উচ্চশিক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা: বিএসবি গ্লোবালের খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নামে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা মো. খায়রুল বাশার বাহারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তার বিচারের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে কয়েকশো ভুক্তভোগী অংশ নেন।
এদিন সকাল ৯টা থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। এরপর সকাল ১০টা থেকে মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় কয়েকজন বাশারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন। বাশারের দেওয়া বিভিন্ন ভুয়া চেকের কাগজ দেখান।
পরে তারা 'হুঁশিয়ার সাবধান, হইহই রইরই বাশার তুই গেলি কই', 'শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে টাল বাহানা, শিক্ষা নিয়ে প্রতারণা, চলবে না, চলবে না', 'বিচার চাই, বিচার চাই, বাশারের বিচার চাই' বলে স্লোগান দেন।
শাহজাহান সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, 'আমাদের সন্তানরা ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ এবং বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহার ও তার নিয়োগকৃত ৩০-৩৫ জন কাউন্সিলরের চটকদার বিজ্ঞাপন ও নানাবিধ প্রলোভনে পাঁচ বছরের ভিসাসহ উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্য কানাডা, আমেরিকা, লন্ডন, ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানোর নামে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভুয়া অফার লেটার দেখিয়ে চার হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নিয়েছেন। আমাদের ইউরোপীয় কোনো দেশে পাঠাননি এবং টাকা দেওয়ার নামে একাধিক চুক্তি করা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দেননি।'
তাহমিনা আক্তার মুন্নী নামে একজন অভিভাবক বলেন, 'আমরা খায়রুল বাশারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছি। অসংখ্য ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। কিন্তু মামলার পরপরই আসামিদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। গত ২৩ আগস্ট টাকা দেওয়ার কথা বলে বিএসবি অফিসের সামনে আমাদের ওপরে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতন ও ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা তার বিচার চাই।'
উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই সকালে মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ দুপুরের পর যেকোনো সময়ে তাকে আদালতে ওঠানো হতে পারে।