২৮২ বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তালিকা ঘোষণা

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাটশিল্পের বিশ্বব্যাপি সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সম্প্রতি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের নামসহ একটি তালিকা প্রকাশ করে।
পাট আইন, ২০১৭ অনুযায়ী, হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ছয় কাউন্ট ও তদূর্ধ্ব পাট সূতার মতো প্রচলিত পাটজাত পণ্য বাদে, যে পণ্য প্রস্তুতে পাট বা পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের আধিক্য ন্যূনতম পঞ্চাশ ভাগ, সেগুলোকে 'বহুমুখী পাটজাত পণ্য' হিসেবে গণ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, পাটখাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এখন।
শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পাটখাতের উন্নয়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে 'পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০, 'পাট আইন, ২০১৭', 'জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮' প্রণয়ন করেছে।
এ সকল আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।