Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 16, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 16, 2025
ঢাকার প্রথম কলের গাড়ি এবং নওয়াবের বন্ধু

ইজেল

তারেক আজিজ
13 September, 2021, 02:20 pm
Last modified: 13 September, 2021, 03:46 pm

Related News

  • এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা
  • দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
  • ‘নো করিডর, নো পোর্ট’: ২৭-২৮ জুন রোডমার্চ করবেন বামপন্থীরা
  • অন্য জেলা থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন ঈদের দিনসহ ১০ দিন নিষিদ্ধ
  • বৈরী আবহাওয়া: ঢাকামুখী চার ফ্লাইট শাহ আমানতে জরুরি অবতরণ

ঢাকার প্রথম কলের গাড়ি এবং নওয়াবের বন্ধু

১৮৯৫ সালে ঢাকার নওয়াবদের সম্পত্তির যে তালিকা তৈরি করা হয়, তাতে ১৪টি হাতি, ৬০টি ঘোড়া এবং হরেক রকমের ৩৫টি ঘোড়ার গাড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৯০৪ সাল থেকে নওয়াব সলিমুল্লাহসহ পরিবারের সদস্যরা ঘোড়ার গাড়ির পরিবর্তে মোটরগাড়িতে চেপেই চলাফেরা করতে শুরু করেন।
তারেক আজিজ
13 September, 2021, 02:20 pm
Last modified: 13 September, 2021, 03:46 pm
১৯০৪ সালে ফ্রিৎজ ক্যাপের তোলা আলোকচিত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহর গাড়িবহরের সাথে সস্ত্রীক লর্ড কার্জন। ছবি: সংগৃহীত

১৯০৩ সালের জানুয়ারি মাস। দিল্লিতে বসেছে দরবার; ভারতবর্ষের সম্রাট হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে সপ্তম এডওয়ার্ডের। পুরো দুই সপ্তাহজুড়ে চলছে আয়োজন। এতো জাকজমক ভূ-ভারতে কেউ কোনো দিন দেখেনি। দিল্লির শহরের প্রান্তে ধুসর এক প্রাঙ্গণ মাসখানেকের ভেতরেই ঢেকে গেছে জমকালো সব তাঁবুতে। এ যেন সম্পূর্ণ আধুনিক এক শহর! কী নেই সেখানে? নতুন এ শহরে রয়েছে বিদ্যুতের ব্যবস্থা; হাসপাতাল, বিচারালয়, ডাকঘর, দোকানপাট থেকে শুরু করে টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, এমন কী আলাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী। দিল্লির আশপাশের এলাকা থেকে দর্শক সমাগমের জন্য আলাদা করে রেলপথও বসানো হয়েছে। দিনভর চলছে নানা প্রদর্শনী, গান-নাচের আসর, আর সন্ধ্যা নামলে আতশবাজির উৎসব। ভাইসরয় লর্ড কার্জন নিজে সবকিছুর তদারক করছেন, আয়োজনে কোনো কমতি নেই। সম্রাটের অভিষেক উপলক্ষে গোটা ভারতবর্ষের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাজ্যগুলোর রাজা, মহারাজারা সবাই একত্র হয়েছেন। এ যেন মূল্যবান পোশাক, অলংকার আর লোকলস্কর নিয়ে আভিজাত্য আর বিলাসিতা দেখানোর এক প্রদর্শনী! দরবারে যোগ দেওয়া দেশীয় রাজা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয়েছে বিশেষ বিশেষ পদক। অতিথিদের অন্যতম হলেন ঢাকার নওয়াব খাজা সলিমুল্লাহ। তাঁকে ব্রিটিশ সরকার 'নওয়াব বাহাদুর' খেতাব প্রদান করার ঘোষণা এসেছে। তাঁর এই নওয়াব বাহাদুর খেতাবে অবশ্য ঢাকাবাসী সন্তুষ্ট না। 'ঢাকা প্রকাশ' লিখেছে-

