বাংলাদেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের সাহায্য প্রার্থনা

ভিসা জটিলতা ও আর্থিক দুরাবস্থার কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়ে আছেন অস্ট্রেলীয় এক নাগরিক। অ্যান্ড্রু জন রাইট নামে ওই ব্যক্তি পেশায় শিক্ষক।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কানাডিয়ান ট্রিলিয়াম স্কুলে (সিটিএস) শিক্ষকতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন অ্যান্ড্রু। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান। আর্থিক সাহায্য সংগ্রহের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট 'গ্র্যাব ফান্ডিং'-এ অ্যান্ড্রুর দেওয়া তথ্য অনুসারে এসব জানা যায়।
অ্যান্ড্রুর বক্তব্য অনুযায়ী সিটিএস কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার বৈধ কর্ম ভিসা এবং কাজের অনুমোদনের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করেনি। এমনকি তাকে বেতনও দেওয়া হয়েছিল কম।
পরবর্তীকালে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করেন এবং স্থায়ী ভিসার জন্য সমস্ত কাগজপত্র জমা দেন।
তবে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকা সত্ত্বেও ভিসার মেয়াদ শেষ হলে সিটিএস কর্তৃপক্ষ তার জন্য মাত্র তিন মাস মেয়াদী পর্যটক ভিসার ব্যবস্থা করে।
কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে লকডাউনে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে অ্যান্ড্রুর ভিসার মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
পরবর্তীকালে, জুনে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে দেশ থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে বললেও, ওয়ার্ক ভিসার বৈধতা থাকা পর্যন্ত তিনি দেশ ছাড়ার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানান।
কয়েক মাস অপেক্ষার পর বিডা কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থায়ী ভিসার জন্য 'নিয়োগদাতার আবেদন পত্র' প্রয়োজন। তবে সিটিএস কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করা হলেও তারা তা পাঠায়নি।
অক্টোবরে সিটিএস কর্তৃপক্ষ বিডা এবং অ্যান্ড্রুর নিয়োগ ইস্যুতে তাদের অবহেলার বিষয়টি স্বীকার করে। তবে তাদের দাবী, তাদের কাছে অ্যান্ড্রুর কোনো পাওনা বাকি নেই।
ফলে এই মুহূর্তে অ্যান্ড্রুর কোনো বেতন-ভাতা নেই। বাংলাদেশে থাকতে বৈধ ব্যবস্থা গ্রহণের মতো আর্থিক পরিস্থিতিও তার নেই। নিরুপায় হয়েই অ্যান্ড্রুকে এখন সাহায্য প্রার্থনা করতে হচ্ছে।
গত ২৬ জানুয়ারি থেকে সাহায্যের পেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত অ্যান্ড্রুর তহবিলে ৯ হাজার ৬০০ টাকা জমা পড়েছে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী তার এখন তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।