ফাহামিদুলের এখন আর দলে ফেরার সুযোগ নেই, জানিয়ে দিলেন কাবরেরা

প্রাথমিক দলে ডাক মেলে, দলের সঙ্গে ছিলেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের ক্যাম্পে। এরপর দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলাম। কিন্তু মূল দলে তাকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাই সৌদি আরব থেকেই ইতালি চলে যান ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ফাহামিদুলকে যিনি ডেকে এনেছিলেন, সেই হাভিয়ের কাবরেরাই ফাহামিদুলকে বাংলাদেশ দলে যোগ্য মনে করেননি।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানান, প্রতিভাবান হলেও ফাহামিদুলের আরও সময় দরকার। তরুণ এই ফুটবলারের বাদ পড়ার খবর সামনে আসতেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেন ফুটবল ভক্তরা। ফাহামিদুলকে দলে ফেরাতে শুরু হয় বিক্ষোভ। ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী 'বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস'- এর ডাকে এক হয়ে মঙ্গলবার রাস্তায় নামা ফুটবলভক্তরা পদযাত্রা, গণ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। দেওয়া হয় 'সিন্ডিকেট হটাও, ফুটবল বাঁচাও', 'জনে জনে খবর দে, সিন্ডিকেটের কবর দে', এমন সব স্লোগান।
এতে অবশ্য অবস্থান বদলাননি জাতীয় দলের প্রধান কোচ। ফাহামিদুলকে ফেরানোর সম্ভাবনা আছে কিনা, বুধবার টিম হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে কাববেরা বলেন, 'না, এখন আর তার দলে ফেরার সুযোগ নেই। তবে প্রতিভাবান ফুটবলার। আমি তাকে দলে নেওয়ার আগেও অনেক কিছুই যাচাই-বাছাই করেছি। আমি আবারও বলছি, তার আরও সময় প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য।'
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, কোচের বাছাই করা স্কোয়াডই চূড়ান্ত। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ফুটবল প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কোচ যে স্কোয়াড বাছাই করেছেন, আমরা সেই স্কোয়াড নিয়ে ভারতে খেলতে যাবো। এবারের জন্য ফাহামিদুল নেই। আগামীতে স্কোয়াডে রাখার জন্য চিন্তা-ভাবনা করি।
ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব ওলবিয়া কালসিওতে খেলা ফাহামিদুলকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় কাবরেরা মঙ্গলবার বলেছিলেন, 'ফাহামিদুল ঢাকা আসেনি। সে সৌদিতে এক সপ্তাহ আমাদের সঙ্গে ছিল। সে মেধাবী খেলোয়াড়, তবে আরও সময় প্রয়োজন। সৌদির অনুশীলনটা দলের সবার সঙ্গে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে ভালোও করেছে। এই মুহূর্তে অন্য খেলোয়াড়রা তার চেয়ে বেশি প্রস্তুত। তার আরও সময় প্রয়োজন।'