'সম্রাটের  অভিষেক উপলক্ষে এবার অকাতরে উপাধি বিতরিত হইয়াছে। উপাধির তালিকা স্থানান্তরে প্রদত্ত হইল। পূর্র্ববঙ্গের তিনজনমাত্র এই সুযোগে উপাধি লাভে সমর্থ হইয়াছেন। আমাদের মাননীয় নবাব সাহেব "নবাব বাহাদুর" এবং স্বনামধন্য প্রফেসার শ্রীযুক্ত জগদীশচন্দ্র বসু মহোদয় 'সিআইই' উপাধিপ্রাপ্ত হইয়াছেন। আমরা আশা করিয়াছিলাম, শ্রীযুক্ত নবাব সাহেবকে এতদপেক্ষা উচ্চতর উপাধিভূষণে ভূষিত হইতে দেখিব। গবর্র্নমেন্ট এ ক্ষেত্রে যথোচিত বিবেচনা করিয়াছেন বলিয়া মনে হয় না।'

ব্র্রিটিশ চিত্রকর রডরিক ম্যাকেঞ্জির তুলিতে ১৯০৩ সালের দিল্লি দরবার

নওয়াব সলিমুল্লাহ অবশ্য দরবারে যোগ দিতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে দিল্লি পৌঁছালেন। ঢাকাতেও যুগপৎ উৎসবের ব্যবস্থা রেখে গেলেন। বরাবরই বছরের প্রথম দিন নওয়াবদের উদ্যোগে শাহবাগের উদ্যানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন হতো। সম্রাটের অভিষেকের দিনটা কাকতালীয়ভাবে এবার একই দিনে পড়ল। নওয়াবের ভাই খাজা আতিকুল্লাহ নিজে উপস্থিত থেকে পাঁচ হাজারের বেশি লোককে ভোজ খাওয়ালেন। 'ঢাকা প্রকাশ'-এর তথ্যমতে, 'অভিষেক উপলক্ষে নবাব বাহাদুরের উপহারস্বরূপ সমাগত জনমণ্ডলীর মধ্যে সম্রাটের ১০ হাজার সহস্র প্রতিকৃতি বিতরিত  হলো।'

দিল্লিতে নওয়াব সলিমুল্লাহর সময় ভালো কাটল। কত নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হলো, কত রাজা-মহারাজার সাথে প্রথমবারের মতন দেখা হলো। এ সুযোগ তো অভূতপূর্ব। মজার বিষয় হলো, এখানে চলা প্রদর্শনীতে নতুন নতুন নানা পণ্য দেখার সুযোগ মিলল। যারা এসব পণ্য তৈরি আর বিপণনের সাথে যুক্ত, তারা এই আয়োজনকে নিজেদের ব্যবসা প্রসারের জন্য ভালো সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে ব্যস্ত। তেমনই এক ইংরেজ গাড়ি ব্যবসায়ী মন্টাগো গ্রাহাম হোয়াইটের সাথে সলিমুল্লাহর সখ্য তৈরি হলো। মাত্র ২৬ বছর বয়সের এই তরুণের সাথে আলাপে মুগ্ধ হলেন তিনি। নিজের ব্যবহারের জন্য কলের গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নওয়াব সলিমুল্লাহ। কালের পরিক্রমায় নবাব সলিমুল্লাহর কেনা সেই গাড়ি হয়ে উঠল ইতিহাসের অংশ, ঢাকার প্রথম কলের গাড়ি বা মোটরগাড়ি হিসেবে তার স্বীকৃতি মিলল। নওয়াবের গাড়ি কেনার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গেল মন্টাগো নামের সেই যুবকের নাম। নওয়াবের অনুরোধে মর্স গাড়ি চালিয়ে সে বছরই মন্টাগো এলেন ঢাকায়। ঢাকার মানুষের সেই প্রথম কলের গাড়ি দেখা। মন্টাগোর তত্ত্বাবধানে বছর শেষে আহসান মঞ্জিলে পৌঁছে গেল নওয়াব সলিমুল্লাহর কেনা তিনটি গাড়ি।

