Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
October 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, OCTOBER 04, 2025
বাংলাদেশ হবে মেছোবিড়ালের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

মতামত

আশিকুর রহমান সমী
04 October, 2025, 08:45 am
Last modified: 04 October, 2025, 08:49 am

Related News

  • কানাকুয়ো আর পাখির কুসংস্কার
  • ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর: ছদ্মবেশী, সন্ধানী অসীম মল্লিকের গল্প
  • নোয়াখালীতে পাচারের জন্য রাখা ৪২৫টি বিপন্ন কচ্ছপ উদ্ধার
  • ভারতে বাড়ছে সিংহের সংখ্যা; আনন্দের কারণ হলেও বেড়েছে আশঙ্কা, সমস্যা
  • মৌলভীবাজারে ছাগল খেয়ে ফেলায় অজগরকে পিটিয়ে হত্যা

বাংলাদেশ হবে মেছোবিড়ালের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

একটি মেছোবিড়াল তার পুরো জীবনে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ফসল রক্ষা করে শুধু ইঁদুর খেয়ে। জলাভূমির অসুস্থ মাছ, কীট-পতঙ্গসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রাণী দমনের হিসাব তো বাদই থাকল।
আশিকুর রহমান সমী
04 October, 2025, 08:45 am
Last modified: 04 October, 2025, 08:49 am
ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

যদি বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো প্রাণীটি মানুষের দ্বারা সবথেকে বেশি নৃশংসতার শিকার, কিংবা মানুষের অজ্ঞতার কারণে কোনো প্রাণীটি সবচেয়ে বেশি মারা পড়ে, উত্তর আসবে: মেছোবিড়াল। বাংলাদেশে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও হাওড় অঞ্চলে এটি ছিল সাধারণ একটি ঘটনা। গবেষণার ফলাফল বলে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি সপ্তাহে একটি মানুষ-মেছোবিড়াল দ্বন্দ্ব হতো এবং প্রতি ১৫ দিনে একটি মেছোবিড়াল এই দ্বন্দ্বের কারণে মারা যেত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, পূর্বে কোনো সরকারই এই প্রাণীটির সংরক্ষণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি যা বর্তমান সরকার নিয়েছে।

মেছোবিড়াল শক্তিশালী দেহের একটি মধ্যম আকৃতির বন্যবিড়াল প্রজাতি। অন্যান্য বিড়ালের তুলনায় এরা ভিন্ন, কারণ এদের জীবনধারা প্রধানত জলাশয় ও জলাভূমির সাথে সংযুক্ত। সাঁতার কাটার জন্য এদের লেজ কিছুটা চ্যাপটা হয়। আইইউসিএন-এর তথ্যমতে একে 'সংকটাপন্ন' (Vulnerable) প্রাণীর শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার নির্দিষ্ট অঞ্চলে পাওয়া যায়। 

বাংলাদেশের জলাভূমি অঞ্চলে একসময় প্রচুর মেছোবিড়াল দেখা যেত। জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বসবাসকারী এই প্রাণীর পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। মূলত আবাসস্থল ধ্বংস, খাদ্য সংকট ও মানুষের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের ফলে এই প্রাণী আজ হুমকির মুখে, আজ এদের অস্তিত্ব বিপন্ন। স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, আইইউসিএন লাল তালিকায় বাংলাদেশে এটি বিপন্ন প্রাণীর তালিকার অন্তর্ভুক্ত। 

বাংলাদেশে এদের প্রধান বিস্তৃতি সুন্দরবন, হাওড়-বিল, নদী তীরবর্তী অঞ্চল এবং কিছু বনভূমিতে। জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ বন, ধানখেত-সংলগ্ন বনভূমি, নদী ও বিলের আশপাশের গাছপালা ঘেরা অঞ্চল এদের আদর্শ আবাসস্থল।

ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

মেছোবিড়াল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল বন্যপ্রাণী যা জলাভূমি, নদী, খাল, বিল ও হাওরাঞ্চলের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত এবং আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রাণীটি মূলত অসুস্থ মাছ, ব্যাঙ, কচ্ছপ, কাঁকড়া, ছোট স্তন্যপায়ী ও জলজ পাখি শিকার করে জলজ বাস্তুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে জলাভূমিতে শিকারি-শিকার ভারসাম্য বজায় থাকে এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রজাতি বৃদ্ধির কারণে বাস্তুসংস্থান ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। মাছভিত্তিক খাদ্যাভ্যাসের কারণে মেছোবিড়াল স্থানীয়ভাবে 'প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপক' হিসেবে কাজ করে, যা বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তায় পরোক্ষ অবদান রাখে। মেছোবিড়ালকে ঘিরে বাংলাদেশের লোককথা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নানা গল্প প্রচলিত আছে যা গ্রামীণ সমাজে এর সাংস্কৃতিক মূল্যকে প্রতিফলিত করে। এছাড়া এই প্রজাতির উপস্থিতি জলাভূমি ও নদীভিত্তিক পরিবেশের সুস্থতার একটি সূচক হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ কোনো এলাকায় মেছোবিড়াল থাকা মানেই সেখানে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিদ্যমান। তবে মানুষের বসতি সম্প্রসারণ, কৃষিজমি বৃদ্ধি, জলাভূমি ভরাট, মাছের আধুনিক চাষাবাদ, বন উজাড় এই প্রাণীটিকে বিপন্নতার দিকে ধাবিত করেছে। মেছোবিড়াল শিকারি প্রাণী নয়, বরং জলাভূমিভিত্তিক জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষাকারী একটি মূল প্রজাতি (Keystone Species) হিসেবে বিবেচিত; অর্থাৎ এ প্রজাতি বিলুপ্ত হলে জলাভূমির সমগ্র পরিবেশ ও সেখানে বসবাসকারী অসংখ্য প্রজাতি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

মেছোবিড়াল (Prionailurus viverrinus) কৃষিতে সরাসরি কোনো উৎপাদনশীল ভূমিকা পালন না করলেও এটি কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরোক্ষ অবদান রাখে। এরা শুধু মাছ নয়, বরং ধানখেত ও গ্রামীণ পরিবেশে পাওয়া ইঁদুর, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং কীটপতঙ্গও শিকার করে থাকে, যার ফলে ফসল ও সংরক্ষিত খাদ্যশস্যে ইঁদুরের ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় এবং কৃষকের আর্থিক ক্ষতি কমে। মেছোবিড়াল মূলত জলাভূমি ও এর আশপাশের ধানখেতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যেখানে এরা শিকার করে এবং বাসস্থান গড়ে তোলে। এই শিকার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা জলাভূমি ও কৃষি পরিবেশে শিকার ও শিকারির ভারসাম্য বজায় রাখে, যা প্রাকৃতিকভাবে কৃষি জমিকে টেকসই করে তোলে। জলাভূমি হলো কৃষিজমির পানির প্রধান উৎস এবং জৈবপদার্থ সমৃদ্ধ মাটির ভিত্তি; মেছোবিড়ালের উপস্থিতি এই জলাভূমির সুস্থতা নির্দেশ করে, যা কৃষকদের সেচ, প্রাকৃতিক সার ও কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া, এদের কারণে কীটপতঙ্গ ও ইঁদুর দমন হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার কম হয়, ফলে উৎপাদন খরচ কমে এবং পরিবেশ দূষণও হ্রাস পায়। 

ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

গ্রামীণ ও কৃষিনির্ভর এলাকায় মেছোবিড়ালের অস্তিত্ব কেবল জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নয়, বরং কৃষি অর্থনীতির জন্য টেকসই সহায়ক ভূমিকাও পালন করে। এছড়া মেছোবিড়াল সাপসহ বিভিন্ন বিষধর প্রাণী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরিবেশে তাদের সংখ্যায় সামঞ্জস্য রাখে মেছোবিড়াল। এক হিসাবে দেখা যায়, অর্থনৈতিকভাবে একটি মেছোবিড়াল তার পুরো জীবনে শুধু ইঁদুর খেয়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ফসল রক্ষা করে। কীভাবে, চলুন দেখা যাক। 

