Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
October 15, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, OCTOBER 15, 2025
স্পাই মাস্টার থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট: পুতিনের অন্তরালের জীবন!

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
26 February, 2022, 08:30 pm
Last modified: 26 February, 2022, 08:30 pm

Related News

  • ‘শান্তির জন্য কিছু না করেই’ নোবেল পেয়েছেন অনেকে: পুতিন
  • শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করবে ক্রেমলিন
  • রাশিয়ার সঙ্গে সু-৩৫ যুদ্ধবিমান চুক্তি ইরানকে ডানা দিচ্ছে—কিন্তু সমর্থন নয়
  • প্রপাগান্ডা শিল্প! মস্কোয় উত্তর কোরিয়ার চিত্র প্রদর্শনী
  • ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

স্পাই মাস্টার থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট: পুতিনের অন্তরালের জীবন!

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টই বলা যায় তাকে। মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রুশ প্রেসিডেন্ট। তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। কিন্তু নিজেকে তিনি মুড়িয়ে রাখেন রহস্যের আবরণে। কেমন এই মহাক্ষমতাধর মানুষটির অন্তরালের জীবন?
টিবিএস ডেস্ক
26 February, 2022, 08:30 pm
Last modified: 26 February, 2022, 08:30 pm

ছবি: রয়টার্স

সফল গুপ্তচর হওয়ার জন্য দুটি গুণ থাকা আবশ্যক। এক, যেকোনো মানুষের সঙ্গে অনায়াসে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা। দুই, কখন মুখে কুলুপ আঁটতে হবে—বিশেষ করে নিজের ব্যাপারে—তা জানা।

ঝুঁকি নেওয়ার জন্য বিখ্যাত ভ্লাদিমির পুতিন ছিলেন সফল গুপ্তচর। তার বাবা ছিলেন সিক্রেট পুলিশ। পুতিন বড়ই হয়েছেন সিক্রেট এজেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে। তাই কলেজ শেষ করেই সরাসরি যোগ দেন কেজিবিতে।

১৬ বছরের কর্মজীবনে পুতিন পেতে পেতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন পদোন্নতি। তারপর ১৯৯১ সালে পতন হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের। তার সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যায় কেজিবিও।

গোপন কর্মজীবনের কারণে এর আট বছর পর পুতিনকে যখন এ গ্রহের সবচেয়ে বড় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়, তখন কেউই ঠিকমতো তাকে চিনত না। যেকোনো দক্ষ সিক্রেট এজেন্টের মতোই তিনি নিজের অতীত ইতিহাস নতুন করে লিখতে পারতেন।

তারপর পেরিয়ে গেছে সিকি শতাব্দীর বেশি সময়। এর মধ্যে পুতিনকে ঘিরে থাকা কিছু মিথের সত্যাসত্য জানা গেছে। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে চাউর হওয়া বেশিরভাগই মিথই আজও মেঘে ঢাকা। পুতিন নিজের ব্যাপারে যতখানি দেখাতে চান, ঠিক ততখানিই দেখতে পাই আমরা।

লড়াকু শৈশব-কৈশোর

পুতিনের জন্ম লেনিনগ্রাদে (বর্তমান সেইন্ট পিটার্সবার্গ), ১৯৫২ সালের অক্টোবরে, জোসেফ স্ট্যালিনের মৃত্যুর পাঁচ মাস আগে। এরপরের সব তথ্যই ঘোলাটে।

তার দাদা স্পিরিদন পুতিন ছিলেন লেনিন ও স্ট্যালিনের বাবুর্চি। পুতিনের বাবা ভ্লাদিমির স্নর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিক্রেট পুলিশ ছিলেন। পুতিনের জবানিতে জানা যায়, তার বাবা একবার এক ফাঁপা নলখাগড়ার ডাঁটি দিয়ে নিশ্বাস নিতে নিতে পানির নিচ দিয়ে নাৎসিদের খপ্পর থেকে পালিয়েছিলেন।

