Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 11, 2025
চাকরির বাজারে বিদেশি কমিয়ে স্থানীয়দের নিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ

অর্থনীতি

রিয়াদ হোসেন
22 August, 2021, 12:30 am
Last modified: 22 August, 2021, 08:56 am

Related News

  • বিডা-বেজাসহ সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনতে যাচ্ছে সরকার
  • চলতি বছরের মধ্যে দেশে মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল গঠনে জাতীয় কমিটি গঠন
  • ‘বৈষম্যমূলক’ গ্যাসমূল্য বৃদ্ধিতে আপত্তি বিডা’র, সংশোধনের প্রস্তাবে এনার্জি কমিশনকে চিঠি
  • ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মাঝেই আসন্ন বিনিয়োগ সামিটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে প্রস্তুত বিডা
  • বেসরকারি খাতে শ্লথগতি, বেকারত্ব সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে দেশে

চাকরির বাজারে বিদেশি কমিয়ে স্থানীয়দের নিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ

বাংলাদেশী যোগ্য কর্মীদের কাজের সুযোগ বাড়াতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে একজন বিদেশী নাগরিকের বিপরীতে ১০ জন বাংলাদেশী এবং উৎপাদনকালে ১ জন বিদেশী নাগরিকের বিপরীতে ২০ জন বাংলাদেশী নিয়োগ দিতে হবে বলে প্রস্তাব করেছে বিডা।
রিয়াদ হোসেন
22 August, 2021, 12:30 am
Last modified: 22 August, 2021, 08:56 am

দেশে ঢালাওভাবে বিদেশী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাশ টানার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা)। বর্তমানে বিদেশী বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিকের বিপরীতে একজন বিদেশী নাগরিক নিয়োগ দেওয়া যায়। বাংলাদেশী যোগ্য কর্মীদের কাজের সুযোগ বাড়াতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে একজন বিদেশী নাগরিকের বিপরীতে ১০ জন বাংলাদেশী এবং উৎপাদনকালে ১ জন বিদেশী নাগরিকের বিপরীতে ২০ জন বাংলাদেশী নিয়োগ দিতে হবে। 

বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অনুপাত হবে ১:৫ ও ১:১০। এছাড়া মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশী কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে স্তরভিত্তিক নিয়োগের অনুপাতের শর্ত মানতে হবে (১:৫ এর ক্ষেত্রে)। ফলে নিচের সারিতে বাংলাদেশী কর্মীদের রেখে উচ্চ পর্যায় কিংবা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিদেশীদের নিয়ে ১:৫ এর হিসাব মিলিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। বিদেশী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালায় এমন একটি সংশোধনীর প্রস্তাবের ড্রাফট তৈরি করেছে বিডা। আগামী মাসে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করা হবে।

বিডার প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কোনো বিদেশী অবস্থান  করলে জরিমানা আরোপ, এমনকি তাদের কালো তালিকাভুক্তও করা যাবে।

এর বাইরেও বেশকিছু ক্ষেত্রে বিদেশী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ এবং স্থানীয় যোগ্য কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব তৈরি করেছে বিডা। বাংলাদেশে বিদেশী কোম্পানির শাখা, লিয়াজোঁ কিংবা প্রতিনিধি অফিস ও প্রকল্প অফিস স্থাপনের অনুমতি এবং বিদেশী নাগরিকদের কাজের অনুমতি প্রদানের কর্মপদ্ধতির প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে মতামত চেয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে বিডা'র পরিচালক আরিফুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমাদের এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে প্রতিষ্ঠানের উপরের স্তরে বাংলাদেশী কর্মীদের কাজের সুযোগ বাড়বে।

'প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে'—জানান তিনি।

এছাড়া বিদেশী কর্মীদের আয়ের অর্থ পরিশোধ কিংবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতেও কিছু সংশোধনী আনতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিডার অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের বেতন-ভাতা বা সুবিধা দেশের দেশের বাইরে নেওয়া যাবে না এবং বিদেশী কর্মীরা আয়কর পরিশোধ না করে দেশ ত্যাগ করলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এমন প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ঢালাওভাবে বিদেশী নাগরিক নিয়োগে নিরুৎসাহিত হবে, ফলে দেশের দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়বে। সেই সঙ্গে বিদেশী নাগরিক নিয়োগের মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধপথে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে, তাও ঠেকানো সম্ভব হবে।

দেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশী নাগরিক কাজ করে তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বায়িং হাউজ ও বায়ারদের স্থানীয় অফিসে। 

বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেব দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'যেসব খাতে বিদেশী প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাব, সেখানেই বিদেশী নাগরিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে সব খাতে দরকার নেই।'

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বায়িং হাউজ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এখন বাংলাদেশের জনবলই যোগ্যতা অর্জন করেছে। এসব খাতে বিদেশী নাগরিক নিয়োগের এখন আর প্রয়োজন নেই।

বিজিবিএ সভাপতি জানান, তাদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৮০০, যার মধ্যে ৩০০ প্রতিষ্ঠানে এক হাজারের বেশি বিদেশী কর্মী কাজ করছে।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সূত্র জানিয়েছে, বিডা'র খসড়া সংশোধনীর ওপর চলতি সপ্তাহে সংগঠনটি তাদের মতামত পাঠাবে।

বিকেএমইএ'র পরিচালক ফজলে শামীম এহসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকেল্পের মত কিছু কাজে প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। এর বাইরে বেশিরভাগ কাজই বাংলাদেশী নাগরিকদের দিয়ে সম্ভব। ফলে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইলসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন  আর বিদেশী কর্মীর প্রয়োজন নেই।

তবে দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিরা বলছেন, পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ না করে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশীদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে।

দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিদেশী নাগরিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। কেথাও অনিয়ম হলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে এ ধরনের কড়াকড়ি আরোপ হলে যারা কমপ্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বোঝা বাড়বে।

'আমাদের অনেক ফিল্ডেই দক্ষ ও যোগ্য লোকবলের অভাব রয়েছে। সেখানে বিদেশী এক্সপার্ট লোক না এলে ওই খাতের ডেভেলপ হবে না। আমাদের দেখা উচিত, অন্যান্য দেশ কী করছে', বলেন তিনি।

অর্থনীতিবিদদের মধ্যেও এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর প্রধান নির্বাহী আহসান এইচ মনসুর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমাদের এখানে এক্সপার্ট লোকবল না পেলে বিদেশী আনতে হবে। বিদেশী কর্মী আনার ক্ষেত্রে বেশি কড়াকড়ি আরোপ হলে তাতে ফরেন ইনভেস্টরদের কাছে ভুল সিনগ্যাল যেতে পারে।

অবশ্য বিডা'র প্রস্তাবে ১০:১ ও ২০:১ এর কথা বলা হলেও প্রয়োজনের নিরিখে তা শিথিল করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেসব খাতে বাংলাদেশী দক্ষ কর্মী রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশী কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিলেও পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের বিশেষায়িত কারিগরি জ্ঞান স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে স্থানান্তরের বিষয়ে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা সরকারের কাছে দাখিল করতে হবে। ওই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে উক্ত নিয়োগকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কর্মীর কর্ম অনুমতির মেয়াদ বাড়ানোর  আবেদন বিবেচনা করা হবে না। এছাড়া বিদেশী কর্মীর কাজের অনুমতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে ওই কর্মীর উর্ধ্বতন কিংবা অধস্তনদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধিতে তার অবদান বিবেচনা করা হবে। 

এছাড়া ভিজিট বা ট্যুরিস্ট ভিসায় দেশে এসে অবৈধভাবে কাজ করা ঠেকাতেও প্রস্তাব আনা হয়েছে। এ ধরনের ভিসায় আসা ব্যক্তিরা কোনো ধরনের কাজে নিয়োজিত হতে পারবে না এবং একাধিক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে। এর ব্যতিক্রম হলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে।

দেশে বিদেশী কর্মীর সংখ্যা কত

বাংলাদেশ কত সংখ্যক বিদেশী নাগরিক কাজ করে, কত আয় এবং প্রকৃত অর্থে কত টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে সরকারি দপ্তরের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৮৬ হাজার, যার বেশিরভাগই ভারতের। অন্যদিকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা অন্তত আড়াই লাখ, যার মধ্যে বৈধ কর্মীর সংখ্যা ৯০ হাজার। কিন্তু বিভিন্ন আলোচনায় এ সংখ্যা ১০ লাখের বেশি বলেও কেউ কেউ দাবি করেছেন। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে ১৪ হাজারের কিছু বেশি বিদেশী নাগরিক, অর্থাৎ এসব বিদেশী কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট ছিল। 

বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশী নাগরিকদের মাধ্যমে বের হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন আলোচনায় এসেছে, বিদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (এনএসডিএ)-এর ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর আয়োজিত এক ওয়ার্কশপে এমন তথ্য জানান বক্তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-র ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্সের উৎস হয় বাংলাদেশ।

টিআইবি'র গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীরা বছরে অবৈধভাবে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বা ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।

গার্মেন্টস ও বায়িং হাউস ছাড়াও মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি, এনজিও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাত, শিক্ষা, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মোবাইল ফোন কোম্পানি, তেল-গ্যাস কোম্পানিসহ ৩২ খাতে কর্মরত রয়েছেন বিদেশি কর্মীরা। সাধারণত মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট ও এর উপরের দিকে পদেই তারা বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বিদেশী নাগরিকদের নিয়োগ ও চাকরি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার এবং এটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। এই সুযোগে বিদেশী নাগরিকদের নিয়োগ ও বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ২০১৬ সালে এনবিআর বিদেশী নাগরিকদের সংখ্যা, তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা, নাগরিকদের আয়, ব্যয় ও আয়করের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। কিন্তু সমন্বয়হীনতায় ওই উদ্যোগ এখন থমকে রয়েছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশী নাগরিক নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণ হলে ওই প্রতিষ্ঠানের আয়করের ওপর ৫০ শতাংশ জরিমানার একটি বিধান রয়েছে এনবিআরের। যদিও এই বিধানের  আওতায় কোনো প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার তথ্য জানা নেই।

দেশে বিপুল বেকার, তবু কেন বিদেশী নিয়োগ

ঢাকা চেম্বারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর চাকরির বাজারে  প্রবেশ করছে ২.২ মিলিয়ন, যাদের একটি বড় অংশই চাকরি  পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশে শিক্ষিত বেকারের হার ৩৩.২২ শতাংশ। গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস এ পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কিছু কাজে এখনো বাংলাদেশের কর্মীরা বিদেশীদের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেন নি। এ কারণে এ সুযোগ নিচ্ছে বিদেশীরা। 

দেশের অন্যতম বড় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপ এ কাজ করছেন ৪০ জনের বেশি বিদেশী। 

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, মার্চেন্ডাইজিং, মার্কেটিং, প্রাইস নেগোসিয়েশন কিংবা টেকনিক্যাল ও প্রোডাক্ট ডিজাইনের মত কাজগুলোতে এখনো বাংলাদেশের কর্মীরা পিছিয়ে রয়েছেন। এজন্য বিদেশী নিয়োগ দিতে হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে এসব স্থানীয় জনবল দক্ষ হয়ে উঠছে। যারা এগিয়ে আসতে পারছে, তাদের নিয়োগ দিচ্ছি।

Related Topics

টপ নিউজ

চাকরির বাজার / বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বরিশাল রুটের বিলাসবহুল বাসে আগুন কেন লাগছে! 
  • ‘আমাদের সমস্যা তো চীন এসে ঠিক করে দেবে না’: বুয়েট শিক্ষকদের ডিজাইনে নিরাপদ অটোরিকশা
  • ‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর
  • ফ্রোজেন শোল্ডার: এক বাস্তব শারীরিক সমস্যা, যা বেশি ভোগায় নারীদের
  • ‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর
  • বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল

Related News

  • বিডা-বেজাসহ সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনতে যাচ্ছে সরকার
  • চলতি বছরের মধ্যে দেশে মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল গঠনে জাতীয় কমিটি গঠন
  • ‘বৈষম্যমূলক’ গ্যাসমূল্য বৃদ্ধিতে আপত্তি বিডা’র, সংশোধনের প্রস্তাবে এনার্জি কমিশনকে চিঠি
  • ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মাঝেই আসন্ন বিনিয়োগ সামিটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে প্রস্তুত বিডা
  • বেসরকারি খাতে শ্লথগতি, বেকারত্ব সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে দেশে

Most Read

1
বাংলাদেশ

বরিশাল রুটের বিলাসবহুল বাসে আগুন কেন লাগছে! 

2
ফিচার

‘আমাদের সমস্যা তো চীন এসে ঠিক করে দেবে না’: বুয়েট শিক্ষকদের ডিজাইনে নিরাপদ অটোরিকশা

3
বাংলাদেশ

‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর

4
আন্তর্জাতিক

ফ্রোজেন শোল্ডার: এক বাস্তব শারীরিক সমস্যা, যা বেশি ভোগায় নারীদের

5
বাংলাদেশ

‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর

6
বাংলাদেশ

বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net