বিদেশি ঋণের তথ্য দিতে হবে সিআইবিতে, ভুল তথ্যে জরিমানা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে যেসব ঋণ নেন, সেসব বৈদেশিক ঋণের তথ্য এখন থেকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশ দেয়।
দেশের বেসরকারি খাতের ঋণগ্রহীতারা বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ নিয়ে থাকেন। বর্তমানে এসব ঋণের তথ্য সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় প্রকৃত ঋণের অবস্থা স্পষ্ট নয়। ফলে ঋণ শোধে ব্যর্থ হলেও তারা স্থানীয়ভাবে নতুন ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে যুক্ত হলে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা বাড়বে, জবাবদিহি নিশ্চিত হবে এবং ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের ক্রেডিট রেটিং উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত সব বৈদেশিক ঋণ সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়া যেসব ঋণ নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে, সেই ব্যাংকগুলোকেও সেসব তথ্য সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঋণ গ্রহীতার পাশাপাশি বিদেশি ঋণদাতার নাম-ঠিকানা, কোন দেশ থেকে ও কোন মুদ্রায় ঋণ এবং অনুমোদনকারী কে- এসব তথ্যও সিআইবিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। নভেম্বর থেকে প্রতি মাসে আগের মাসের সব ধরনের বৈদেশিক ঋণের তথ্য জমা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এছাড়াও ঋণগ্রহীতা কোনো নতুন বৈদেশিক ঋণ নিলে বা বিদ্যমান ঋণ সমন্বয় কিংবা কোনো পরিবর্তন হলে সেটিও সিআইবিতে হালনাগাদ করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে জরিমানা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
