বিশ্বকাপে বিবাদে জড়ানো বাংলাদেশ-ভারতের ৫ খেলোয়াড়কে শাস্তি আইসিসির

শিরোপা জয়ের মাত্র একদিন পার হয়েছে। যুব দলের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দেশের সব ক্রিকেটভক্তরা যখন উদযাপনে ব্যস্ত, এমন সময় শুনতে হলো খারাপ খবর।
ফাইনালের পর মাঠের মধ্যে ভারত যুবাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি আর ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই ঘটনায় ভারতের দুজন ক্রিকেটার শাস্তি পেয়েছেন।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা মাঠের দিকে ছোটেন। মাঠে ঢুকে ভারতের ক্রিকেটারদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন ক্রিকেটার। ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয় তাদের।
এ ঘটনায় ম্যাচের পর দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। তাতেও শাস্তি এড়ানো যায়নি।
ঘটনার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আইসিসিরি ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাস্তির খড়্গে পড়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও জয়সূচক রান করা রকিবুল হাসান। আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভঙ্গ করায় ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচ ক্রিকেটারই শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়। এটা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামীম ৮টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলেও তার ডিমেরিট পয়েন্ট ৬। রকিবুল পেয়েছেন ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৫টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।
আগামী দুই বছর এই পাঁচ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে থেকে যাবে এসব পয়েন্ট। অর্থাৎ, আগামী দুই বছর এই শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের। যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে এই শাস্তি প্রযোয্য থাকবে। একটি সাসপেনশন পয়েন্ট সমান একটি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট অথবা ‘এ’ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি।
ভারতের আকাশ সিং ৮টি সাসপেনশন পেয়েছেন, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। ভারতের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয় দুটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন। ম্যাচের পরের ঘটনায় ৫টি করে সাসপেনশন ও ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহারের জন্য আর দুটি ডেমেরিট পয়েন্ট জমা হয়েছে তার নামের পাশে।