রংপুরকে উড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা

এই ম্যাচ যে জিতবে তারা শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করবে, হেরে যাওয়া দলকে তিন বা চারে থেকে খেলতে হবে এলিমিনেটর। এমন সমীকরণ নিয়ে মুখোমুখি হওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে লড়াইটা শেষ পর্যন্ত হলো একপেশেই। লিটন দাস, জাকের আলী ও খুশদিল শাহর ব্যাটে ভর করে ১৭৭ রান তোলে কুমিল্লা, রান তাড়া করতে নেমে রংপুর ১৬.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১০৭ রানেই।
এই জয় নিয়ে কুমিল্লা টানা ৯টি ম্যাচ জিতল, অপরদিকে টানা ৬টি ম্যাচ জেতার পর হারল রংপুর। ৭০ রানের বড় ব্যবধানে জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করল কুমিল্লা। আগামী রবিবার হবে এই ম্যাচ। সেদিনই এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনে দেন রিজওয়ান ও লিটন দাস। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দায়িত্বটা নেন লিটনই, রিজওয়ান সেখানে ছিলেন কিছুটা শান্তশিষ্ট। সাজঘরে প্রথমে ফেরেন পাকিস্তানি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানই, ওমরজাইয়ের বলে পেছনে ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ২৪ রান করে।
লিটনের পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, দুজন আউট হন পরপর ২ ওভারে, সে সময় একটু চাপেই পড়ে কুমিল্লা। যদিও বেশ লম্বা ব্যাটিং লাইন-আপে তখনো বড় স্কোরের সম্ভাবনা ছিল ভালোভাবেই। সেটির জন্য অবশ্য ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হিটার আন্দ্রে রাসেল বা মোসাদ্দকেরও প্রয়োজন পড়েনি। সে দায়িত্ব নেন জাকের আলী ও খুশদিল শাহই।
খুশদিল ও জাকেরের জুটিতে ৩৯ বলে ৭২ রান তোলে কুমিল্লা। ১৮ ও ২০তম ওভারে এসে মাত্র ১৩ রান দেন হাসান, তবে তাতেও কুমিল্লার বড় স্কোর করতে বেগ পেতে হয়নি।
জয়ের জন্য ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সুনীল নারাইন, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। সেই চাপ সামলে ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা।
৭৪ রানে ৬ উইকেট হারানো রংপুর ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। কুমিল্লার হয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর।