সিডনিতে ডে-কেয়ার থেকে ভুলবশত নাতি ভেবে আরেক শিশুকে বাড়ি নিয়ে গেলেন দাদা
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক দাদা ভুলবশত নাতি ভেবে আরেক শিশুকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ সিডনির বানগর এলাকায় অবস্থিত ফার্স্ট স্টেপস লার্নিং অ্যাকাডেমি থেকে গত সোমবার নাতিকে নিতে এসেছিলেন ওই প্রবীণ ব্যক্তি।
কিন্তু তিনি ভুলক্রমে অন্য একটি শিশুকে বাড়িতে নিয়ে যান। শিশুটি ওই সময় অন্ধকার কক্ষে ঘুমাচ্ছিল।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুটির মা পৌছালে বিষয়টি ধরা পরে। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান, তার এক বছর বয়সী সন্তান সেখানে নেই।
তিনি ওই সংবাদপত্রকে বলেন, 'আমি অনুভূতিটা ব্যাখ্যা করতে পারছি না।'
শিশুটির মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টার তার সন্তানকে কে নিয়ে গেছে, কাকে নিতে এসেছিল তার কিছুই বলতে পারলো না। তারা শুধু বলেছে, ওই ব্যক্তি শর্টস পরেছিলেন এবং তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তি।
নিরাপত্তা প্রোটোকলের অংশ হিসেবে, ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো চেনা ও রেজিস্ট্রি করা মা-বাবা, অভিভাবক বা কেয়ারগিভার ছাড়া অন্য কারও কাছে শিশুদের দেয় না।
ওই শিশুটির মা বলেন, এই ঘটনার জন্য ওই প্রবীণ ব্যক্তিকে দোষারোপ করা যায় না।
তিনি বলেন, 'আমরা তার প্রতি রাগান্বিত নই। তার প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই— আমরা ডে-কেয়ার সেন্টারকেই দোষ দিচ্ছি।'
ওই প্রবীণ ব্যক্তির স্ত্রী সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, তার স্বামী বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে 'বিধ্বস্ত' ছিলেন এবং বলেছিলেন, "ভুলটি তার নিজের"।
তিনি বলেন, 'যখন তিনি বুঝতে পারলেন, তিনি সেই শিশুকে খুব দ্রুত ফিরিয়ে দিতে গেছেন।'
ফার্স্ট স্টেপস বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নার্সারি পরিচালক ত্রিশা হ্যাস্টি বলেন, 'এই অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য আমরা সরাসরি প্রভাবিত পরিবারগুলোর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।'
তিনি আরও জানান, ফার্স্ট স্টেপসের কোনো নার্সারিতে আগে এমন ঘটনা ঘটেনি এবং এখন থেকে এমন কোনো ভুল যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রক্রিয়াগুলো আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রাথমিক শিশু শিক্ষা ও যত্ন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও গুরুতর' এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল যখন অস্ট্রেলিয়ার শিশুপালন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। গত মাসে এই খাতে নিরাপত্তা মান উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে নতুন আইন প্রবর্তন করা হয়েছে।
