Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
July 21, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JULY 21, 2025
ক্লিক, অপেক্ষা, আবার ক্লিক: প্রতিশ্রুত স্বস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডিজিটাল ভূমি সেবা

বাংলাদেশ

শেখ আবদুল্লাহ
19 July, 2025, 09:35 am
Last modified: 19 July, 2025, 03:09 pm

Related News

  • সাভারে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার ভূমি কর্মকর্তা
  • সরকারি পরিসংখ্যানে বাড়ন্ত কৃষিজমি, কিন্তু বাস্তবে এসব জমি কোথায়?
  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার   
  • জনপ্রশাসন একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
  • ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে জটিলতা কমবে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

ক্লিক, অপেক্ষা, আবার ক্লিক: প্রতিশ্রুত স্বস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডিজিটাল ভূমি সেবা

২০২০ সাল থেকে 'ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন' প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ভূমি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সেবাগুলো আধুনিক ও সহজলভ্য এবং দেশব্যাপী প্রধান সেবাগুলো অনলাইনভিত্তিক করার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়। 
শেখ আবদুল্লাহ
19 July, 2025, 09:35 am
Last modified: 19 July, 2025, 03:09 pm

ল্যান্ড ডটজিওভি ডটবিডি (land.gov.bd) ওয়েবসাইটে লগইন করুন। 'ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ' অপশনে ক্লিক করে আপনার বকেয়া দেখে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করুন। এই সহজ সেবাটি এখনও পাওয়া গেলেও গত কয়েক বছরে চালু হওয়া অন্যান্য ডিজিটাল ভূমি সেবা পাওয়ার প্রক্রিয়া এখন আর ততটা সহজ নেই।

বাগেরহাটের এক গ্রামের একজন গ্রাহকের ডিজিটাল ভূমি দলিল সেবা নিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ খারাপ।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সেবাগ্রহীতা বলেন, বাবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি সন্তানদের নামে হস্তান্তর করার জন্য অনেকদিন ধরেই ঘুরছেন। তার কাছে বাবার নামে ওই জমির পর্চাও রয়েছে। কিন্তু তারপরও ভূমি অফিস বাবা কীভাবে ওই জমির মালিক হয়েছেন, জমির বণ্টন কীভাবে হয়েছে, ওয়ারিশ সনদ ও জমির খাজনা পরিশোধেরে কাগজ নিয়ে যেতে বলেছে।

কেবল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে হাতে লেখা একটি দাখিলা (রশিদ) পেতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ওই ব্যক্তিকে দুই সপ্তাহ ঘুরতে হয়েছে। কর্মকর্তারা বারবার 'সিস্টেমের ত্রুটি' ও 'সার্ভার ডাউন' থাকার কথা বলায় অনলাইনে কর হিসাব করা সম্ভব হয়নি। ফলে 'আলোচনাসাপেক্ষে নির্ধারিত' একটি অঙ্ক পরিশোধ করতে হয়েছে তাকে।

মোল্লাহাট উপজেলার দড়িয়াল গ্রামের ওই সেবাগ্রহীতা বলেন, 'মিউটেশনের [নামজারি] আবেদন করতেই লেগেছে আরও ১৫ দিন।'

শুধু একটি জেলাতেই এই সমস্যা না। ভূমিসংক্রান্ত সমস্যায় সারা দেশেই ভোগান্তিতে আছেন অসংখ্য মানুষ। নামজারি, পর্চা, খাজনার রশিদ কাটতে না পারায় অনেকেই তাদের কার্য়ক্রম সময়মতো শেষ করতে পারছেন না। 

কারিগরি সমস্যা ও পদ্ধতিগত বিলম্বের কারণে দেশজুড়ে নাগরিকেরা পাঁচ বছর মেয়াদি ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় চালু হওয়া অনলাইন সেবাগুলোর সুফল পাচ্ছেন না।

এর জন্য সার্ভারের সমস্যাকে দায়ী করছে স্থানীয় ভূমি রাজস্ব অফিস। ভূমি সেবা হটলাইনে ফোন করেও একই উত্তর মিলছে, কিন্তু কেউই বলতে পারছেন না এই সমস্যার সমাধান হবে কবে।

