টানা হারে কোণঠাসা মাশরাফির সিলেট

হারে শুরু, হারেই বসবাস; বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন পর্যন্ত এমনই অবস্থা সিলেট স্ট্রাইকার্সের। গত আসরের রানার্স আপরা চার ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি। হারই যেন অমোঘ নিয়তি হয়ে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের। প্রায় সব ম্যাচেই ব্যাটিং দুর্দশা দেখা যাচ্ছে তাদের, বোলিংয়েও বলার মতো পারফরম্যান্স মিলছে না। এরই ধারাবাহিকতায় আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলো সিলেট।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দারুণ ছন্দে থাকা দলটি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতলো। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম। চার ম্যাচের সবগুলোতে হারা সিলেট তালিকার তলানির দল। এবারের বিপিএলে তারাই একমাত্র দল, যারা এখনও জয়ের মুখ দেখেনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা সিলেট সেভাবে উইকেট না হারালেও তাদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। হ্যারি টেক্টর, জাকির হাসান, রায়ান বার্লদের মাঝারি ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে দলটি। জবাবে তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৭.৪ ওভারেই ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। তেড়েফুঁরে শুরু করা আভিশকা ফার্নান্দো বেশি সময় টিকতে পারেনন, ১২ বলে ৩টি চারে ১৭ রান করে বিদায় নেন লঙ্কান এই ওপেনার। দলীয় ২৩ রানে উইকেট হারালেও চট্টগ্রামকে অবশ্য কোনো চাপ বুঝতে হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন তানজিদ ও ব্রুস।
৪০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করা তানজিদের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। শাহাদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলে নেওয়ার বাকি কাজ সারেন ব্রুস। নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন শাহাদাত। সিলেটের টেক্টর ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট নেন। মাশরাফি ১ ওভারে ১৪ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন।
এর আগে ব্যাটিং করা সিলেটকে সবচেয়ে বেশি ভোগান চট্টগ্রামের বিলাল খান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ওমানের বাঁহাতি এই পেসারই সিলেটের টপ অর্ডারে ধস নামান। টেক্টর ৪২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। জাকির ৩১, বার্ল ৩৪ ও আরিফুল অপরাজিত ১৭ রান করেন। বিলাল ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান নিহাদুজ্জামান।