শুরুতেই মুশফিকদের গুঁড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম

প্রথমে বল হাতে শাসন, পরে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের ছত্রখান করে দেওয়া। পুরো ম্যাচে শাসন হজম করে যাওয়া দলটির নাম বেক্সিমকো ঢাকা। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা চট্টগ্রামের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি মুশফিকুর রহিমের দল। লিটন দাস-সৌম্য সরকারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো মুশফিকের দল।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বেক্সিমকো ঢাকা পুরো ইনিংসে ধুঁকেছে। ওপেনার নাঈম শেখের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ১৬.২ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। নাঈম ছাড়া কেউই দলের রানাচাকা ঘোরাতে পারেননি। দলটির ৫ জন ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে দাপুটে শুরু করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন কুমার দাস। তাদের অনিন্দ্য সুন্দর ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। শেষটাও করতে পারতেন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু একেবারে শেষ দিকে গিয়ে আউট হন লিটন। ৩৩ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৯ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৪৪ রান করেন সৌম্য। চার মেরে খেলা শেষ করা মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকা পুরো ইনিংসেও ছন্দ খুঁজে পায়নি। শুরুতেই উইকেট হারানো দলটি কেবল ধুঁকেই গেছে। এর মাঝেও ব্যাট হাতে দাপুটে ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। আগের ম্যাচে দুই নম্বরে ব্যাটিং করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান এদিন ওপেনার হিসেবে নেমে চার-ছক্কার পসরা সাজান। কিন্তু অপর প্রান্তে কিউকে পাননি। অন্য পাশে কেবল ভাঙনের সুরই বেজে গেছে।
তাই নাঈমের ২৩ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ঝড়ো গতির ৪০ রানের পরও মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন আকবর আলী। ১২ রান আসে মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ৫ জন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করতে পারেননি। চট্টগ্রামের শরিফুল, মুস্তাফিজ, ম্যাচসেরা মোসাদ্দেক ও তাইজুল ২টি করে উইকেট নেন।