৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়ালো বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ

প্রথমবারের মতো ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। বিদেশি উৎস থেকে আসা আয়ের কারণেই মুদ্রা সঞ্চয়ে যোগ হলো নতুন এ রেকর্ড।
মহামারির মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি সীমিত হয়ে পড়লেও, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ে। একইসঙ্গে আমদানিতেও খরচ কমে। এদুয়ের মিলিত প্রভাবেই ফরেক্স রিজার্ভ নতুন মাত্রায় পৌঁছে যায়। ফলে শক্তিশালী হলো দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা।
এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নাগাদ মুদ্রা সঞ্চয়ের নতুন রেকর্ড হলো।
গত জুন থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। জুনে প্রথম ৩৪শ' কোটি ডলার ছাড়ানোর পর সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ নাগাদ- তা ৩৯শ' কোটি ডলার ছাড়ায়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক মুদ্রা রিজার্ভের মাধ্যমে দেশের আগামী ১০ মাসের আমদানি চাহিদা মেটানো সম্ভব। ৩ মাসের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চাইতে যা অনেকখানি বেশি।
গত বছরের একই মাসের তুলনায় গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় প্রবাহ ৪৬ শতাংশ বাড়ে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেক উৎস রপ্তানি খাতও গত মাসে মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। ওই সময়ে রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় কমতে দেখা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বছরওয়ারি হিসাবে চলতি সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ৩.৫৩% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। সেই তুলনায় গত আগস্ট নাগাদ আমদানি ব্যয় ৬.৬৮ দশমিক কমে। যার সুফল পাওয়া গেছে মুদ্রা সঞ্চয়ে।
এব্যাপারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ফরেক্স রিজার্ভের মজুদ বৃদ্ধি অবশ্যই দেশের অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষ্মণ।
তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন, বিদেশে শ্রমিকেরা চাকরি হারানোর কারণেই তাদের শেষ সঞ্চয়টুকু দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, যেকারণে রিজার্ভ বাড়ছে।
তিনি বলেন, দুঃসময়ে প্রবাসী কর্মীরা তাদের সঞ্চয় দেশে পাঠিয়ে দেন। এটা তাদের স্বাভাবিক প্রবণতা।পরিবার-পরিজনের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেও তারা এমনটা করে থাকেন।
এর পাশপাশি বিশ্ববাজারে খাদ্য এবং জ্বালানির দরপতন বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি খরচের লাগাম টেনে ধরে।