শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ আদালতের বিষয়, প্রসিকিউশনের নয়: টবি ক্যাডম্যান

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুর বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে—এটি আদালতের বিষয়, প্রসিকিউশনের নয়।
তিনি বলেন, 'অবশ্যই এ ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে। বিচারকদের মানদণ্ডের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে, এটা তাদের দায়িত্ব। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যাতে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে যথাযথ ও স্বাধীনভাবে যেকোনো আসামির প্রতিনিধিত্ব করেন।'
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন টবি ক্যাডম্যান।
'২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি'- শেখ হাসিনার এই ফোনালাপের অডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় গত ১৯ জুন শেখ হাসিনার পক্ষে 'স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল' (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী)-হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনিকে (টিটু) নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ উঠেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আমিনুল গনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েছিলেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, 'এটি প্রসিকিউশনের বিষয় নয়। তিনি কী মনে করছেন, সে বিষয় নয় এটি। এটি বিচারকদের বিষয়। যদি কোনো আসামি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে ট্রাইব্যুনালের কাছে বিষয়টি তাকে উত্থাপন করতে হবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে দুটি বিষয়। প্রথমত, কোনো আসামি ট্রাইব্যুনালে আসতে চান না, কিন্তু তার অধিকার রক্ষায় আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান, সেটি একটি বিষয়। আবার যদি কোনো আসামি বিচার প্রক্রিয়া বর্জন করেন, তখন বিচারকদের দায়িত্ব থাকে সেই আসামির অধিকার রক্ষায়, যাতে তিনি ন্যায়বিচার পান। তখন আসামির অধিকার রক্ষায় যোগ্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিচারকদের বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। তিনি এর বেশি বলতে পারবেন না।