পদত্যাগ করতে পারেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে পারেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে দ্বীপরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে অনুরোধ করেছিলেন মাহিন্দাকে পদ ছাড়ার জন্য।
ভাইয়ের অনুরোধ রেখে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পদত্যাগ করতে পারেন মহিন্দা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোতাবায়া রাজাপাকসের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্টস হাউসে একটি বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে মাহিন্দাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন গোতাবায়া।
কলম্বো পেজ জানিয়েছে, গোতাবায়ার সেই অনুরোধে সম্মতও হয়েছেন মহিন্দা। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য- প্রসন্ন রানাতুঙ্গা, নালাকা গোদাহেওয়া এবং রমেশ পাথিরানা, সকলেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য উইমলাভিরা ডিসানায়েকে বলেছেন যে মহিন্দার পদত্যাগ দেশের সংকট মোকাবিলায় নিরর্থক প্রমাণিত হবে।
এদিকে গতকাল মধ্যরাত থেকে ফের একবার জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সরকার বিরোধী ক্ষোভ সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের। প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইনের প্রয়োগ যথাযথ করার জন্য তিনি এই কড়া আইন প্রয়োগ করেছেন। এদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের ডাক দিয়েছে সংগঠনগুলো। এই আবহে স্বাস্থ্য, পোস্টাল, বন্দর, সহ সরকারি সমস্ত বিভাগে ধর্মঘট পালন চলছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কা তীব্র খাদ্য এবং বিদ্যুতের ঘাটতির সাথে লড়াই করছে। দেশটি এর জন্য প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়েছে। কোভিড মহামারী চলাকালীন পর্যটনের বন্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দেয় দ্বীপরাষ্ট্রে। এর জন্য এই মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেদেশে। আর এই কারণে সেদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষই এখন বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে সেখানে।