ভারী বর্ষণে নেপালে ৪৭ জনের মৃত্যু, বহু রাস্তা বন্ধ

নেপালে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং কয়েকটি সেতু ভেসে গেছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্যোগে শুক্রবার থেকে দেশটিতে কমপক্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র কালীদাস ধাউবোজি বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী ইলাম জেলায় পৃথক পৃথক ভূমিধসে ৩৫ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আকস্মিক বন্যায় ৯ জন নিখোঁজ এবং দেশের অন্যান্য স্থানে বজ্রপাতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র শান্তি মহাত বলেন, 'নিখোঁজদের উদ্ধারের কাজ চলছে।'
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাঞ্চলের দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে সাতজন মারা গেছেন।
দার্জিলিং জেলা পুলিশের কর্মকর্তা অভিষেক রায় রোববার জানান, 'ধ্বংসস্তূপ থেকে ইতোমধ্যেই সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুইজনের তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের দেহ উদ্ধারের কাজও চলছে।'
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এই তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিধস ও বন্যার কারণে কয়েকটি প্রধান সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে এবং শত শত যাত্রী পথে আটকা পড়েছেন।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিনজি শেরপা বলেন, 'দেশীয় ফ্লাইটগুলো প্রায় পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।'
একজন জেলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেপালের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কোশী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনসারি জেলার জেলা গভর্নর ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্রা বলেন, 'কোশী ব্যারেজের ৫৬টি স্লুইস গেট খোলা হয়েছে, যেখানে সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রায় ১০-১২টি গেট খোলা থাকে। এছাড়াও সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।'
কাঠমাণ্ডুতে অনেক সড়ক ও বাড়িতে পানি উঠেছে। এছাড়া রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
হাওয়ার অফিসিয়ালরা জানান, সোমবার পর্যন্ত হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশটিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা বিপর্যস্তদের সাহায্যে 'সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ব্যবস্থা' নিচ্ছে।