Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 05, 2025
ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
17 March, 2025, 01:35 pm
Last modified: 17 March, 2025, 01:37 pm

Related News

  • গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের সাবেক এমপির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • এফিডেভিট কী, কেন ও কীভাবে করবেন?
  • ‘মৃত্যুদণ্ড’ কি ধর্ষণ কমাতে পারে?
  • বিতর্কের বিষয়: সেক্যুলারিজম বনাম প্লুরালিজম 
  • ধর্ষণ বাড়ছে উদ্বেগজনভাবে, অথচ দায়িত্ব নিচ্ছে না রাষ্ট্র

ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান হয়ে কমিশনার সাহেব কীভাবে এই অদ্ভুত ও অমূলক অনুরোধটি করলেন, তা বোধগম্য নয়। আইন, আইনের ব্যাখ্যা ও শাস্তি সম্পর্কে তার ধারণা স্পষ্ট হওয়া দরকার। ওনার শুনতে ভালো লাগছে না বলে তো সংজ্ঞা ও শাস্তি পাল্টে যাবে না। ধর্ষণ শব্দটা শুনতে ভালো না লাগলে, ধর্ষণ বন্ধ করুন, তা না করে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধকে ’নারী নির্যাতন’ বলে হালকা করার চেষ্টা করছেন কেন? 
শাহানা হুদা রঞ্জনা
17 March, 2025, 01:35 pm
Last modified: 17 March, 2025, 01:37 pm
শাহানা হুদা রঞ্জনা। অলংকরণ: টিবিএস

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণের বিচার না পাওয়া আরও বড় অপরাধ। দুটি অপরাধই সমাজে দ্রুত বাড়ছে। কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চোখ বন্ধ করে থাকবো, কোনো বিষয় নিয়েই মাথা ঘামাবো না। বিশেষ করে অপরাধমূলক ঘটনা যতো কম দেখবো, ততো ভাল থাকবো। অনেকেই এই কৌশলে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দেখলাম উঠপাখি হয়ে থাকা খুব কঠিন। 

আমি দেখছি না বলে, যে সমাজে অপরাধ কমে আসছে বা হালকা হয়ে যাচ্ছে, তা নয়।

প্রসঙ্গটা উঠলো ডিএমপি কমিশনারের সাম্প্রতিক 'ধর্ষণ' শব্দের বদলে 'নারী নির্যাতন' ব্যবহারের অনুরোধ নিয়ে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) কমিশনার গণমাধ্যমে 'ধর্ষণ' শব্দটি ব্যবহার না করে, এর বদলে 'নারী নির্যাতন' বা 'নারী নিপীড়ন' শব্দ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, "আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা 'নারী নির্যাতন' বা 'নিপীড়ন' বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।" 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান হয়ে কমিশনার সাহেব কীভাবে এই অদ্ভুত ও অমূলক অনুরোধটি করলেন, তা বোধগম্য নয়। আইন, আইনের ব্যাখ্যা ও শাস্তি সম্পর্কে তার ধারণা স্পষ্ট হওয়া দরকার। ওনার শুনতে ভালো লাগছে না বলে তো সংজ্ঞা ও শাস্তি পাল্টে যাবে না। ধর্ষণ শব্দটা শুনতে ভালো না লাগলে, ধর্ষণ বন্ধ করুন, তা না করে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধকে 'নারী নির্যাতন' বলে হালকা করার চেষ্টা করছেন কেন? 

ডিএম‌পি ক‌মিশনার 'ধর্ষণ' শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তবে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ও ইতিবাচক ব্যাপার হচ্ছে 'ধর্ষণ' শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) ক‌মিশনারের করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, 'ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএম‌পি ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আট বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে।' 

টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, বিষয়টি কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত, প্রত্যাহার করা উচিত। ডিএমপি কমিশনারের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কয়েকটি এনজিও।

নারী নির্যাতন নানান ধরনের হতে পারে। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যৌন হয়রানি। একজন নারীকে চড় মারা, গায়ে হাত দেওয়া এক ধরনের অপরাধ, গালাগালি করা আরেক ধরনের অপরাধ। এভাবে প্রতিটি নিগ্রহের চেহারা আলাদা। 