পুতিনের বাবা ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। পরবর্তীতে কারখানা শ্রমিক হন তিনি। পুতিনের মা মারিয়া নানা ছুটা কাজ করতেন। দুজন বড় ভাই ছিল পুতিনের। তাদের দুজনই মারা যায়—একজন জন্মের পরপরই, অপরজন লেনিনগ্রাদ অবরোধের সময়। পুতিনকে তার বাবা-মা আদর করে ডাকতেন ভলোদিয়া নামে।

চলতি শতকের শুরুর দশকের গোড়ার দিকে ভেরা পুতিনা নামে এক জর্জিয়ান নারী দাবি করেন, তিনিই পুতিনের আসল মা। তার গল্পটা খুব বিশ্বাসযোগ্য ও রগরগে ছিল। যদিও ক্রেমলিন দৃঢ়ভাবে পুতিনার দাবি নাকচ করে দেয়। আর যে দুই বিদেশি সাংবাদিক এই ব্যাপার নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন, তারা দুজনই অকস্মাৎ, অপ্রত্যাশিতভাবে মারা যান।

পুতিনসহ বাকি সব সূত্রের বর্ণনানুসারে, ছোটবেলায় তিনি ছিলেন রোগাপাতলা। তিনি বেড়ে উঠেছেন দারিদ্র্যের মাঝে। তার বাবা-মার বেশিরভাগ সময়ই কাটত কাজ করে। 

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পুতিন একবার বলেছিলেন, তাদের খাদ্যতালিকায় ছিল বাঁধাকপির স্যুপ, কাটলেট ও প্যানকেক। শুধু রোববার ও উৎসবের দিনগুলোতে তার মা বাঁধাকপি, মাংস রান্না করতেন। 

শিশু পুতিন ছিল বেয়াড়া স্বভাবের। প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক বলেছিলেন, জীবনে বড় কিছু করার সমস্ত গুণ নিয়ে জন্মালেও শৈশবে পুতিন ছিলেন ভীষণ দস্যি, ছাত্র হিসেবেও ছিলেন অমনযোগী।

পুতিনদের অ্যাপার্টমেন্টে ছিল ইঁদুরদের দৌরাত্ম্য। 'ফার্স্ট পারসন: অ্যান অ্যাস্টোনিশিংলি ফ্র্যাঙ্ক সেলফ-পোর্ট্রেট' বইয়ে সেই সময়ের কথা লিখেছেন তিনি। একবার এক ইঁদুরকে ধাওয়া করার বর্ণনা দেন তিনি ওই বইয়ে।

'ওটার পালানোর কোনো জায়গা ছিল না। সহসা ওটা উন্মত্তের মতো এদিক-ওদিক ছোটাছুটির পর আমার দিকে লাফ দেয়। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, ভয়ও পেয়েছিলাম। এখন ইঁদুরটাই আমাকে তাড়া করছে। কপাল ভালো, আমি ওটার চেয়ে সামান্য দ্রুত দৌড়াতে পারতাম। তাই কোনোক্রমে ওটার নাকের ওপর দরজা বন্ধ করে দিতে পারি। ওই মুহূর্তে, সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে, আমি চিরদিনের জন্য শিখে গেলাম "কোণঠাসা" শব্দটার মানে কী।'

সাবেক অলিম্পিক জিমন্যাস্ট অ্যালিনা কাবায়েভা। তার সঙ্গে পুতিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকার গুজব রয়েছে। ছবি: তাস

কিশোর বয়সে পুতিন ছিলেন ভীষণ বদরাগী। নিজের বেশি বয়সি ছেলেদের সঙ্গে প্রায়ই মারামারি হতো তার। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জেতার জন্য কিশোর বয়সে জুডো শিখতে আরম্ভ করেন পুতিন। শেষতক ওটাই হয়ে ওঠে তার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। পুতিনের মা প্রথমদিকে ছেলের জুডো অনুশীলন একেবারেই পছন্দ করতেন না। ছেলে জুডো শিখতে বের হলেই মা গালিগালাজ করতেন। তারপর একদিন জুডো কোচ পুতিনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে বোঝান। এরপর আর তার বাবা-মায়ের তরফ থেকে জুডো শেখায় বাধা আসেনি। মার্শাল আর্টে বেশ কয়েকটি ব্ল্যাক বেল্ট আছে তার।

