাদের পাঠকের প্রতি এক বার্তায় জানায়, 'বিগত রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় এর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি। এর অনলাইন পোর্টালও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পাঠকদের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।'
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দ্য ডেইলি স্টারও। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে দেওয়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, আগের রাতে পত্রিকাটির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সাময়িক সময়ের জন্য ডেইলি স্টারের প্রকাশনা ব্যাহত হচ্ছে।
অনলাইন সার্ভিস পুনরায় শুরু করার আগ পর্যন্ত পাঠকদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কয়েকশ' ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারী প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পরে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি এসে আগুন নেভাতে সমর্থ হয়। আগুন লাগার সময় অফিসের ভেতরে আমাদের অনেকেই আটকা পড়েন বলে জানা যায়।
জানা যায়, আগুন লাগানোর আতঙ্কিত হয়ে ছাদে চলে যান ভেতরে অবস্থানকারী সংবাদকর্মীরা। ডেইলি স্টারের আহমেদ দিপ্ত ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড দেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "এমন লেট নাইট ডিউটি যেন কারও জীবনে না আসুক। ছাদে আটকা পড়ছি, মাফ কইরা দিয়েন। ভবনে আগুন দিছে, দেখা নাও হতে পারে।"
আগুনের ধোঁয়ায় ভেতরে থাকা অনেকেই এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে।
