বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সিভিল এভিয়েশনের অবহেলা দেখছেন ব্যবসায়ীরা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লেগে পুরো আমদানি কার্গো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অবশ্যই অবহেলা রয়েছে। বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকার কথা। সিভিল এভিয়েশনের কি এই পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না? যদি না থাকে, তাহলে এর পেছনে দায়ী কারা, সেটা সরকারের খুঁজে বের করা দরকার।'
তিনি আরও বলেন, 'এর ফলে দেশের ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির পাশাপাশি বহির্বিশ্বে ইমেজ ক্রাইসিস হবে।'
মোহাম্মদ হাতেম প্রশ্ন তোলেন, 'এ ধরনের একটি কী পয়েন্ট ইনস্টলেশনে (কেপিআই) কিভাবে এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে? এটি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জায়গা হলো চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকা বিমানবন্দর। যদি এই দুই জায়গা অরক্ষিত থাকে, তাহলে দেশের নিরাপত্তা বা অর্থনীতির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কোথায় ভরসা রাখব?'
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক গার্মেন্টস কারখানা ও বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে কি না—সেই প্রশ্নও তোলেন বিকেএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, 'আমরা আজও শুনেছি ইনসেপ্টা কারখানায় আগুন লেগেছে। তাহলে আমরা এমন প্রশ্ন তুলতেই পারি।'
অন্যদিকে, বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান বাবলু বলেন, 'আমরা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছি। আমদানি কার্গো ভিলেজ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে রপ্তানি অংশে ক্ষতি হয়নি।'
তিনি জানান, আমদানি কার্গো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। 'সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে,' বলেন তিনি।
ইনামুল হক আরও বলেন, 'আমদানি কার্গো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রপ্তানি অংশ অক্ষত রয়েছে। বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।' তবে কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত নতুন শিপমেন্ট ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।