একটি মেছোবিড়াল প্রকৃতিতে সাধারণত ৯ থেকে ১২ বছর বাঁচে, আর দিনে গড়ে ৬ থেকে ১০টি ইঁদুর ধরে খায়। আর আমাদের দেশের ধানখেতের ইঁদুর সাধারণত এক বছর বাঁচে এবং দিনে গড়ে ২৫-৩৫ গ্রাম খাবার খায়। তাহলে একটি মেছোবিড়াল যদি গড়ে ১০ বছর বাঁচে এবং গড়ে প্রতিদিন সাতটি করে ইঁদুর খেয়ে থাকে, তাহলে সে তার ১০ বছরের পুরো জীবনে মোট ২৫ হাজার ৫৫০ টি ইঁদুর খেয়ে থাকে। আর যদি বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এক কেজি ধানের দাম গড়ে ৩৫ টাকা হয়, তাহলে এই একটি মেছোবিড়াল তার পুরো জীবনে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ফসল রক্ষা করে শুধু ইঁদুর খেয়ে। জলাভূমির অসুস্থ মাছ, কীট-পতঙ্গসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রাণী দমনের হিসাব তো বাদই থাকল।

পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে, মেছোবিড়াল আমাদেরকে জলাভূমির গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়, কারণ জলাভূমি হলো পৃথিবীর অন্যতম উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্র, যা বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূগর্ভস্থ পানি পুনরায় ভরাট, পানিশোধন, পুষ্টিচক্র, কার্বন সংরক্ষণ ও মাছসহ অসংখ্য জলজ প্রাণীর প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। মেছোবিড়াল সংরক্ষণ মানে জলাভূমি সংরক্ষণ, আর জলাভূমি সংরক্ষণ মানে অসংখ্য পাখি, উভচর, সরীসৃপ ও জলজ উদ্ভিদ রক্ষার নিশ্চয়তা। অর্থনৈতিক দিক থেকে, জলাভূমি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—যেমন প্রাকৃতিক মাছ ধরা, মৎস্য চাষ, ধান চাষ, খড় বা নলখাগড়া সংগ্রহ ও চরাঞ্চলে গবাদি পশুর চারণভূমি। মেছোবিড়াল সংরক্ষণ এসব অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টেকসইতা রক্ষা করে এবং কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, বিশেষত বাংলাদেশে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বদ্বীপ অঞ্চলে ও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনে।

ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

সাংস্কৃতিকভাবে, মেছোবিড়াল দক্ষিণ এশিয়ার লোককথা ও গ্রামীণ সংস্কৃতিতে স্থান পেয়েছে। পশ্চিম বাংলায় এদের ডাকা হয় মাছ-বাঘরোল, অর্থাৎ 'মাছশিকারি বাঘ', যা একদিকে এদের শিকারের দক্ষতার স্বীকৃতি, অন্যদিকে মানুষের ভয় ও শ্রদ্ধার মিশ্র প্রতীক। শ্রীলঙ্কার গ্রামীণ এলাকায়ও এদের কখনও কখনও ইঁদুর নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে সহনশীলভাবে দেখা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সংরক্ষণবাদীরা একে জলাভূমি সংরক্ষণের প্রতীকী প্রাণী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, যেমন বাঘ বন সংরক্ষণের প্রতীক। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ২৮৯টি দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে মানুষ ও মেছোবিড়ালের মধ্যে। এসব ঘটনায় ৩৬৯টি মেছোবিড়ালের মধ্যে মারা গেছে ১৩০টি। বাকি ২২৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে একটি মানুষ-মেছোবিড়াল দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটে এবং প্রতি ১৫ দিনে একটি মেছোবিড়াল মারা যায়। এরকম দ্বন্দ্বের ৫টি হটস্পট রয়েছে। এছাড়া শীতকালে এই মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং মাতৃমৃত্যু সাধারণত বেশি থাকে। এই সময় মা মেছোবিড়াল তার সন্তানের জন্য খাদ্য সংগ্রহে বের হয়, কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশে খাদ্যের অপ্রতুলতার কারণে এরা ঢুকে পড়ে মানুষের আবাসস্থলে আর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অজ্ঞতার কারণে মানুষের হাতে ধরা পড়ে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের নৃশংসতার কারণে মারা পড়ে প্রাণীটি।

ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একান্ত উদ্যোগে নেওয়া হয় এই প্রাণী সংরক্ষণের বিশেষ উদ্যোগ। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সারা দেশে আয়োজন করা হয় বিশ্ব মেছোবিড়াল দিবস, ২০২৫। বাংলাদেশ বন বিভাগকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীটি রক্ষায় গতিশীল করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, মাননীয় উপদেষ্টার নেতৃত্বে একাধিক সভা হয়েছে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে।

বর্তমান সরকারের উদ্যোগে একটি ক্যারাভান ভ্যান চালু করা হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে, যা ঘুরে ঘুরে মানুষকে সচেতন করেছে, বিশেষ করে সেইসব জায়গাগুলোতে যেখানে মানুষ এবং মেছো বিড়ালের দ্বন্দ্ব প্রকট। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পাঠ্যসূচিতে মেছোবিড়ালসহ বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীর তথ্য সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ বছর পহেলা বৈশাখে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছিল অনন্য এক উদ্যোগ। মেছোবিড়ালের আকৃতি ও সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে তৈরি করেছিল বিশেষ শুভেচ্ছা কার্ড, যা পৌঁছে দেওয়া হয় দেশের সর্বোত্র।

ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

গত এক বছরে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় মানুষ-বন্যপ্রাণী দ্বন্দ্বের কারণে মেছোবিড়ালের মৃত্যুহার অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। প্রথমবারের মতো মেছোবিড়াল হত্যায় মামলা হয়েছে। দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। 

মেছোবিড়াল সংরক্ষণে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। শুধু যে প্রকৃতির প্রয়োজনে এই প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে তা নয়, আমাদের মানুষের কল্যাণে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে, সর্বোপরি পৃথিবীর কল্যাণে এই প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে।


  • আশিকুর রহমান সমী: বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষক, পরিবেশবিদ ও লেখক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব

Related Topics

টপ নিউজ

মেছো বিড়াল / মেছোবিড়াল / বন্যপ্রাণী / বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
  • ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
    ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
  • ছবি: আর্কাইভ ফটোস
    ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি
  • ছবি: সংগৃহীত
    মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন
  • ছবি : সংগৃহীত
    বই সংগ্রহের নেশা: ঠিক কতগুলো বইকে অসংখ্য কিংবা অনেক বেশি বলা যেতে পারে?
  • ছবি: রয়টার্স
    ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

Related News

  • কানাকুয়ো আর পাখির কুসংস্কার
  • ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর: ছদ্মবেশী, সন্ধানী অসীম মল্লিকের গল্প
  • নোয়াখালীতে পাচারের জন্য রাখা ৪২৫টি বিপন্ন কচ্ছপ উদ্ধার
  • ভারতে বাড়ছে সিংহের সংখ্যা; আনন্দের কারণ হলেও বেড়েছে আশঙ্কা, সমস্যা
  • মৌলভীবাজারে ছাগল খেয়ে ফেলায় অজগরকে পিটিয়ে হত্যা

Most Read

1
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
ফিচার

বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

2
ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
বাংলাদেশ

ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 

3
ছবি: আর্কাইভ ফটোস
আন্তর্জাতিক

ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

5
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

বই সংগ্রহের নেশা: ঠিক কতগুলো বইকে অসংখ্য কিংবা অনেক বেশি বলা যেতে পারে?

6
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net