নারীর আয় কেড়ে নেওয়া, নারীকে বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ না দেওয়া, প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে না দেওয়া, হাত খরচ না দেওয়া, মৌখিকভাবে লাঞ্চনা করা, অপমান করা, যৌতুক দাবি করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলা সবই অপরাধ। এমনকি নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অতিরিক্ত পোশাক পরানো বা নগ্ন করাও অন্যায়। 

এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হচ্ছে ধর্ষণ। ধর্ষণ একজন নারীকে সবদিক দিয়েই ট্রমার মধ্যে ফেলে। ধর্ষণের শিকার হয়ে অসংখ্য মেয়ে আত্মহত্যা করে। কোনো মেয়ে যখন ধর্ষণের শিকার হন, তখন ভিকটিম ও তার পরিবারকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করতে পারে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে কমিশনার সাহেব যদি 'ধর্ষণ' এর মতো জঘন্য অপরাধকে হালকা করে দেখেন, তাহলেতো ওনার পুরো টিমও সেভাবেই দেখবে। সেক্ষেত্রে অপরাধী বড় অপরাধ করে, ছোট শাস্তি নিয়ে পার পেয়ে যাবে। 

এমনিতেই নারীর বিরুদ্ধে করা যেকোনো অপরাধ গুরুত্ব পায় না এই সমাজে। নারী সমাজে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। নারীর এই অধ:স্তন অবস্থানকে অনেক বেশি কঠিন করে তুলবে পুলিশের প্রধান কর্মকর্তার এই বক্তব্য। যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে, অপ্রকাশিত থাকছে আরও বেশি, সেখানে আমরা কীভাবে এগুলোকে এড়িয়ে যাবো বা ধামাচাপা দেব? 

২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রয়ারিতেই যেখানে মোট ৮৫ জন মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং এরমধ্যে ৩৪টি গণধর্ষণ—সেখানে পুলিশ কমিশনারের এই অহেতুক আবদার একেবারে অগ্রহণযোগ্য। 

আইন ও সালিশ কেন্দ্র এর তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার মেয়েদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ৬ এর নিচে, ১১ জনের বয়স ৭ থেকে ১২ এর মধ্যে। আর ১৬ জনের বয়স ১৩ থেকে ১৮ এর মধ্যে। এরমানে এরা সবাই শিশু। 

বাংলাদেশে ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ, যেটা ঠিকমতো এড্রেস করা হয় না বলে দিনে দিনে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। গত প্রায় ২০/২৫ বছর ধরেই ধর্ষণ বাড়ছে। ধর্ষণের ঘটনায় জনগণ ভীত, বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। আরো বেশি হতাশ বিচারহীনতায়। দিনাজপুরের শিশুটিকে যে লোকটি ধর্ষণ করে প্রায় মেরেই ফেলেছিল, দণ্ডভোগ করাকালীন সময়ে সেই ঘৃন্য অপরাধী জামিনে বের হয়ে এসেছে। কীভাবে? 

বাংলাদেশে ধর্ষণের দৃশ্যমান কোনো বিচার হয় না বলেই মানুষ ক্রমশ অস্থির হয়ে পড়ছে। অনেকে আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে পিটিয়ে মারছে, বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে, সম্পত্তি পুড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এটাওতো হতে পারে না। আইন আছে, আইনের অধীনে বিচার হবে, এটাই কাম্য। 

বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে ধর্ষণের বিচার হয় না। অপরাধী বিভিন্নভাবে পার পেয়ে যায়, ভিক্টিম ব্লেমিং হতে থাকে, সাক্ষী পাওয়া যায় না, দিনের পর দিন মামলার হয়রানি এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচার প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। 

যেমন– ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পুলিশের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যত ধর্ষণের মামলা হয়েছিল, তার মধ্যে রায় ঘোষণার হার ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাজার হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ (বাংলা ট্রিবিউন, ২০১৭)। আর তাই হয়তো ধর্ষণের সাজা হিসেবে জনগণ ফাঁসি চাইছে। 

সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো, জনগণের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়ে আছে, এ রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব। তাই দেখা যায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি ইত্যাদি বিষয়ে জনগণ উৎসাহিত হয়ে উঠছে। 

আধুনিক সমাজ মনেকরে মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ডকে বলে মানবাধিকার লঙ্ঘন। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু অপরাধীরা, এমনকি ফাঁসির আসামিও বিচার এড়িয়ে বেঁচে যায়, তাই মানুষ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে। এবার ধর্ষণের মাত্রা এতোই বেড়েছে যে, মানুষ এও ভাবছে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড হলে আরও ভাল হবে। 

যেহেতু ধর্ষণ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, এই আশঙ্কায় অপরাধী ও তার পরিবার সালিশের কথা বলে এবং চেষ্টা করে চাপ দিয়ে মিটমাট করতে। এই ভয়ে ধর্ষণের পর মেরে ফেলার হারও বাড়ছে, যাতে সাক্ষী না থাকে। ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন শুধু আদালত কিংবা পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সমাজকে সচেতন হতে হবে, বাবা-মা ও পরিবার, মিডিয়া এবং শিক্ষকদের উচিৎ অনেক বেশি করে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড প্রচার করা।

প্রতিবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, আমরা চমকে উঠি, হইচই করি কিন্তু আবার আগের মতোই চলছে। কোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হলে কিংবা ঘটনার নৃশংসতা ভয়াবহ হলে কেবল প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। যেমন আছিয়ার ঘটনা। 

ধর্ষণ, বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হলো সমাজ একে এখনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করে, অপরাধ বলে মনে করে না। অথচ আমরা অনেকেই জানিনা বা বিশ্বাস করতে চাই না যে, সব ধরনের পরিবারে শিশু নিজেদের লোক দিয়েই যৌন নিপীড়নের ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। 

বিগত সরকারের আমলে যিনি শিশু ও নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, সেই বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা ম্যাডামকে কেউ কখনো কোনো স্পটে দেখতে পায়নি। এখনো অবস্থা সেরকমই, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। শিশু ও মহিলা মন্ত্রণালয়ের এই অবহেলিত অবস্থানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, নারী ও শিশু নির্যাতনের কোনো মূল্য নেই আমাদের কাছে। 

এমনকি নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সেইভাবে অ্যাকটিভ নয়, বরং চুপচাপই বলা যায়। স্বাক্ষীর অভাব, ভিকটিমের পরিবারের দারিদ্র, সামাজিক লজ্জা, ভয়-ভীতি, ধর্ষকের পলিটিক্যাল পরিচয় এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে একসময় ধর্ষণ মামলা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিচার ও শাস্তি ছাড়াই আসামি পার পেয়ে যায়। 

গ্রামেগঞ্জে ধর্ষণকারীর সবচেয়ে কঠিনতম শাস্তি কি জানেন? যে মেয়েটিকে সে ধর্ষণ করেছে, সালিশের মাধ্যমে তাকেই বিয়ে করা। এতে ধর্ষণকারী জেলখাটার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে হলে, সবাই মনে করে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিরও একটা হিল্লা হলো। অথচ বাস্তব অবস্থা অনেক কঠিন। 

বছরখানেক আগে পরিচালিত একটি মামলায় দেখা গেল ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৪ বছরের একটি শিশু সন্তান জন্মদান করেছে। এই কিশোরী মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় অসম্মান। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে, এরপর মা হয়ে পর্যুদস্ত হয়েছে এবং এখন তাকে দাঁড় করানো হয়েছে তারই ধর্ষককে বিয়ে করার জন্য। কী অদ্ভুত এ সমাজ। এই মামলার আসামি পাড়ার বয়স্ক এক দোকানদার, যার পরিবারে স্ত্রী ও সন্তান আছে। দুই বছর ধরে সে কারাগারে। এ অবস্থায় দুই পক্ষই চাইছে বিয়ের মাধ্যমে একটি আপস রফায় আসতে। মেয়ের পরিবার চাইছে, মেয়েটিকে একজনের হাতে তুলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে, আর অপরাধী চাইছে বিয়ে করে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে।

