ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে জামায়াতসহ হিন্দু মহাজোটের নেতারা

সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে [আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব] জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা যোগ দিয়েছেন।
আজ শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়।
মহাসমাবেশ হিন্দু্, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন। তবে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিরোধী হওয়ায় বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি দলটি।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলটির নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটার রফিকুল ইসলাম খান। যোগ দিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার সভাপতি নূরুল হক নূর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, বাংলাদেশ খেলাফত মহাসচিব জালাল উদ্দীন, খেলাফত আন্দোলন মহসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানি প্রমুখ।
এছাড়া, মহাসমাবেশে যোগ দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসবি গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বোধিজ্ঞান ভাবনাকেন্ত্রের সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও।
এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, 'স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, পিআর [আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব] পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করার কোন বিকল্প নাই। আজকের এই জনসমুদ্র পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষের জনসমুদ্র।'
তিনি আরও বলেন, 'স্বৈরাচার তৈরীর রাস্তা খোলা রাখা যাবে না। সংস্কার না করেই নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারো আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মতো বিষয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের সেই অনুপাতে আসন থাকবে। এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় সকলের মতের প্রতিফলন ঘটবে।'