আটা-ময়দা-চায়ের দাম বাড়লেও মুরগি ও ডিমের সামান্য কমেছে, সবজির বাজার স্থিতিশীল
ঢাকার বাজারে অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য আটা, ময়দা ও চায়ের দাম বেড়েছে; অন্যদিকে সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এখনও বেশি। এর বিপরীতে, চিনি, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামে সামান্য কমেছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও পলাশি এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, তীর, ফ্রেশ, স্বাদ, বসুন্ধরা ও এসিআই ব্র্যান্ডের ২ কেজি ময়দার প্যাকেটজাত আটার সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ টাকায়—যা দুই সপ্তাহ আগেও ১০৫–১১০ টাকায় বিক্রি হতো। খোলা আটার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। ময়দার দামেও একই প্রবণতা দেখা গেছে—তীর ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের ২ কেজির প্যাকেটজাত ময়দার সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
আটা ও ময়দার এমন দামবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা। ভোগান্তিতে পড়েছেন রেস্তোরাঁ ও বেকারি ব্যবসায়ীরাও। হাতিরপুলের এক রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী বলেন, "আটা ও ময়দা অনেক খাবারের প্রধান উপাদান। রুটি, পরোটা, নান, তন্দুরি রুটি, কেক, ব্রেড, পেস্ট্রিসহ নানা বেকারি আইটেম এগুলো ছাড়া তৈরি করা যায় না। তাই বাজারে আটা-ময়দার দাম বাড়লে আমাদের উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায়। ব্যয় সামাল দিতে অনেক রেস্তোরাঁ ও বেকারি খাবারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়, আবার কেউ কেউ পণ্যের ওজন বা পরিমাণ কমিয়ে দেন।"
এদিকে, শীতের আগমনের সঙ্গে বাজারে বেড়েছে চা পাতার দামও। খোলা চা পাতা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৪০ টাকায়। তবে প্যাকেটজাত চা পাতার দাম আরও বেশি। বাজারে হাফ কেজির সিলন গোল্ড টি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, আর ইস্পাহানি মির্জাপুর ব্র্যান্ডের ৫০০ গ্রাম চা পাতার দাম ২৭০ টাকা।
যদিও কারওয়ানবাজারের মিতা টি হাউজের বিক্রেতা জানান, সামনে খোলা চা পাতার দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা কম।
অন্যদিকে ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে, যদিও খুচরা বাজারে এখনো তার প্রভাব পড়েনি। কারওয়ানবাজারের রূপচাঁদা তেলের ডিলার ফয়সাল আহমেদ বলেন, "আগে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল কিনতে খরচ হতো ৮৮৭ টাকা, এখন ১৫ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। এতে পাইকারি ও ডিলার পর্যায়ের মুনাফা অনেক কমে গেছে।"
ক্রেতাদের জন্য সামান্য স্বস্তির খবর হলো চিনির দরে সামান্য পতন। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।
এছাড়া শীতকালীন সবজির দাম বাজারে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে সবজির দাম আরও কমতে পারে। বর্তমানে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়, মুলার কেজি ৬০ টাকা, আর অন্যান্য সবজি কেজিপ্রতি ৬০–৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
