প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাহমুদউল্লাহর ‘টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি’

না, ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সবে বোলিং শুরু করেছে বাংলাদেশ। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান এখনও তামিম ইকবালই। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সেঞ্চুরি হয়েছে ম্যাচ খেলায়।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই উতড়াই পাড়ি দেওয়া অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি টস করতেই এই মাইলফলকে পৌঁছে যান।
সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সময়টাও দারুণ যাচ্ছে। জিম্বাবুয়ে সফর থেকে শুরু। এরপর টি-টোয়েন্টিতে স্বপ্নের ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮টিতেই জিতে মাহমুদউল্লাহর দল।
দারুণ এই সাফল্যে অধিনায়ক হিসেবে সফলতম হয়ে উঠেছেন মাহমুদউল্লাহ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জিতেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে ১২টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর জয়ের গড় ৫০ ভাগ। মাশরাফি ২৮ ম্যাচে ১০টিতে দলকে জিতিয়ে এতদিন সফলতম ছিলেন। তার জয়ের গড় ৩৭.৩ ভাগ। অধিনায়কত্বের সফলতায় মাশরাফি ছাড়িয়ে আজ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০তম টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ।
২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ১৪ বছর পর সেপ্টেম্বরেই ১০০তম ম্যাচ খেললেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর অভিষেকের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে ১০০টিতেই খেললেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলায় মাহমুদউল্লাহর চেয়ে বাকিরা বেশ পিছিয়ে। ৮৮টি ম্যাচ খেলে দুই নম্বরে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এই ফরম্যাটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৮৬টি ম্যাচ। চার নম্বরে থাকা দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেছেন ৭৪ টি-টোয়েন্টি।