এ ঘটনার তিন দশকেরও বেশি কাল পরে ১৯৩৫ সালে মন্টাগো প্রকাশ করেন তাঁর আত্মজীবনী 'At the Wheel Ashore & Afloat: Reminiscences of Motoring, Yachting and Travel over a Period of Forty Years'; স্মৃতিচারণায় উঠে আসে ভারতের দিনগুলোর কথা, সাথে ঢাকা সফরের বিবরণ আর নওয়াব সলিমুল্লাহর সাথে সখ্যের কথা। মন্টাগোর স্মৃতিকথা আর এর সাথে ওই সময়কার পত্রপত্রিকায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা এই নিবন্ধে উঠে এসেছে ঢাকার প্রথম মোটরগাড়ি এবং একে ঘিরে ঢাকাবাসীর অভিজ্ঞতার কথা।

যৌবনে মন্টাগো গ্রাহাম হোয়াইট, ১৯১২। ছবি: সংগৃহীত

মন্টাগোর ভারত সফর

মোটরগাড়ির যুগ তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছে। গোটা ইউরোপজুড়ে ইংরেজ, ফরাসি আর জার্মানরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে নতুন নতুন গাড়ির নকশায়। মোটরগাড়িকে জনপ্রিয় করার জন্য একের পর এক প্রদর্শনী আর মোটর রেসের আয়োজন চলছে। ১৯০২ সালে ফরাসি দেশের সে রকম এক প্রতিযোগিতা 'গর্ডন বেনেট কাপ'-এ উলসলি গাড়ি চালিয়ে কাপ জিতে নিলেন মন্টাগো। গাড়ি চালানো শেখার পর থেকে সপ্তাহে কখনো ৫০ মাইলের নিচে গাড়ি চালাননি। গাড়ি নকশার সব খুঁটিনাটি তিনি জেনেছিলেন ডিমলার কোম্পানিতে চাকরিসূত্রে। মর্যাদাপূর্ণ কাপ জিতে যাওয়ায় গাড়িপ্রেমিক মন্টাগোকে নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেল।  সুদর্শন এই তরুণকে নিয়ে নির্মিত হলো নির্বাক চলচ্চিত্র 'Stunt Driving', লন্ডনের প্যালেস অব ভ্যারাইটিস থিয়েটারে প্রথম রাতের শোতেই সে ছবি বাজিমাত করল। মন্টাগো পারিশ্রমিক হিসেবে পেলেন ২৫ পাউন্ড।  তবে তার থেকেও বড় প্রাপ্তি হলো ভারতবর্ষে ব্যবসার সুযোগ। সেদিনের প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন কুচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ। তিনি মন্টাগোর মাধ্যমে দুটো গাড়ির অর্ডার দিলেন, দিল্লি দরবারে নিজ আভিজাত্য আর বিলাসিতা প্রদর্শনের জন্য এ গাড়ি তাঁর বড় প্রয়োজন। সেই সাথে মহারাজা তাঁকে ভারতবর্ষে শিকারের আমন্ত্রণ জানালেন। দুটা মর্স গাড়ি নিয়ে জাহাজে চেপে বছরের শেষে মন্টাগো পৌঁছালেন ভারতবর্ষে। 