২০১৫ সালে পুতিন বলেছিলেন, 'পঞ্চাশ বছর আগে লেনিনগ্রাদের রাস্তা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়েছিল—লড়াই যদি অনিবার্য হয়, তাহলে আমাকেই আগে আঘাত হানতে হবে।'

সিক্রেট এজেন্ট পুতিন ও সংসারী পুতিন

পুতিনের ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল সিক্রেট এজেন্ট হওয়া। হাইস্কুলে থাকতে কেজিবির একটি শাখার পাবলিক রিসেপশনে গিয়ে জানতে পারেন, গুপ্তচর হওয়ার জন্য তাকে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে, নইলে একটি কলেজ ডিগ্রি থাকতে হবে। আর ডিগ্রিটি আইনের ওপর হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।

এ তথ্য জেনেই পুতিন লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে আইনে স্নাতক সম্পন্ন করার পর চাকরি নেন কেজিবিতে। 

চাকরিতে ঢোকার কয়েক বছর পরেই পুতিনের দেখা হয় লুদমিলা আলেকসান্দ্রোভনা ওখেরেতনায়ার সঙ্গে। লুদমিলা ছিলেন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট। তার প্রেমে পড়ে যান গুপ্তচর পুতিন। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন দুজনে।

প্রণয়জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পুতিন লিখেছেন, 'আমার ভবিষ্যৎ স্ত্রী, লুদার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল। আমি বুঝে গিয়েছিলাম, আগামী দুই বা তিন বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে জীবনে আমার আর কখনও বিয়েই করা হবে না। ব্যাচেলর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম আমি। লুদমিলা সেই অভ্যাস মুছে দিয়েছে।'

তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়—মারিয়া ও ইয়েকাতেরিনা। শৈশবের অল্প কিছু ছবি বাদে তাদের ব্যাপারে আর কোনো তথ্যই প্রকাশ্যে আনা হয়নি দীর্ঘদিন। জানা গেছে, মারিয়া ও ইয়েকাতেরিনা পড়াশোনা করেছে ছদ্মনামে, মস্কোর একটি জার্মান ভাষার স্কুলে এবং সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের কন্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।

২০১৫ সালে দুই মেয়ের সম্পর্কে পুতিন বলেন, 'ওদের নিয়ে আমি গর্বিত। ওরা পড়াশোনা চালিয়ে গেছে এবং কাজ করছে। আমার মেয়েরা সাবলীলভাবে তিনটি ইউরোপিয়ান ভাষা বলতে পারে।' বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মারিয়ার বয়স এখন ৩৬। তিনি পেশায় বিজ্ঞানী, বিয়ে করেছেন এক ডাচ নাগরিককে।

৩৫ বছর বয়সি ইয়েকাতেরিনা আগে অ্যাক্রোবেটিক নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তবে তিনিও এখন বিজ্ঞানী। তিনি বিয়ে করেছেন পুতিনের এক বন্ধুর ছেলে, ব্যবসায়ী কিরিল শামালভকে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইয়েকাতেরিনা আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন।

তুমুল গোপনীয়তা বজায় রেখে ব্যক্তিগত জীবন কাটানো পুতিন ২০১৩ সালে লুদমিলার সঙ্গে ৩০ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানেন। ওই সময় তিনি জানেন, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত দুজনে সম্মিলিতভাবে নিয়েছেন। 

লুদমিলা সক্রিয়ভাবে দু-বছর ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করেছেন। পুতিনের সঙ্গে বিদেশ সফরে গেছেন। জানা গেছে, পুতিনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর লুদমিলা দ্য সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অভ ইন্টার-পারসোনাল কমিউনিকেশন নামের একটি সংগঠনের প্রধান আর্তুর ওকেরেন্টিকে বিয়ে করেছেন।

লুদমিলা ও দুই কন্যার সঙ্গে পুতিন। ১৯৯০ সালে। লুদমিলার সঙ্গে ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন ছিল পুতিনের। তার ইতি ঘটে ২০১৩ সালে। ছবি: অ্যাভালন

লুদমিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে পুতিন নিজের প্রণয়জীবন সম্পর্কে আর কোনো কথা বলেননি। গুজব আছে, সাবেক পরিচ্ছন্নতা কর্মী সভেৎলানা ক্রিভোনোগিখের গর্ভে পুতিনের তৃতীয় এক মেয়ে আছে। তার নাম লুইজা ক্রিভোনোগিখ। লুইজা ইনস্টাগ্রামে বেশ পরিচিত ও সক্রিয় মুখ। কিন্তু গত অক্টোবর থেকে হুট করেই ইনস্টাগ্রামে নতুন পোস্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া পুতিনের আরও বেশ কিছু সন্তানের কথা এসেছে সংবাদমাধ্যমে এসেছে নানা সময়ে, কিন্তু কখনও সেসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

শোনা গেছে, গত দশকে সাবেক অলিম্পিক জিমন্যাস্ট অ্যালিনা কাবিয়াভার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন পুতিন। এমনকি তার সঙ্গে এক সন্তানও আছে রুশ প্রেসিডেন্টের। সম্প্রতি বিবাহিত রাশিয়ান নারীদের মতো ডান হাতের অনামিকায় একটি আংটি পরে টিভির পর্দায় হাজির হন অ্যালিনা। এ দৃশ্য প্রচার হওয়ার পর থেকে দেশটিতে গুজব ডালপালা মেলে।

এক ইতালীয় সাংবাদিক একবার পুতিনকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। পুতিন শীতল কণ্ঠে জবাব দিয়েছিলেন, যারা অন্যের জীবনে নাক গলায় তিনি সবসময় তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন।

রহস্যে মোড়ানো ব্যক্তিগত জীবন

রাশিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার আগে-পরে পুতিনের জীবনের সিংহভাগ অংশই রহস্যের চাদরে মোড়ানো। যদিও মাঝেমধ্যে তার এ জীবন সম্পর্কে জানা যায়। 

বিশাল সম্পত্তির মালিক পুতিন। তার মধ্যে আছে কৃষ্ণ সাগরের দেড় বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি 'পুতিন'স প্যালেস'। অ্যালেক্সেই নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের ফাঁস করা ছবিতে দেখা গেছে, পুতিন একটি মার্বেল পাথরের সুইমিং পুল, একটি হুঁকা লাউঞ্জ, একটি ক্যাসিনো, একটি ওয়াইন সেলার, একটি থিয়েটারের মালিক।

এছাড়াও আছে বেশ কিছু বিলাসবহুল সুপারইয়টের মালিক পুতিন। এর মধ্যে সর্বশেষ ইয়টের মূল্য ৭৩ মিলিয়ন পাউন্ড। ২৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের জলযানটির নাম 'গ্রেসফুল'। 

শোনা যায়, পুতিন ঘুম ওঠেন দেরি করে। সকালের নাস্তায় একটি অমলেট বা কোয়েলের ডিমের সঙ্গে পরিজ খান, আর কফি পান করেন। তারপর ব্যায়াম করেন, সাঁতার কাটেন। গোসল সেরে গায়ে চাপান ইতালিয়ান স্যুট। কিটন ও ব্রায়োনি তার সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ড। তারপর বেশ বেলা করে বিকেলে কাজে যান। রাতের বেলায়ও কাজ করেন তিনি। অ্যালকোহল পানের অভ্যাস নেই পুতিনের।

একবার পুতিন জানিয়েছিলেন, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ও জুল ভার্নসহ রুশ লেখকদের বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি।

ঘোড়ার সঙ্গে পুতিন। ছবি: এএফপি

 

তাছাড়া গানবাজনাও টুকটাক পছন্দ করেন পুতিন। ২০১০ সালে সেইন্ট পিটার্সবার্গে এক দাতব্য অনুষ্ঠানে তিনি পিয়ানো বাজান এবং গান গেয়েও শোনান। 

পুতিন সাধারণত সবসময়ই শক্তি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন। 

রাশিয়ার প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়ানোর, কিংবা আইস হকি খেলার বা শিকার করার ছবি প্রকাশ করেন তিনি প্রায়ই। সোভিয়েত রাশিয়ার খোঁয়ারি এখনও কাটাতে পারেননি বলেই বোধহয় কেজিবির এজেন্টদের ভঙ্গিমায় হাঁটেন পুতিন। আর শত্রুদের তিনি প্রায়ই নাটকীয় পদ্ধতিতে শাস্তি দেন।

২০১৮ সালের পুনর্নির্বাচনের পোস্টারে স্লোগান লেখা ছিল: 'শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট, শক্তিশালী রাশিয়া।'

অধিকাংশ রাজনীতিবিদই নিজেদের শক্তিশালী হিসেবে উপস্থাপনা করতে পছন্দ করেন, তবে সেইসঙ্গে নিজেদের মানুষ হিসেবেও উপস্থাপন করতে চান তারা। কিন্তু পুতিনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। তার মতে মানুষ হওয়ার মানেই হলো দুর্বল হওয়া, ভুল করা। আর 'দুর্বলরা সবসময়ই মার খায়।' 

কাজেই ভ্লাদিমির পুতিন যে নিজেকে লৌহমানব হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী! এখন প্রশ্ন একটাই—এই লৌহমানবকে থামানোর মতো কেউ আছে কি?


  • সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Related Topics

টপ নিউজ

পুতিন / ভ্লাদিমির পুতিন / রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন / রাশিয়া / সোভিয়েত গুপ্তচর সংস্থা- কেজিবি / এসপিওনাজ / গুপ্তচর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালনার অনুমোদন পেল রবির স্মার্ট পে
    ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালনার অনুমোদন পেল রবির স্মার্ট পে
  • ছবি: টিবিএস
    মিরপুরে আগুনে নিহত বেড়ে ১৬, বিষাক্ত গ্যাস থেকে মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস
  • জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাইয়েদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপদেষ্টাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে, সংশোধন না হলে নাম প্রকাশ করা হবে: জামায়াত নেতা তাহের
  • ভারতের গুরুগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ছবি: রয়টার্স
    চীনকে ঠেকাতে ভারতের পাল্টা ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘোষণা
  • জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে চলতি বছরের ২৭ মে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ সদস্যের একটি দল। ফাইল ছবি: বাসস
    জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কনটিনজেন্টকে দেশে ফেরার নির্দেশ
  • মিরপুরে আগুন লাগা পোশাক কারখানার কর্মী নাজমুল ইসলামের ছবি নিয়ে তাকে খুঁজছেন স্ত্রী নাসিমা বেগম। ছবি: টিবিএস
    ‘কারখানায় আগুন লাগছে, আমারে বাঁচাও’, স্ত্রী নাসিমার কাছে ফোনে স্বামীর শেষ আর্তনাদ

Related News

  • ‘শান্তির জন্য কিছু না করেই’ নোবেল পেয়েছেন অনেকে: পুতিন
  • শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করবে ক্রেমলিন
  • রাশিয়ার সঙ্গে সু-৩৫ যুদ্ধবিমান চুক্তি ইরানকে ডানা দিচ্ছে—কিন্তু সমর্থন নয়
  • প্রপাগান্ডা শিল্প! মস্কোয় উত্তর কোরিয়ার চিত্র প্রদর্শনী
  • ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

Most Read

1
ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালনার অনুমোদন পেল রবির স্মার্ট পে
অর্থনীতি

ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালনার অনুমোদন পেল রবির স্মার্ট পে

2
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

মিরপুরে আগুনে নিহত বেড়ে ১৬, বিষাক্ত গ্যাস থেকে মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস

3
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাইয়েদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপদেষ্টাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে, সংশোধন না হলে নাম প্রকাশ করা হবে: জামায়াত নেতা তাহের

4
ভারতের গুরুগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

চীনকে ঠেকাতে ভারতের পাল্টা ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘোষণা

5
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে চলতি বছরের ২৭ মে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ সদস্যের একটি দল। ফাইল ছবি: বাসস
বাংলাদেশ

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কনটিনজেন্টকে দেশে ফেরার নির্দেশ

6
মিরপুরে আগুন লাগা পোশাক কারখানার কর্মী নাজমুল ইসলামের ছবি নিয়ে তাকে খুঁজছেন স্ত্রী নাসিমা বেগম। ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

‘কারখানায় আগুন লাগছে, আমারে বাঁচাও’, স্ত্রী নাসিমার কাছে ফোনে স্বামীর শেষ আর্তনাদ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net