যেখানে বাংলাদেশের আইনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় কোনো আপস-মীমাংসার প্রশ্নই আসে না, সেখানে এ রকম মামলা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  ট্রাইব্যুনালে ওঠে কীভাবে? এক্ষেত্রে শুধু শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যই অপরাধী বিয়েকে 'অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার' করে থাকে। 

আমাদের সমাজে ধর্ষণ মামলার আপস-মীমাংসার নামে যেটা হয়, সেটা হলো বিভিন্ন মহল থেকে নানা চাপ দেওয়া ও টাকার লোভ দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার একটি উপায় বের করা। সেক্ষেত্রে বিয়ের প্রস্তাবটাও এক ধরনের প্রলোভন। 

এছাড়া, আছে বিষয়টির প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞান ও গুরুত্বহীন আচরণ। ধর্ষণ এবং শিশু ধর্ষণের মতো অপরাধগুলোকে রাষ্ট্র ও আইন ব্যবস্থা খুব সাধারণ চুরি, ডাকাতির কেসের মতো মনে করে। এই অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে যে জিরো টলারেন্স ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল প্রয়োজন, এই দিকটায় কেউ গুরুত্ব দেন না। ফলে মামলাগুলো ঝুলে থাকে, অপরাধী সালিশ করার সুযোগ পায়, ভিকটিম ও তার পরিবারকে ভয় দেখায়, সাক্ষী হারিয়ে যায় ও প্রমাণ বা আলামত মুছে যায়। 

এখানে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি যেমন মুক্তি পেয়ে যায়, তেমনি ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ট্রমা নিয়ে বেঁচে থাকে, আত্মহত্যা করে অথবা লুকিয়ে থাকে। সমাজের একটা অংশের এই মানসিকতার প্রতিফলন ডিএমপি'র কমিশনারের সাম্প্রতিক বক্তব্য। ধর্ষণ ও ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করে কীভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, পুলিশ প্রশাসনের সেটা নিয়েই ভাবা উচিৎ, ধর্ষণের মতো অপরাধকে হালকা করা নয়।


শাহানা হুদা রঞ্জনা: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক


বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন / ধর্ষণ / ডিএমপি কমিশনার / মতামত

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশের’ ব্যবসায় ধস, এক বছরে ১,০০০ কোটি রুপির লোকসান
  • রাজউকের প্লট হস্তান্তর আরও সহজ হবে
  • ৩৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপি: এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ
  • হার্টের রিংয়ের দাম কমাল সরকার, ১০ মডেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ
  • পড়ে আছে ৩৫৮ কোটি টাকার লাগেজ ভ্যান, বেসরকারি খাতে ছাড়ার চিন্তা রেলওয়ের
  • রেজ হাউস: পয়সা খরচ করে ভাঙচুর করা যায় যেখানে!

Related News

  • গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের সাবেক এমপির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • এফিডেভিট কী, কেন ও কীভাবে করবেন?
  • ‘মৃত্যুদণ্ড’ কি ধর্ষণ কমাতে পারে?
  • বিতর্কের বিষয়: সেক্যুলারিজম বনাম প্লুরালিজম 
  • ধর্ষণ বাড়ছে উদ্বেগজনভাবে, অথচ দায়িত্ব নিচ্ছে না রাষ্ট্র

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশের’ ব্যবসায় ধস, এক বছরে ১,০০০ কোটি রুপির লোকসান

2
বাংলাদেশ

রাজউকের প্লট হস্তান্তর আরও সহজ হবে

3
বাংলাদেশ

৩৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপি: এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ

4
বাংলাদেশ

হার্টের রিংয়ের দাম কমাল সরকার, ১০ মডেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ

5
বাংলাদেশ

পড়ে আছে ৩৫৮ কোটি টাকার লাগেজ ভ্যান, বেসরকারি খাতে ছাড়ার চিন্তা রেলওয়ের

6
ফিচার

রেজ হাউস: পয়সা খরচ করে ভাঙচুর করা যায় যেখানে!

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net