মন্টাগো কলকাতা পৌঁছে দেখতে পেলেন চৌরঙ্গী, ধর্মতলা, স্ট্র্যান্ড রোড, শ্যামবাজার, খিদিরপুর এলাকায় শহরের বুক চিরে চলে গেছে ট্রামলাইন। ট্রাম এসেছিল কলকাতায় অনেক আগে, ১৮৭৩ সালে। তবে ঘোড়ায় টানা সে যুগ থেকে তত দিনে বিদ্যুচ্চালিত যুগে পৌঁছে গেছে ট্রাম। এদিকে শহরের লোকসংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। সাধারণের পরিবহনের জন্য সেসব বৈদ্যুতিক ট্রাম তখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ইংরেজ রাজপুরুষ এবং দেশীয় ধনীরা তখনো চলাচলের জন্য মূলত ঘোড়ার গাড়ির ওপর নির্ভরশীল। সেই ঘোড়ার গাড়িরও কত রকমফের-ল্যান্ডো, ব্যারুশ, ফিটন, ভিক্টোরিয়া, ক্র্যাঞ্চি, ব্রুহাম। ভারতে প্রথম মোটরগাড়ি আসে ১৮৯৮ সালে বোম্বেতে। তবে ১৮৯৯ সালে 'ইন্ডিয়ান অ্যান্ড ইস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার' পত্রিকায় এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা থেকে কলকাতায় মোটরগাড়ির অস্তিত্ব প্রথম জানা যায়।

এরপর দু-একটি করে গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে সে সময়কার খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে জানা যায় যে আমদানি করা গাড়িগুলোর বেশির ভাগ ছিল বিদ্যুৎ অথবা বাষ্পচালিত। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সারে, ওয়েভারলি ইত্যাদি। এর দাম হাঁকা হয়েছিল ৪০০০ টাকা, আর ৪০ মাইল যেতে বিদ্যুৎ খরচ ছিল সর্বোচ্চ ৪ টাকা। 

বাষ্পে চলা গাড়িগুলো কেরোসিন পুড়িয়ে চলত। এ ধরনের গাড়ির বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয় যে এ গাড়ি যেকোনো পাহাড়ে উঠতে পারে, কেরোসিন পুড়িয়ে বাষ্প তৈরি করতে হলেও এতে কোনো রকম ধোঁয়া হয় না- 'No smoke, No vibration'।

মন্টাগোর দেওয়া তথ্যমতে, তাঁর নিয়ে আসা মর্সই কলকাতার প্রথম পেট্রলচালিত গাড়ি। কলকাতায় সে সময়কার যেসব গাড়ি আমদানিকারকের নাম জানা যায়, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাম্বোন অ্যান্ড কোম্পানি এবং দ্য মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড সাপ্লাই কোম্পানি। কেবল গাড়ি বিক্রি করে অবশ্য তাদের দায়িত্ব শেষ হতো না, গাড়ি চালাতে শেখানোটাও ছিল তাদের দায়িত্ব। এমনকি পেট্রলের সরবরাহ নিয়মিত না থাকায় তার ব্যবস্থা আমদানিকারকদেরই করতে হতো। পত্রিকার বিজ্ঞাপনে চটকদার আহ্বান লক্ষণীয়- 'will make you an accomplished motorist in a day.' সাথে করে আনা মর্স গাড়ি নিয়ে দিল্লি দরবারে যোগদান শেষে মন্টাগো কলকাতা ফিরে আসেন। এ সময় কলকাতায় অবস্থানরত ইংরেজ কর্তাব্যক্তিদের গাড়ি চালানো শেখানোর দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। মাত্র দুই দফা প্রশিক্ষণে মর্সের মতন দ্রুতগতির গাড়ি চালানো শিখে ফেলেন ইংরেজ রাজ সরকারের কমান্ডার ইন চিফ লর্ড কিচেনার। এ ছাড়া আরও কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজা-মহারাজাদের কয়েকজন মন্টাগোর কাছে প্রশিক্ষণ নেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই মোটরগাড়ি চালানো বিষয়ে কিছু ভীতি কাজ করছিল। মন্টাগো সেসব অমূলক আশঙ্কা কমানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এরপর মন্টাগো কুচবিহারের পথে রওনা হন।

