সোহান-সাদমানের সেঞ্চুরি, জিতেছে তাদের দল

একেবারে ছোট লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু রান তাড়ায় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব থাকলো দুর্বার। সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা হওয়া সাদমান ইসলাম অনিকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন হাফ সেঞ্চুরি করা ইমরুল কায়েস। দুজনের ব্যাটে বড় জয়ই তুলে নেয় অগ্রণী ব্যাংক। আরেক ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন লিস্ট 'এ'তে পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নুরুল হাসান সোহান, জিতেছে তার দল ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। এদিন জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবও।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে তারা। অধিনায়ক সোহান ১৩১ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩২ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটাই লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। হাবিবুর রহমান ৪৫ ও সানজামুল ইসলাম ৪০ রান করেন। শাইনপুকুরের রায়ান রহমান ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান রাফি উজ্জামান ও আলী মোহাম্মদ।
লক্ষ্য তাড়ায় সানজামুল ও কামরুল ইসলাম রাব্বির দারুণ বোলিংয়ের সামনে ৪৫.৩ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুরের ইনিংস। দলটির কেউ ৫০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন রাহিম আহমেদ। মিনহাজুল আবেদীন ৩৫, অনিক সরকার ১৯ ও আলী মোহাম্মদ ২২ রান করেন। সানজামুল ৪টি ও রাব্বি ৩টি উইকেট নেন।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারায় অগ্রণী ব্যাংক। আগে ব্যাটিং করে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৬০ রান তোলে রূপগঞ্জ। অমি মজুমদার ৮১, আসাদুল্লাহ আল গালিব ৫৭, আরিফুল হক ৪০ ও অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র ৩২ রান করেন। অগ্রণী ব্যাংকের রুয়েল মিয়া ও তৈবুর রহমান ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংক হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়ে। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার, মাঝে গড়েন বেশি কয়েকটি জুটি। লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সাদমান ১০৯ বলে ১১টি চার ২টি ছক্কায় ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক ইমরুল ৫৭ বলে করেন ৬২। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব। ৪৪৫ ওভারে (৩১ বল হাতে রেখে) জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অগ্রণী ব্যাংক।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অল্প পুঁজি নিয়েও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫৭ রানে হারায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ৬২, লিটন দাসের ২২, ইফতেখার হোসেনের ২৭ ও মেহেদী হাসানের ২৩ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ২২১ রান তোলে গুলশান। পারটেক্সের তৌফিক আহমেদত ৩টি ও শহিদুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
জবাবে আসাদুজ্জামান পায়েল, নিহাদুজ্জামান, নাঈম ইসলামদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়া পারটেক্স ৪৩.২ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয়। গুলশানের এই তিন বোলারই ২টি করে উইকেট নেন। পারটেক্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রবিউল ইসলাম রবি। জয়রাজ শেখ ২৯, আদিল বিন সিদিক ১৯, জাওয়াদ মোহাম্মদ ১৭ ও আলাউদ্দিন বাবু ১৩ রান করেন।