খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহত ৩; জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরো অনেকে আহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার/পরিচালক) ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরো অনেকে আহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে সে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক আহসান হাবিব পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, খাগড়াছড়ির গুইমারায় গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে কার গুলিতে কীভাবে মারা গেছে, বিস্তারিত জানা যায়নি। তিনি আরও বলেন, গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা।
এ ঘটনায় 'জুম্ম-ছাত্র জনতা'র ব্যানারে গতকাল শনিবার ভোর ৫টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আজ রোববার সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
অবরোধ চলাকালে আজ দুপুরে গুইমারার একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। এ সময় বাজারের পাশে থাকা বসতঘরও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ বেলা একটায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।