এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

বদলির আদেশ অমান্য এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অবহেলা করায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আলাদা আদেশে তাদের বরখাস্তের নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব আবদুর রহমান খান।
এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান সই করা ও জনস্বার্থে জারি করা এসব প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, "জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২২ জুন জারিকৃত বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।"
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী তাদেরকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন: কর অঞ্চল-২ এর বিভাগীয় প্রতিনিধি (যুগ্ম কর কমিশনার) মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, নোয়াখালী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. আশরাফুল আলম প্রধান, খুলনা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার মোসা. নুশরাত জাহান শমী ও কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল।
বরখাস্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন, এনবিআর ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শাহাদাত জামিল, উপ-কর কমিশনার সিফাত-ই-মারিয়ম, রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল বাশার এবং রাজস্ব কর্মকর্তা সবুজ মিয়া।
এর আগে, এনবিআরের চার সদস্যসহ পাঁচজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এনবিআরের অভ্যন্তরে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।