নোয়াখালীতে পাচারের জন্য রাখা ৪২৫টি বিপন্ন কচ্ছপ উদ্ধার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মণ্ডলপাড়ায় লোকনাথ মন্দিরের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে পাচারের জন্য মজুত করে রাখা ৪২৫টি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডব্লিউসিসিইউর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক টিবিএসকে বলেন, 'উদ্ধার করা কচ্ছপগুলোর মধ্যে ৩২৫টি জীবিত ও ১০০টি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবিত কচ্ছপগুলোকে উপযুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে।'
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের (ডব্লিউসিসিইউ) সদস্যরা জানতে পারেন, একটি বাড়িতে বিপুলসংখ্যক কচ্ছপ অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে ডব্লিউসিসিইউর সদস্য ও তথ্যদাতারা ঘটনাস্থলে গেলে পাচারকারীরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কচ্ছপগুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
ডব্লিউসিসিইউর পরিচালকের তত্ত্বাবধানে উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও নোয়াখালী ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড অ্যানিমেল টিমের স্থানীয় স্থানীয় সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একটি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে তিন প্রজাতির মোট ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এগুলো হলো—কড়ি কাইট্টা (ইন্ডিয়ান রুফড টার্টেল), সুন্ধি কাছিম (ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল টার্টেল) ও ধুম কাছিম (ইন্ডিয়ান পিকক সফটশেল টার্টেল)।
উদ্ধারকৃত কচ্ছপের প্রজাতিগুলো বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর প্রথম তফসিলে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত। কর্মকর্তারা জানান, জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় এই কচ্ছপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।