মন্টাগোকে কুচবিহারের মহারাজা তাঁর ব্যক্তিগত সামরিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। মন্টাগোর কাছে গাড়ি চালানোর খুঁটিনাটি শেখেন মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ। দিন কয়েক পর মন্টাগোর সম্মানে অনেক অতিথিসহ মহারাজা শিকারের খোঁজে চললেন হিমালয়ের পাদদেশ তেরাইয়ে। মোটরগাড়ির আরামদায়ক আসনের পরিবর্তে হাতির পিঠের হাওদায় চেপে বনভূমিতে শিকারের অভিজ্ঞতা সেবারই মন্টাগোর প্রথম। শিকারের জন্য মহারাজা তাঁকে একটা বন্দুকও দিলেন। গোটা শিকারি দল মিলে সেবার ২৭টি চিতাবাঘ, ২০টি বারশিঙ্গা, ১৬টি বন্য শূকর, ১৫টি ভালুকসহ নানা প্রজাতির হরিণ ও বুনো মহিষ শিকার করে। মন্টাগোর কাছে এ অভিজ্ঞতা মোটেও আরামদায়ক মনে হলো না। শিকার শেষে তড়িঘড়ি করে তিনি কলকাতা ফিরে আসলেন। দিল্লি দরবারে থাকাকালেই নওয়াব সলিমুল্লাহকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি গাড়ি নিয়ে ঢাকা যাবেন। এবার সেই ওয়াদা পূরণের পালা। নওয়াব এস্টেটের ম্যানেজার জি এল গার্থ মন্টাগোর অপেক্ষায় কলকাতাতে অবস্থান করছিলেন। কুচবিহার থেকে ফেরার পরপরই দুজনে রওনা হলেন ঢাকার পথে।

১৯০৪ সালে নিজ গাড়িতে তোলা আলোকচিত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পথে

কলকাতা থেকে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের রেলগাড়িতে চেপে মন্টাগো চললেন গোয়ালন্দ। গোয়ালন্দ তখন বাঙালি আর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের পণ্য পারাপারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। রেলওয়ের নিজস্ব স্টিমারে এই টার্মিনাল স্টেশন থেকে যাত্রী ও পণ্য পদ্মা নদীর অপর পাড়ে পৌঁছে যায়। নদী পেরোলে নারায়নগঞ্জ, সেখান থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়েছে অনেক দিন। তবে মন্টাগো সঙ্গী জি এল গার্থের পরামর্শে ঠিক করলেন- রেলগাড়ি নয়, ঢাকা পর্যন্ত বাকি সবটুকু পথ স্টিমারেই যাবেন। মর্স গাড়িটা রেলের মালগাড়ি থেকে নামিয়ে তোলা হলো স্টিমারে। ঢাকা পৌঁছাতে বিকেল হলো।

বুড়িগঙ্গা নদীতীরের চকচকে থামের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বাগানঘেরা বাড়িগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে মন্টাগোর মনে হয়েছিল, শহরটি নিশ্চয়ই বিশাল এবং জাকজমকপূর্ণ হবে। কিন্তু গাড়ি নিয়ে শহরে নামতেই ভুল ভাঙল। পুরো শহরটি গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে; প্রশস্ত সড়ক সেখানে নেই বললেই চলে। সদরঘাট থেকে উত্তরে ঠাটারিবাজার পর্যন্ত চলে গেছে নবাবপুর রোড; এর থেকে বের হয়েছে গাছের ডালপালার মতন অসংখ্য গলিপথ। আরেকটি সড়ক গিয়েছে লালবাগের দিকে। সরু, আঁকাবাঁকা গলিপথের দুই ধারে গড়ে উঠেছে কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি। পুরো ঢাকা শহর অনেকগুলো ছোট ছোট মহল্লায় বিভক্ত। গাড়ি বলতে এ শহরের মানুষ চেনে ঘোড়ার গাড়ি আর মোষের গাড়ি। প্রধান সড়ক ছাড়া কোথাও দুটো গাড়ি পাশাপাশি চলার মতন জায়গা নেই; সড়কে জট লেগে থাকে। তার সাথে যোগ হয়েছে ধুলো। খুরের আঘাতে ইট বিছানো রাস্তা ভেঙে সারা দিন ধুলো উড়ে। ধুলো কমানোর জন্য ভিস্তিরা দুই বেলা পানি ছিটায়।

