মানহানির অভিযোগ: বিএনপির এপোলো ও কলামিস্ট মারুফ মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন মাহমুদুর রহমানের
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় 'আমার দেশ' পত্রিকাকে জড়িয়ে ফেসবুকে মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মামলায় বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান (এপোলো) এবং লেখক ও কলামিস্ট এফ এম রাশেদুল হক মল্লিক ওরফে মারুফ মল্লিককে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে মাহমুদুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পতিত 'ফ্যাসিস্টের সহযোগী' আখ্যা দিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালানো হয়, যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসামিরাসহ একটি সুযোগসন্ধানী মহল মাহমুদুর রহমান ও তার পত্রিকা 'আমার দেশ'-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যে তারা নিজেরা মিথ্যা সংবাদ সৃজন ও পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে তারা অবৈধ উপায়ে স্বার্থ হাসিলসহ বাদীর সামাজিক মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ মল্লিক 'আমার দেশ' পত্রিকার বিরুদ্ধে জনমনে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও গুজব তৈরির মাধ্যমে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্ররোচণা দেন। তিনি বাদীকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় হামলার অংশীদার হিসেবে চিত্রিত করে ফেসবুকে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক পোস্ট করেন। পরবর্তীতে মারুফ মল্লিকের সাথে যোগসাজশে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান (এপোলো) উক্ত লেখাকে সমর্থন করে এবং কিছু তথাকথিত যৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপন করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, কারওয়ান বাজারে 'আমার দেশ' পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অবস্থানকালে মাহমুদুর রহমান আসামিদের ফেসবুক পোস্ট দুটি সম্পর্কে জানতে পেরে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। আসামিদের এই জঘন্য মিথ্যাচারের ফলে বাদী ও 'আমার দেশ' পত্রিকার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। পাশাপাশি পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীদের মানহানি ঘটেছে এবং তাদের প্রতি জনমনে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে।
