‘দেশীয় ব্যবস্থাপনায়ই’ থাকা উচিত চট্টগ্রাম বন্দর: আনু মুহাম্মদ

চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর না করে দেশীয় সম্পদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি (জিওসি)।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত 'বিদেশি কোম্পানির কাছে চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়া কেন ঝুঁকিপূর্ণ' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান দেশীয় ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট কার্যকরভাবে কাজ করছে। তাই এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারকে বিনিয়োগ করতে হবে এবং যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম আরও দক্ষ করা উচিত।'
আন্তর্জাতিক উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'সিঙ্গাপুরের মতো মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতীয় সক্ষমতা দিয়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক বন্দর গড়ে তুলতে পারে।'
তিনি বলেন, 'দেশে দক্ষ জনবল থাকার পরও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। এই জনবলকে আন্তর্জাতিক মানে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব।'
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে তা জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই বাংলাদেশ সহজেই রপ্তানি চারগুণ বাড়াতে পারে।'
লেখক ও প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, 'বন্দরের বিভিন্ন সেবা প্রদানেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।'
তিনি দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সব শর্ত জনসমক্ষে প্রকাশের আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক কর্মকর্তা জাফর আলম বন্দরের কার্যক্রমের ওপর একটি বিশদ উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ'র সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার ও মাহা মির্জা।
আলোচনা সভা শেষে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আগামী ২৮ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে লংমার্চ করার ঘোষণা দেয়।