সদরঘাট থেকে আহসান মঞ্জিলে যাওয়ার রাস্তাটা সংক্ষিপ্ত। কিন্তু মূল শহর দেখার সাধ হলো মন্টাগোর। এ শহরের অলিগলি সব জি এল গার্থের নখদর্পণে, মন্টাগোকে পথ দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে তাঁরা মূল শহরে ঢুকলেন। হঠাৎ মোটরগাড়ি দেখে ঢাকার মানুষ থমকে দাঁড়াল। এমন অদ্ভুত গাড়ি তো তারা কোনো দিন দেখেনি। সাধারণের মনে প্রশ্ন- এই গাড়ি টানছে কে? কলে টানা গাড়ি বলতে তারা চেনে রেলগাড়ি, সে তো 'দৈত্যর' মতো বড় বাষ্পচালিত ইঞ্জিন দিয়ে চলে। কিন্তু এই ছোট্ট গাড়িটা চালানোর শক্তি কোথা থেকে এল? প্রমবারের মতো মোটরগাড়ি দেখে কেউ ভয়ে দূরে সরে গেল, আবার কেউ গাড়িকে ঘিরে দাঁড়াল। ক্রমাগত ভেঁপু বাজিয়ে আর চিৎকার করে লোক সরিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলল নওয়াববাড়ির দিকে। এ সময়ে ইসলামপুর রোডে এক ঘোড়ার গাড়ির কারণে নতুন বিপত্তি হলো। 

ঢাকায় আর্মেনীয় ব্যবসায়ী জি এম সিরকোর Hackney Carriage বা ঠিকা গাড়ি নামে ঘোড়ার গাড়ি এনেছিলেন। কালে তা হয়ে উঠেছিল ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। ১৮৯০-এর দিকে এ শহরে প্রায় ৬০০ ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করত। এ রকম কোনো এক গাড়ির ঘোড়া দুটি সড়কে হঠাৎ মোটরগাড়ি দেখে চমকে উঠল। ভীত ঘোড়াগুলো এত ছটফট শুরু করল যে আরেকটু হলে তারা শ্যাফট ভেঙে গাড়ি ফেলে পালাত। কোচোয়ান বহু কষ্টে এদের সামলে নিল। মন্টাগো অবশ্য এ অবস্থার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ঘোড়ার গাড়ি সামনে পড়লে কীভাবে ব্রেক চেপে অন্তত পনেরো ফুট আগে দাঁড়ানো যায়, সে বিষয়ে বিলেতের অটোমোবাইল ক্লাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। কলকাতাতেও এ রকম দুর্ঘটনা কয়েকবার হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এ যাত্রা সামলে নেওয়া গেল। মন্টাগোর গাড়ি ইসলামপুর রোডে অবস্থিত জমকালো প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করল নওয়াববাড়ির আঙিনায়। চমৎকার বাগানঘেরা পথে গাড়ি এসে দাঁড়াল আহসান মঞ্জিলের উত্তরের গাড়ি বারান্দায়।

আহসান মঞ্জিল তথা রংমহলে নওয়াব খাজা সলিমুল্লাহর আন্তরিক আপ্যায়ন মন্টাগোকে মুগ্ধ করল। এদিকে কলের গাড়ির খবর অন্দরমহলেও পৌঁছে গিয়েছিল। সেবার দিল্লি থেকে ফেরার পর নওয়াব সাহেব বেশ খোশমেজাজে ছিলেন, বাড়ির মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শাহবাগের বাগানবাড়িতে পার্সি থিয়েটার কোম্পানির নাটক দেখার ব্যবস্থা করেন। আরও চমক আছে এমন আভাষ দিয়েছিলেন। তবে তা যে এই কলের গাড়ি, সে কথা জানা ছিল না। অভিনব এই গাড়ি দেখে মুগ্ধ হন সকলে। মন্টাগোর সাথে আলোচনা শেষে নওয়াব সলিমুল্লাহ একসাথে তিনটি কলের গাড়ি এবং একটি ৪০ ফুট দীর্ঘ 'মোটরলঞ্চ' অর্ডার করেন। সংক্ষিপ্ত তবে সফল সফর শেষে গোয়াহাটির উদ্দেশে মন্টাগো ঢাকা ত্যাগ করেন।