২০২০ সাল থেকে 'ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন' প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ভূমি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সেবাগুলো আধুনিক ও সহজলভ্য এবং দেশব্যাপী প্রধান সেবাগুলো অনলাইনভিত্তিক করার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়। 

শুরুতে প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। ২০২৩ সালে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় বলে জানান কর্মকর্তারা। প্রকল্পটির জন্য সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। 

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ভূমি-সংক্রান্ত সারা দেশের ৫ হাজার ২৪৭টি ভূমি-সংক্রান্ত অফিসে অনলাইন ভূমি সেবা চালু করা হবে।

এসব সেবার মধ্যে রয়েছে ভূমি নিবন্ধন, নামজারি, খাজনা পরিশোধ, জমা ভাগ ও জমা একত্রীকরণ (রেকর্ড সংশোধন), মৌজা ম্যাপ, জমির দলিলের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন।

প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, এটি পুরোপুরি চালু হলে নাগরিকেরা অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন, এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন এবং মালিকানা ও প্লটের ইতিহাস ট্র্যাক করতে পারবেন।

এছাড়াও এটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির অংশ বণ্টন সহজ করা, ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া সহজ করা এবং অনলাইনে জমির দলিল পাওয়ার সুযোগ তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

সাধারণ সেবাতেও ত্রুটি ও বিলম্ব

প্রকল্পটি এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হলেও নাগরিকরা কিছু সুবিধা পেতে শুরু করেছিলেন—যেমন অনলাইনে জমির ফি পরিশোধ, নামজারির আবেদনের অবস্থা যাচাই করা এবং নিজেদের জমির প্রোফাইল দেখা।

কিন্তু কারিগরি সমস্যা এবং জমির বহুবিধ দলিল ও উত্তরাধিকারের ইতিহাস প্রমাণের বাধ্যবাধকতার কারণে বেশিরভাগ সেবাই এখনও ম্যানুয়াল বা সনাতন পদ্ধতিতেই রয়ে গেছে। এর ফলে কর প্রদান, নামজারির আবেদন বা জমির সার্টিফায়েড দলিল পেতে মানুষের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি তারা হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন।

অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করছেন, তারা বারবার আবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অনেকের টাকা নিচ্ছে না, আবার অনেকের টাকা কেটে নিলেও নিশ্চিতকরণ মেসেজ আসছে না, আবেদনের মেসেজ আসছে না। আবার রশিদও পাচ্ছে না।

ভূমি সেবা ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নামজারি প্রক্রিয়ায় গড়ে ৩৬ দিন সময় লাগছে, যদিও অটোমেশন প্রকল্পে এর জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৯ শতাংশ নামজারির আবেদন এক মাসের মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। অন্যদিকে খাজনা পরিশোধের জন্য অনলাইন নিবন্ধনে আবেদনকারীদের ১৫ শতাংশ বা তারও বেশিসংখ্যক মানুষ বিলম্ব বা আবেদন বাতিলের শিকার হচ্ছেন। হালনাগাদ মৌজাভিত্তিক তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় ই-পর্চা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।

অনেক ভূমি অফিস কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই 'স্মার্ট সেবা' স্থগিত রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নতুন সফটওয়্যার সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে এই সমস্যা বেড়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় ও 'ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন' প্রকল্পের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নতুন এই সিস্টেম নিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন।

ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন উদ্যোগের প্রকল্প পরিচালক মো. পারভেজ হাসান বলেন, তিনি সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত আছেন।

গত ৯ জুলাই টিবিএসকে তিনি বলেন, 'সার্ভারের সমস্যা একটি কমন সমস্যা। শুধু যে ভূমি সেবা-সংক্রান্ত কাজে সমস্যা হয়, তা নয়। অন্যান্য কাজেও সার্ভারে সমস্যা হয়ে থাকে এবং এটা হওয়া অস্বাভাবিকও নয়।'

তিনি বলেন, 'অনেক সময় সিস্টেম ডাউন থাকে। যে স্পিডে কাজ করা বা সেবা দেওয়ার কথা, সেই স্পিডে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এরমধ্যেও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সারা দেশে প্রচুর সেবাপ্রার্থীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।' 

