আইন সংশোধন করা হবে, কোনো সরকারই আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারসহ কোনো সরকারই আইনিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ইন্টারনেট বন্ধ করার যে বিধান ছিল, তা সরিয়ে ফেলা হবে।
এসময় ইন্টারনেটের দামও আরো কমানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে এসব কথা বলেন ফয়েজ আহমদ।
তিনি বলেন, "আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, বর্তমান সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। আমরা খুব কঠোর পরিশ্রম করছি যাতে ভবিষ্যতের সরকারও ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে।"
তিনি জানান, ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে সরকার চারটি পর্যায়ে কাজ করছে। প্রথমত, সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। এটা এ সপ্তাহের শেষে চূড়ান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস) শুরু করা হয়েছিল, সেটা বন্ধ করা হয়েছে। এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স গাইডলাইনে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তা ছাড়া বিদ্যমান টেলিকম আইনটি পরিবর্তন করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ না থাকে।
ইন্টারনেট মূল্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা ইন্টারনেটের দাম কমাব এবং একইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগের পরিসর বাড়াবো। তাছাড়া আমাদের সরকার ডেটা গভর্নেন্সের ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাই, ডেটা গভর্নেন্স এবং ইন্টার-অপারেবিলিটি ইতোমধ্যে আইসিটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন মাস্টার প্ল্যান এবং আইসিটি রোডম্যাপে ভালোভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা সব মন্ত্রণালয়কে ইন্টার-অপারেবল বানাব— যাতে মানুষ তাদের ডেটাবেজে প্রবেশ করতে পারে এবং সেবাগুলোর জন্য ডেটা আরও বেশি প্রবেশযোগ্য হবে, যাতে স্টার্ট-আপ এবং ব্যবসায়ীরা আরও বেশি তথ্যের অ্যাক্সেস পায়।"