শহিদুল আলমদের কনশানসসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক ইসরায়েলের
বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বহনকারী ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী নৌযান কনশানসসহ ফ্লোটিলার সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। শহিদুল আলম আজ এক ভিডিও বার্তায় আটক হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, 'গাজায় বৈধ নৌবদ্ধ অবরোধ ভেঙে প্রবেশের আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা কোনো ফল দেয়নি। সব নৌযান ও যাত্রীকে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে।'
এছাড়াও আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশিত এক 'প্রি-রেকর্ডেড' ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, 'আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশ থেকে আসা একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। যদি আপনারা এই ভিডিওটি দেখে থাকেন, তবে বুঝবেন আমরা সমুদ্রে অবরুদ্ধ হয়েছি এবং আমাকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অপহরণ করেছে। এই রাষ্ট্র গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সক্রিয় সহযোগিতায়।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি আমার সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের আহ্বান জানাই, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যান।'
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন' আয়োজিত এই ফ্লোটিলায় নয়টি নৌকা ছিল। এর মধ্যে 'কনশানস' নামের একটি নৌকায় প্রায় ১০০ জন অধিকারকর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, 'কনশানস' জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আছেন। তাদের লক্ষ্য ছিল তথ্যের ওপর ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙ্গা এবং গাজার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা।
এরও এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি নৌবাহিনী 'সুমুদ ফ্লোটিলা' নামের একটি নৌবহর থেকে অন্তত ৪০টি নৌযান আটক করে। ওই অভিযানে অংশ নেওয়া ৪৭৯ জনের মধ্যে বেশির ভাগকেই আটক করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অনেককে নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের তুরস্ক, গ্রিস ও স্লোভেনিয়ায় পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
'থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)'-র আয়োজক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। এফএফসি 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার' যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি।