জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত হচ্ছে দুর্বল ৬ ব্যাংক, সাময়িক মালিকানা নেবে সরকার: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এই ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রেণে ছিল। বাকি একটি ব্যাংক নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
গভর্নর বলেন, 'আমরা আশা করছি ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের মালিকানায় এনে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে রেখেছে।'
'তবে সরকারের হাতে ব্যাংকগুলো টেম্পোরারি (সাময়িক) থাকবে। তারপর আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারগুলোকে পাবলিকের কাছে হস্থান্তর করব। আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করব। তবে এমনটা করা হবে ব্যাংক রি অর্গানাইজেশন হওয়ার পরে', যোগ করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, 'যেসব ব্যাংকের ক্যাপিটাল অ্যাডোকেসি রেশিও ঘাটতিতে রয়েছে, আমাদের লক্ষ্য হলো চার বছরের মধ্যে তাদের এই রেশিও ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংকের জন্য তার রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটের বিপরীতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফার হিসেবে অতিরিক্ত ২.৫ শতাংশ মূলধন রাখতে হয়। ফলে, মোট মূলধন সংরক্ষণের হার দাঁড়ায় ১২.৫ শতাংশ।
ব্যাংক একীভূত করার বিষয়টি জানতে একাধিকবার ফোন করেও গভর্নর আহসান এইস মনসুরকে পাওয়া যায়নি।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, 'একটি টেলিভিশন ছয়টি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে এমন সংবাদ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেহেতু প্রতিবাদ দেয়নি, আমি মনে করি গভর্নর ঠিকই এই তথ্য জানিয়েছেন।'
'তবে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য নেই', যোগ করেন তিনি।