১৯০৩ সালের শেষভাগে মন্টাগোর তত্ত্বাবধানে নওয়াবের কেনা তিনটি গাড়ি পৌঁছাল কলকাতা। কোন কোন গাড়ি কিনেছিলেন নওয়াব সলিমুল্লাহ? ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত দ্য মোটর ম্যাগাজিনে এর উত্তর পাওয়া যায়। সেখানে নওয়াবের কেনা গাড়ি তিনটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে: ১. রেনোঁ (৮ হর্সপাওয়ার), ২. মর্স (১৫ হর্সপাওয়ার) এবং ৩. মর্স (১০ হর্সপাওয়ার)। নওয়াবের ম্যানেজার জি এল গার্থ গাড়িগুলো গ্রহণের জন্য কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন। গাড়িগুলো নওয়াববাড়িতে পৌঁছানোর আগে বা পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারাইয়ের জন্য ছিলেন জো ডেভিডসন নামের এক ইংরেজ মেকানিক। নতুন কেনা এই গাড়িগুলোর চমৎকার কিছু ছবি তুলেছিলেন জার্মান আলোকচিত্রী ফ্রিৎজ ক্যাপ। এর বেশির ভাগই তোলা হয় ১৯০৪-এর প্রথমভাগে লর্ড কার্জনের ঢাকা সফরের সময়ে।

দিলকুশায় তোলা ছবিতে নওয়াব সলিমুল্লাহর মোটরগাড়ি, ১৯০৪। ছবি: সংগৃহীত

১৯০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লর্ড কার্জন সস্ত্রীক ঢাকা আসেন এবং আহসান মঞ্জিলে নওয়াব সলিমুল্লাহর আতিথ্য গ্রহণ করেন। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গভঙ্গ বিষয়ে পূর্ব বাংলার জনসাধারণের সমর্থন আদায়। এ উপলক্ষে ঢাকা শহর সাজানো হয় মনোরমভাবে। প্রচুর খানাদানা এবং আমোদফুর্তির ব্যবস্থা করা হয়। পরদিন ভাইসরয় নওয়াবদের শাহবাগের বাগানবাড়িতে যান। সেখানে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এ সময়ে তোলা একটি ছবিতে লর্ড কার্জন এবং তাঁর স্ত্রী মেরি কার্জনকে নওয়াবের গাড়িবহরের সঙ্গে দেখা যায়। লেডি মেরি কার্জন একটি গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত রেখে বসে আছেন, পাশে দাঁড়িয়ে আছেন লর্ড কার্জন। ছবিতে বহরে ৪টি গাড়ি দেখা যায়; চতুর্থ গাড়িটি সম্ভবত লর্ড কার্জনের ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে আনা হয়েছিল। নওয়াব পরিবারের আত্মীয় কাজী কাইউমের লেখা এক ডায়েরি থেকে এদিনে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কথা জানা যায়, তবে তা মোটরগাড়ি নাকি ঘোড়ার গাড়ি, তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, লর্ড কার্জন ভারতবর্ষে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মোটরগাড়ির ব্যাপক ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন। কার্জনের একান্ত সচিবের এক চিঠিতে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, 'He regards India as a country pre-eminently suited for the wide introduction of the motor car.'। নওয়াব সলিমুল্লাহর গাড়িপ্রীতি তাই কার্জনকে বিশেষভাবে সন্তুষ্ট করে। তিনটি গাড়ি পাওয়ার পর নওয়াব একটি উলসলি গাড়ির অর্ডার দিয়েছিলেন। ২০ হর্সপাওয়ার, ৪ সিলিন্ডারযুক্ত সেই গাড়িতে ছিল চামড়ার তৈরি হুড এবং আগের মতন এবারও গাড়ি আনার দায়িত্বে ছিলেন বন্ধু মন্টাগো। কলের গাড়ির সেই প্রাথমিক যুগে নওয়াব একটি ইউরোপীয় 'অটোমোবাইল ক্লাব'-এর সদস্য ছিলেন। ১৯০৪ সালে প্রকাশিত Car Illustrated নামের এক ম্যাগাজিনে ঢাকার নওয়াবকে 'an enthusiastic motorist' হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

