আফগানিস্তান নিয়ে শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য মঙ্গলবার (১৭ই আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের নিরাপত্তা বিষয়ে মন্ত্রীসভা কমিটির একটি সভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
রোববার তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস থেকে ইতোমধ্যেই সকল কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে দিল্লি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশসহ দূতাবাসের কর্মীদের বিমান বাহিনীর দুটি বিমানে ফেরত আনা হয়েছে। দ্বিতীয় বিমানটি আজ সকালে কাবুল ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
মোদি আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তিনি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
উদ্ধারকারী বিমানের গতিবিধি থেকে শুরু করে ফেরত আসা সকলের খাবারের ব্যবস্থা নিয়েও যোগাযোগ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম পরিবহন বিমানটি বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলার মধ্যেই গতকাল কাবুল ত্যাগ করে। কিন্তু তালেবানদের ঘোষিত কারফিউর কারণে অপর বিমানটি গতকাল আর রওনা দিতে পারেনি।
রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন-সহ ১২০ জনেরও বেশি মানুষ নিয়ে আজ সকালে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল দ্বিতীয় পরিবহন বিমানটি। গতকাল রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে আলোচনা করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই প্রস্থানের ব্যবস্থা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়শঙ্কর পরবর্তীতে টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে লিখেছেন, "কাবুল থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মীদের ভারতে ফিরিয়ে আনাটা খুবই কঠিন ও জটিল একটি কাজ ছিল। যাদের পরিশ্রম ও সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।"
মার্কিন দখলদারিত্বের সময়ে ভারতকে সাহায্য করা আফগান নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করাটাই এখন ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের 'পারস্পরিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং জন-কেন্দ্রিক প্রচেষ্টায়' যেসব আফগান সাথে ছিল তাদের পাশে থাকবে ভারত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দু এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিবে দেশটি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এক হাজার ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ ভারতে ফিরে আসার জন্য আবেদন করেছে। এএনআই আরও জানিয়েছে, কাবুলের ভারত দূতাবাস এখন স্থানীয় কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
- সূত্র: এনডিটিভি।