শান মাসুদ-ইফতিখারের ব্যাটে পাকিস্তানের লড়াইয়ের পুঁজি

ভুবনেশ্বর কুমার ও আর্শদীপ সিং যেভাবে শুরু করলেন, তাতে ভড়কে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না পাকিস্তানের। যে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে পাকিস্তানের গর্ব, সেই উদ্বোধনী জুটির দুই কারিগর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান এদিন কিছুই করতে পারলেন না। তাতে যেন আরও বেগবান হন ভুবনেশ্বর, আর্শদীপ, হার্দিক পান্ডিয়ারা।
ভারতীয় বোলারদের শাসনের মাঝেও অসাধারণ ব্যাটিং করে যান শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। শেষে অবদান রাখেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল পাকিস্তান। রোববার অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছে পাকিস্তান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরেন ভারতের দুই পেসার ভুবনেশ্বর ও আর্শদীপ। ভুবনেশ্বরের করা প্রথম ওভার থেকে মাত্র এক রান পায় পাকিস্তান, সেটাও ওয়াইড থেক্ দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তোপ দাগেন আর্শদীপ, ফিরিয়ে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। সুইংয়ে শুরু থেকেই ভুগতে থাকা রিজওয়ানও কিছুক্ষণ পর ফেরেন। ৪ রান করা ডানহাতি এই ওপেনারকেও ফেরান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আর্শদীপ।
৪ ওভারে ১৫ রানে দুই উইকেট। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে অবশ্য বেশি সময় এমন কঠিন অবস্থায় থাকতে হয়নি। মুহূর্তেই উইকেটে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে লম্বা জুটি গড়েন শান মাসুদ ও ইফতিখার। তৃতীয় জুটিতে ৭৬ রান যোগ করেন এ দুজন। এ সময় ভারতের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেলের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ইফতিখার।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৩৪ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫১ রানের মহাকার্যকর এক ইনিংস খেলেন আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইফতিখার আউট হলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাট চালান শান মাসুদ। যদিও তাকে সঙ্গ দিতে পারেন কেউ, অন্য প্রান্তে ভাঙনের সুর বাজতেই থাকে। শেষের দিকে কেবল শাহিন আফ্রিদি কিছু রান করেন।
৪২ বলে ৫টি চারে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন শান মাসুদ। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা শাহিন আফ্রিদি পেসার হয়েও এদিন ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি। শান মাসুদ, ইফতিখার ও আফ্রিদি ছাড়া পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ভারতের আর্শদীপ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ভুবনেশ্বর ও মোহাম্মদ শামি।