তারেক রহমানের দেশে ফেরা: বিমানবন্দর ও টঙ্গীসহ নির্দিষ্ট এলাকার কারখানা ছুটির পরামর্শ বিজিএমইএ’র
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিমানবন্দর ও টঙ্গীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পোশাক কারখানাগুলো ছুটি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
ওই দিন ব্যাপক জনসমাগমের কারণে শ্রমিকদের চলাচল এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সংগঠনের পক্ষ থেকে এক নোটিশের মাধ্যমে সদস্যদের এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বিমানবন্দর, টঙ্গীসহ ওই সব এলাকায় বিজিএমইএ'র সদস্যভুক্ত ২০০-এর বেশি পোশাক কারখানা রয়েছে।
সদস্যদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, 'দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় বিপুল লোকসমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বিবেচনা করে ওই দিন রাজধানীর উত্তরা (পূর্ব ও পশ্চিম), উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, আব্দুল্লাহপুর, তুরাগ, টঙ্গী, পুবাইল, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন ব্রিজ এবং আশুলিয়া এলাকার (পূর্বাংশ) কারখানাগুলোর শ্রমিক যাতায়াত এবং আমদানি-রপ্তানির মালামাল পরিবহনে বিঘ্ন ঘটতে পারে।'
উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজিএমইএ পরামর্শ দিয়েছে যে, মালিকপক্ষ চাইলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ২৫ ডিসেম্বরের পরিবর্তে অন্য কোনো দিন 'জেনারেল ডিউটি' পালন সাপেক্ষে ওই দিনটি ছুটি ঘোষণা করতে পারেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি রেজওয়ান সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা কারখানা মালিকদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অবগত করেছি। মালিকরা চাইলে ওই দিন ছুটি দিয়ে পরবর্তীতে অন্য কোনো দিন সেই কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।' তবে এই পরামর্শ কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কা থেকে দেওয়া হয়নি বলেও পরিষ্কার করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিশাল সংবর্ধনার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সেখানে সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই জনসমাগমের ফলে বিমানবন্দর সড়ক ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই বিজিএমইএ এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিল।