১৮৯৫ সালে ঢাকার নওয়াবদের সম্পত্তির যে তালিকা তৈরি করা হয়, তাতে ১৪টি হাতি, ৬০টি ঘোড়া এবং হরেক রকমের ৩৫টি ঘোড়ার গাড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৯০৪ সাল থেকে নওয়াব সলিমুল্লাহসহ পরিবারের সদস্যরা ঘোড়ার গাড়ির পরিবর্তে মোটরগাড়িতে চেপেই চলাফেরা করতে শুরু করেন। নওয়াব পরিবারের আর্থিক অবস্থা অবশ্য এসব বিলাসিতার অনুকূলে ছিল না। বঙ্গভঙ্গ প্রক্রিয়ায় সমর্থন আদায়ে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে নওয়াব সলিমুল্লাহ জমিদারি পরিচালনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাসহ আরও বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে গিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় নওয়াব এস্টেটের আয় বাড়েনি, কিন্তু ঋণভার কাঁধে নিয়ে নওয়াব বাহাদুর তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখেন। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে এস্টেটের মূল্যবান হাতি-ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি প্রায় সবই বিক্রি করে দিতে হয়। ১৯০৭ সালের মার্চ মাসে খাজা আতিকল্লাহ তাঁকে এসব গাড়িঘোড়া বিক্রির নোটিশ দিতে বলেন, আর তা না করলে এ-সংক্রান্ত ব্যয় নওয়াবকে নিজ সম্পত্তির অংশ থেকেই চালাতে হবে বলে সতর্ক করেন। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঋণের দায়ে জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব সরকারের কোর্ট অব ওয়ার্ডসের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন নওয়াব সলিমুল্লাহ। 


সহায়ক সূত্র: 

১. Motoring Annual and Motorist's Year Book (Illustrated), January, 1904
২. Motor Sport Magazine, November 1981
৩. আহসান মঞ্জিল ও ঢাকার নওয়াব ঐতিহাসিক রূপরেখা, ড. মো. আলমগীর, শব্দরূপ, ২০০৩
৪. কলের শহর কলকাতা, সিদ্ধার্থ ঘোষ, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯১

Related Topics

টপ নিউজ

নওয়াব সলিমুল্লাহ / ঢাকা / গাড়ি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর
  • ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...
  • শ্রেণিকরণের আওতায় আসায় প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪,৫৭০ কোটি টাকা
  • কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার, 'ফাঁস দেওয়ার' দাবি কারা কর্তৃপক্ষের
  • ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে, আমরাও বন্ধ করব: ইরান

Related News

  • এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা
  • দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
  • ‘নো করিডর, নো পোর্ট’: ২৭-২৮ জুন রোডমার্চ করবেন বামপন্থীরা
  • অন্য জেলা থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন ঈদের দিনসহ ১০ দিন নিষিদ্ধ
  • বৈরী আবহাওয়া: ঢাকামুখী চার ফ্লাইট শাহ আমানতে জরুরি অবতরণ

Most Read

1
অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর

2
আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন

3
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...

4
অর্থনীতি

শ্রেণিকরণের আওতায় আসায় প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪,৫৭০ কোটি টাকা

5
বাংলাদেশ

কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার, 'ফাঁস দেওয়ার' দাবি কারা কর্তৃপক্ষের

6
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে, আমরাও বন্ধ করব: ইরান

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net