পারভেজ হাসান আরও বলেন, 'অনেকের টাকা নিচ্ছে না, আবার টাকা কেটে নিচ্ছে মেসেজ পাচ্ছে না, আবেদনের মেসেজ আসছে না—প্রতিদিনই এ ধরনের অভিযোগ আসছে। আমরা সেগুলো সমাধান করছি। ভূমি-সংক্রান্ত সেবার জন্য একটি হটলাইন রয়েছে। সেখানে কল করেও নাগরিকরা সমাধান নিতে পারছেন।'

কেন এই সিস্টেমের ত্রুটি

ভূমি মন্ত্রণালয় ও অটোমেশন প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ডিসেম্বরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমন্বয়ের কাজ শেষ না করেই একটি নতুন সফটওয়্যার চালু করা হয়েছিল। এর আগে কোনো কারিগরি দল গঠন করা হয়নি বা তাদের মতামতও নেওয়া হয়নি। ফলে ই-নামজারি, ই-পর্চা ও ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাগুলো প্রত্যাশামাফিক কাজ করছে না।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সরকারি ডিজিটাল সেবার এই অদক্ষতার পেছনে দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, 'প্রথমত, কোনো সংস্থা যখন একটি অনলাইন সেবা চালু করে তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু ওই সেবাটি চালু করা পর্যন্ত কার্যক্রমের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু অনলাইন সেবায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট করা, অ্যাডজাস্ট করার কাজ থাকে। এজন্য রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট থাকা উচিত, যা অধিকাংশ প্রকল্পের সাথে থাকে না। 

'যখন ওই প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়ে মেইনটেনেন্সের জন্য উদ্যোগ নেয়, তখন দেখা যায় যে সংস্থার মাধ্যমে এই সফটওয়্যার ইনস্টল ও প্রোগ্রামিং করা হয়েছিল, তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অন্য কোম্পানি সহজে প্রোগ্রামটি নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে বেশ চ্যালেঞ্জে পড়ে, আর নাগরিকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।' 

তিনি বলেন, অন্যদিকে এই সেবা দেওয়া বা সফটওয়্যারটি পরিচালনায় সরকারি সংস্থার দপ্তরে যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকে না বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা কিছুদিন পরপর বদলি হয়ে যান। এসব কারণেও সরকারি সংস্থার চালু করা অনলাইন সেবাগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। 

আলমাস প্রত্যেকটি সেবার রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট রাখা এবং দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে পরিচালনা করার সুপারিশ করেন।    

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে ১৬ জেলার ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবার বেশ কিছু ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। উত্তরদাতারা সার্ভার ডাউন থাকা, রশিদ পেতে বিলম্ব, সব ধরনের লেনদেন করতে না পারা এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অসহযোগিতামূলক আচরণের কথা জানিয়েছেন।

ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন সফটওয়্যারে মোট ১৪টি মডিউল ব্যবহার করা হচ্ছে। সব মডিউল এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া সফটওয়্যারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট করা হয়নি। এতে সিস্টেমের স্থায়িত্ব নিয়ে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ডিজিটাল ভূমি সেবা অবশ্যই জনগণের উপকারে আসবে। কিন্তু এই খাতে এখনও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশনের জন্য জোরালো উদ্যোগের অভাব রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের হাতেই কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে।'

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ যখন শুরু হয়েছিল, তখন ভূমি প্রশাসনের ভেতর থেকেই বাধার সৃষ্টি হয়।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, 'স্বার্থান্বেষী মহল ও স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিরোধ ছিল। যদিও সরকার অগ্রগতি করেছে এবং নাগরিকরা কিছু সুবিধা পাচ্ছেন, তবুও সেবাগুলো তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো থেকে অনেক দূরে।'

সমাধানের চেষ্টা চলছে: কর্মকর্তারা

প্রকল্প পরিচালক মো. পারভেজ হাসান বলেন, তাদের সেবাগুলো মোবাইল অপারেটর ও পেমেন্ট গেটওয়েসহ বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।

