হারের বৃত্তেই বন্দী মুশফিকের ঢাকা

হারে শুরু, হারেই বসবাস। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জয়ের দেখা পাচ্ছে না বেক্সিমকো ঢাকা। সোমবার আরও একটি হারের স্বাদ নিতে হলো মুশফিকুর রহিমের দলকে। সাকিব আল হাসান-শুভাগত হোমদের দারুণ বোলিংয়ে ঢাকাকে ৩৭ রানে হারিয়েছে জেমকন খুলনা। টুর্নামেন্টে এটা ঢাকার টানা তৃতীয় হার। দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে জেমকন খুলনা। বেক্সিমকো ঢাকা ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মহড়া দিলেও খুলনা বড় স্কোর গড়তে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে মাহমুদউল্লাহর দল। জবাবে শুরুতেই উইকেট হারানো ঢাকা পুরো ইনিংসে ধুঁকেছে। তাদের ইনিংস শেষ হয় ১০৯ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় ঢাকা। শুভাগত হোমকে চার মেরে ইনিংস শুরু করা তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। শুরুর এই ভাঙন আর থামাতে পারেনি ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যান।
নাঈম শেখ, রবিউল ইসলাম রবিদের দ্রুত বিদায়ের পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ইয়াসির আলী রাব্বিও আশার আলো জ্বেলেছিলেন। কিন্তু তারাও বেশি সময় টিকতে পারেননি। মুশফিক ৩৭ ও ইয়াসির ২১ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন।
নিজের প্রথম দুই ওভার মেইডেন করা সাকিব আল হাসান ৮ রান খরচায় একটি উইকেট নেন। স্পিন ভেল্কি দেখিয়েছেন ম্যাচসেরা শুভাগত হোমও। ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া শহিদুল ইসলাম ৩টি ও হাসান মাহমুদ ২টি উইকেট পান।
এরআগে খুলনাও ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। ওপেনার এনামুল হক বিজয় দ্রুতই আউট হন। আগের তিন ম্যাচের মতো ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। ওপেনার হিসেবে নামা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ১১ রান করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এ ছাড়া ইমরুল কায়েস ২৯, আরিফুল হক ১৯ ও শুভাগত হোম ১৫ রান করেন। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। শফিকুল ইসলাম ২টি এবং নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন।