বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রীদের অতি আগ্রহ যেভাবে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে

গভীর বন। সুউচ্চ চিরহরিৎ এক গাছের মগডালে এসে বসল এক বিরল পাখি। রাজধনেশ। লাল চঞ্চু, হলদেটে মাথায় কালো ছোপ বিস্তৃত গলা অবধি। এরপর কালো দেহে সাদা কিছু পালক; রাজকীয় ভঙ্গিতে বসে রয়েছে পাখিটি। নিশ্চিন্তে ফল ভক্ষণে ব্যস্ত।
পাখিটির জানা নেই, ঝোপের আড়াল থেকে কেউ একজন ঠিকই তার দিকে নজর রেখে চলেছে। একজন মানুষ। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসেছে লোকটা, হাতে ধরা যন্ত্রের নিশানা পাখিটির দিকেই তাক করা। উঁচু গাছটা থেকে কিছুদূরে এসে থেমে গেল সে। আরেকটু পর্যবেক্ষণ করল যন্ত্রের নিশানা। তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে অপেক্ষায় রয়েছে পাখিটির মাথা উঁচু করার। এরপরেই...
অতীত কাল হলে এই ঘটনাকে সহজেই শিকারের এক দৃশ্য বলে চালিয়ে দেওয়া যেত, কিন্তু সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। বর্তমান বিশ্বে বন্য প্রাণী শিকার প্রায় সব দেশেই নিষিদ্ধ। কিন্তু 'শুটিং' ঠিকই চলছে, যদিও তা অন্যভাবে। ধাতব নলের বন্দুকের নিশানাবাজি নয়, বরং ক্যামেরা আর লেন্সের 'ক্লিকবাজি'তে। বন-জঙ্গল-প্রকৃতি ও বুনো প্রাণীদের ছবি ক্যামেরাবন্দী করার গালভরা এক ইংরেজি নামও রয়েছে; 'ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি' বাংলায় বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী।
প্রাণ-প্রকৃতি ও বন্য প্রাণী ভালোবাসে এমন মানুষ ছাড়াও রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষেরাও দিন দিন এই শৌখিন নেশা নামক পেশার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশও তাতে পিছিয়ে নেই। অতীতে এমনকি দেশে নব্বই দশকেও বন্য প্রাণী আলোকচিত্রীর সংখ্যা হাতে গুনে বলে দেওয়া যেত। ড. আ ন ম আমিনুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন, সরওয়ার পাঠান, রোনাল্ড হালদার, শাহজাহান সর্দার; এমন আরও কিছু নাম সেই কালেরই সাক্ষী। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ বন্য প্রাণীর বৈচিত্র্যময় সব ছবির দেখা মেলে। বিশ্বব্যাপী মহা বিপন্ন উল্লুকই হোক কিংবা বিষধর সাপ, আকাশে উড়ে বেড়ানো ইগল অথবা ঝোপের আড়ালে ছুটে বেড়ানো সজারু; দেশীয় প্রাণীর কোনোটাই যেন বাদ নেই ছবিতে। তরুণ প্রজন্মকে এই নেশাটা বেশ আকৃষ্ট করছে, তা বলাই বাহুল্য। অতীতে যেখানে একটি ছবি তোলার জন্য, একটি প্রাণী খুঁজে বের করতে দুর্গম পথ, প্রযুক্তিগত নানান বাধা ছিল, সেসব বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে সহজ হয়েছে বিধায় এটা শুধু আর পেশা নয়, অনেকের শখেও রূপ নিয়েছে।
সারা বিশ্বেই কোনো অঞ্চলের প্রাণিজগৎ বা প্রকৃতির হাল-হকিকত জানতে বন্য প্রাণী আলোকচিত্রীদের তোলা ছবি ও সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত অত্যন্ত কার্যকর এক মাধ্যম। বনে কী কী প্রাণী রয়েছে, তাদের অবস্থা কী, বনে গাছের ঘনত্ব অতীতের চেয়ে কম না বেশি, প্রাণপ্রাচুর্য; এসবই আলোকচিত্রীরা তাদের দক্ষতার মাধ্যমে ছবিতে তুলে ধরতে পারেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও সেই বিবেচনায় কিছু পদক্ষেপ পরিকল্পনা করে। প্রকৃতি ও প্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে সে পরিকল্পনা। ফলে পরিবেশ সংরক্ষণে এমন আলোকচিত্রীদের তোলা ছবি ও তাদের অভিজ্ঞ মতামত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
তবে সব ভালোরই একটা 'কিন্তু' থাকে। এ ক্ষেত্রেও আছে। বিপত্তি বাধে তখনই, যখন অতি উৎসাহী এবং অনভিজ্ঞ কারও অজ্ঞতার কারণে প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহতের আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করতে সাম্প্রতিক এক ঘটনার উদাহরণ দেওয়া যাক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক স্থান হাজারিখিল। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবস্থিত হাজারিখিলের সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। স্থানটিকে গিরিপথ, সুরঙ্গ, পাহাড়ি ঝরনা ও চা-বাগান ঘিরে রেখেছে। যেখানে গেলে প্রকৃতির সবটুকু সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ রয়েছে। ৮ প্রজাতির উভচর এবং ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে এ বনে। এ ছাড়া পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত হাজারিখিলে রয়েছে ১২৩ প্রজাতির বেশি পাখি। সে হিসেবে হাজারিখিল অভয়ারণ্যকে পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ বললেও ভুল হবে না। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সমারোহ থাকায় চিরসবুজ এ বনে এমন কিছু প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে, যা অন্য কোনো বনে সচরাচর দেখা যায় না। বিশেষ করে বিপন্নপ্রায় কাঠময়ূর আর মথুরার দেখা পাওয়া যায় হাজারিখিলে।
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী ও গবেষক হাজারিখিলে এই কাঠময়ূরের ছবি তুলেছেন, এটা জানার পর সারা দেশের অনেক ফটোগ্রাফারই ছুটে গিয়েছেন সেখানে, ভিড় জমিয়েছেন নিজ ক্যামেরাসমেত বাহাদুরি প্রমাণে। পনেরো-বিশজনের দল করে এমনকি ত্রিশ-চল্লিশজনের দল নিয়েও গিয়েছেন অনেকে। সবার লক্ষ্য এক-কাঠময়ূর। একত্রে তোলা বলে প্রায় সবারই ছবির ফ্রেমিং, আলো, পাখির বিচরণের মুহূর্ত সবই এক। ফলে নিজের স্বতন্ত্রতা বলে কিন্তু ছবিতে কিছু রইল না। অথচ একসাথে এত মানুষের পদচারণ, এদের কথার শব্দ, ফ্ল্যাশের আলো, ক্যামেরার ক্লিক; এসব যে বনের প্রাণীদের কাছে বিপত্তিস্বরূপ; এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে তাদের ভয় পাইয়ে দেয়, এসব কি আদৌ কারও মাথায় খেলে?
অভিজ্ঞ বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী যারা আছেন, তারা কিন্তু বনে প্রবেশ এবং সেখানে অবস্থানকালে কিছু অলিখিত অথচ অলঙ্ঘনীয় নিয়ম মেনে চলেন, এটা গোটা বিশ্বেরই প্রথা। অবস্থান গোপন রাখা, প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে উত্যক্ত না করা, তারা ভয় পায় এমন কিছু করা বারণ, খেয়াল রাখতে হবে প্রাণীর আবাস এবং খাদ্য উপকরণ যেন নষ্ট না হয়, দলে একাধিক মানুষ থাকলেও যথাসম্ভব নিঃশব্দে চলতে হবে; তবে ক্ষেত্রবিশেষে ইশারায় যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে; এসব হরেক নিয়ম সেসবের অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে মনে পড়ছে অভিজ্ঞ বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী ও প্রখ্যাত লেখক, প্রাণী বিশেষজ্ঞ সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের তরুণ বয়সে পাওয়া এক চিঠির কথা। তার তোলা 'সাতভায়লা' পাখির ছবি এক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সেই ছবি দেখে নিজ মতামত জানিয়ে সুদূর অ্যাটার্কটিকা থেকে পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক পাঠিয়েছেন সেই চিঠি। সরওয়ার পাঠান সাহেবের তোলা সেই পাখির ছবি দেখে ইনাম আল হক বুঝতে পেরেছিলেন, দীর্ঘ সময় পাখির বাসার একদম কাছে অবস্থান করে তোলা হয়েছে ছবিটি। বাসায় পাখির বাচ্চা ছিল, সে ক্ষুধায় কাতর অথচ মানুষের অবস্থানের কারণে খাওয়া নিয়ে মা পাখি ভয়ে আসতে পারছে না।
সেই চিঠির একাংশ সরওয়ার পাঠানের লেখা 'আরণ্যক' নামক প্রায় আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ থেকে তুলে ধরছি-
'আমরা সাধারণত পাখির বাসার কাছে দু-এক মিনিটের বেশি থাকি না। পাখি দর্শকেরা এই নিয়মটা সর্বত্র মেনে চলেন। এর ওপর পাখির বাচ্চার জীবন-মরণ নির্ভর করে অনেক ক্ষেত্রে। আপনিও ভবিষ্যতে নিয়মটা মেনে চলবেন-এ বিশ্বাস আমার আছে।'
অভিজ্ঞ পাখি বিশারদ এভাবেই পরামর্শ দিয়েছিলেন তরুণ সরওয়ার পাঠানকে। এসবই আসলে নীতি ও নৈতিকতার বিষয়; অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যা অর্জিত হয়।
কিছু পাখি রয়েছে, যারা অযাচিত কোলাহল কিংবা ভয় পেলে মিলনে আগ্রহী হয় না, সহজে ডিম পাড়ে না। একই কথা প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শিকারের সন্ধানে বের না হয়েও অনেক প্রাণী মানুষের শব্দ পেলে আশ্রয়েই লুকিয়ে থাকে। ব্যাহত হয় তাদের স্বাভাবিক জীবন।
কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে সহজলভ্য হওয়ায় নিতান্ত শখে ক্যামেরা কিনেই প্রাণীর সন্ধানে যারা বনে ছুটে যান, তাদের মধ্যে খুব কম মানুষই এসব বিষয়ে জানেন বা বোঝেন। ফলে পরিবেশ ও প্রাণীদের উত্যক্ত করার বিষয়টা ভাবনায় রয়েই যায়। একটা 'ভালো' ছবির জন্য এরা বনে পালনীয় নীতিগুলো সহজেই ভুলে যেতে পারেন, তা বলাই বাহুল্য। কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছেও তা-ই। আর সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ও শিক্ষিত আলোকচিত্রীরাও বদনামের ভাগিদার হয়ে যাচ্ছেন।
কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিল জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, বাংলাদেশের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাতের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে উনি জানিয়েছিলেন, উদ্ভিদ উদ্যানে বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম চালু করার কথা ভাবছেন তারা। অতি আগ্রহী ও নবিশ আলোকচিত্রীদের আচরণের কারণে পাখি ও প্রাণীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, এটা এই নিয়ম প্রচলনের ক্ষেত্রে মূল ভাবনার বিষয়।
প্রায় একই ভাষ্য উঠে এসেছিল দেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে 'বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী' হিসেবে অন্যতম আইডল হিসেবে পরিচিত বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদের সাথে এক আড্ডায়। 'একত্রে এত মানুষ যদি দলবেঁধে হইহুল্লোড় করে, তবে সেটা বনভোজন উৎসব, প্রাণী পর্যবেক্ষণ বা প্রাণীদের ছবি তোলার নৈতিকতায় এটা তো হবার কথা না,' সদলবলের আড্ডায় সেদিন এটাই ছিল আড্ডার মূল বিষয়।
আদনান আজাদ বলেন, 'বাংলাদেশে বর্তমানে যারা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে আসছেন অধিকাংশেরই একদম কোনো প্রস্তুতি ছাড়া; বাড়ির আশেপাশে যেসব পাখি যেমন শালিক, চড়ুই, কাক ইত্যাদি পাখির ছবি তুলে হাত না পাকিয়েই এই মাধ্যমে চলে আসছেন। এতে বনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ তারা নৈতিক অনেক কিছু জানে না, কীভাবে বন্যপ্রাণী বা পরিবেশ সামলে চলতে হয়, বনে গেলে কী পোশাক পরিধান করতে হয়, কীভাবে প্রাণীকে বিরক্ত না করে ছবি তুলতে হয়।
'বাংলাদেশ বন বিভাগের যে বন আইনের গেজেট আছে, সেখানেও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারের বনে অবস্থানের সময়সীমা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অব্দি সীমাবদ্ধ। সূর্য ওঠার আগে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, সূর্য ডোবার পর কেউ থাকতে পারবে না। এটা বাংলাদেশের সমস্ত উদ্যান, বন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল—সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু বর্তমানে অতি উৎসাহী অনেককেই দেখা যায় হেডল্যাম্প, ফ্ল্যাশ, অত্যাধুনিক ক্যামেরা ইত্যাদি নিয়ে বনাঞ্চলে রাতে প্রবেশ, ক্ষেত্রবিশেষে অবস্থানও করছেন, সেলফি তুলছেন। এটা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনবিরোধী। কাজেই নতুনরা এই বিষয়গুলো: আইন ও নৈতিকতার বিষয়গুলো জেনেই ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি শুরু করবেন।'
সাতছড়িতে ভালুকের বিচরণের প্রমাণ মিলল কিছুদিন আগে, তার দুদিন পরেই একঝাঁক মানুষ ক্যামেরা হাতে সেখানে উপস্থিত। সে ছবি তুলতে পারুক আর না-ই পারুক, ভালুকের ছবি তার চাই। অভিজ্ঞরা জানেন, ভালুক ভয়ানক বিপজ্জনক প্রাণী, আক্রমণ করতে দ্বিধা করে না, ফলে নিজ নিরাপত্তার কথাও ভাবেন তারা। কিন্তু অতি উৎসাহী কিংবা শখের আলোকচিত্রীরা কিন্তু সেসব বুঝবেন না; ফলে ক্ষেত্রবিশেষে নিজ প্রাণটাও ঝুঁকিতে ফেলেন। ভয় পেয়ে বা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করলে তা দলের বাকিদের ক্ষেত্রেও বিপদ বয়ে আনতে পারেন।
দক্ষ-অদক্ষ, অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ বন্য প্রাণী আলোকচিত্রির বিষয়গুলো এসব ক্ষেত্রেই মোটাদাগে ধরা পড়ে। তবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় নেই কি? আছে অবশ্যই।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা, আলোকচিত্রীদের সংস্থা বা প্রশিক্ষণকেন্দ্র, ক্ষেত্রবিশেষে বন বিভাগও এদের বন, প্রাণী ও প্রকৃতিবিষয়ক প্রাথমিক কিছু প্রশিক্ষণ কিংবা চর্চার ব্যবস্থা করতে পারে; যেখানে তাদের বনে বা প্রাণীর ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কিছু নিয়ম পালনের ব্যাপারে ধারণা দেওয়া হতে পারে। বন বিভাগ সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিজ্ঞ বন্য প্রাণী আলোকচিত্রীদের অধীনে নবীনদের প্রশিক্ষণ ও চর্চা এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নীতিমালাও প্রণয়ন করে দিতে পারে। আয়োজন করতে পারে নিয়মিত প্রতিযোগিতার। এসবের ফলে আজকের অনভিজ্ঞ কিংবা নবীন যারা, তারাও অনাগত ভবিষ্যতে প্রাণী পর্যবেক্ষণ ও দক্ষ প্রকৃতি বিশ্লেষক হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
- বাপ্পী খান: লেখক, বন্য প্রাণী সংরক্ষক