'সবাইকে সহজে সেবা দেওয়ার জন্য মোবাইল অপারেটরসহ নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।'

এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ডিজিটালাইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পারফরম্যান্স) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

শনিবার টিবিএসকে তিনি বলেন, 'গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রজন্মের সফটওয়্যার চালু হয়েছে। আমরা বর্তমানে ঢাকা জেলায় নামজারি, ভূমি কর ও ই-পর্চা সেবার জন্য এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছি। সফল হলে এটি দেশব্যাপী চালু করা হবে।'

তিনি স্বীকার করেন যে কারিগরি সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। 'এসএমএস নোটিফিকেশন না আসা বা সিস্টেম ফেইল করার মতো সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের কারিগরি দল এগুলো নিয়ে কাজ করছে।'

এমদাদুল আরও বলেন, বেসরকারি অপারেটরদের অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রণালয় তাদের মেসেজিং সেবা সম্প্রসারিত করেছে।

'আগে এসএমএস নোটিফিকেশন শুধু টেলিটক ব্যবহারকারীদের দেওয়া হতো। এখন গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। ফলে আরও বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো সহজ হচ্ছে। এখনও কিছু ছোটখাটো সমস্যা আছে, কিন্তু আমরা সক্রিয়ভাবে সেগুলোর সমাধান করছি।'

এদিকে যেসব নাগরিক নিজে অনলাইন ব্যবস্থায় ঢুকে আবেদন করায় সক্ষম নন, তাদের জন্য 'ভূমি সহায়তা সেবা কেন্দ্র' চালুর নীতিমালা করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। 

জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয় থেকে এই সেবা কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হবে। প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের একটি কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হবে। 

তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি অফিসগুলোর সহায়তায় বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের সেবা কেন্দ্র চালু করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তাদের সরকারি অনুমোদন না থাকলেও নাগরিকদের আবেদন করে দিচ্ছে। কিন্তু একটি উপজেলায় একটি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর ভিড় জমছে কেন্দ্রগুলোতে। এই বাড়তি চাহিদার সুযোগে সরকার নির্ধারিত ফি-র চেয়ে সহায়তা কেন্দ্রগুলো বাড়তি অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ করছেন সেবাগ্রহীতারা।

Related Topics

টপ নিউজ

ভূমি সেবা / ডিজিটাল ভূমি জরিপ / ভূমি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • দেশের ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ সই হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে দেবপ্রিয়
  • ‘ছিনতাই প্যাকেজ’: ভাড়া দেওয়া হয় চাপাতি, বাইক; মেলে জামিনের জন্য অর্থ সহায়তা
  • পুরানো বন্দোবস্ত মচকে গেছে; এখন আর একে ভাঙা যাবে না, ভাঙতে গেলে আরও বেঁকে যাবে: মাহফুজ আলম
  • পূর্বাচলে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে গেল রোলস রয়েস গাড়ি
  • স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে পাঁচ বছরের জন্য ১৬,৭৩৮ কোটি টাকার কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে সরকার
  • যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশিরা

Related News

  • সাভারে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার ভূমি কর্মকর্তা
  • সরকারি পরিসংখ্যানে বাড়ন্ত কৃষিজমি, কিন্তু বাস্তবে এসব জমি কোথায়?
  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার   
  • জনপ্রশাসন একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
  • ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে জটিলতা কমবে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

Most Read

1
অর্থনীতি

দেশের ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ সই হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে দেবপ্রিয়

2
বাংলাদেশ

‘ছিনতাই প্যাকেজ’: ভাড়া দেওয়া হয় চাপাতি, বাইক; মেলে জামিনের জন্য অর্থ সহায়তা

3
বাংলাদেশ

পুরানো বন্দোবস্ত মচকে গেছে; এখন আর একে ভাঙা যাবে না, ভাঙতে গেলে আরও বেঁকে যাবে: মাহফুজ আলম

4
বাংলাদেশ

পূর্বাচলে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে গেল রোলস রয়েস গাড়ি

5
বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে পাঁচ বছরের জন্য ১৬,৭৩৮ কোটি টাকার কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে সরকার

6
বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশিরা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net